- কুমড়ো শাকের উপকারিতা
- কোরবানির ঈদ সামনে, মশলার বাজারে উত্তাপ
- রাতে ঢাকায় ঝুম বৃষ্টির সম্ভাবনা, কমবে তাপমাত্রা
- টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
- রং-বেরঙের দানাদার মিষ্টি তৈরির রেসিপি
- যেভাবে সারিয়ে তুলবেন রোদে পোড়া ত্বক
- রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাবেন কেন
- ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে কঠিন শর্ত দিলো সৌদি
- হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে
- আগামী ১২ মে এসএসসির ফল প্রকাশের সময় ঘোষণা
এখনো খোঁজ মেলেনি স্বতন্ত্র প্রার্থী আসিফের, সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা
রাত পোহালেই ভোট কিন্তু এখনো খোঁজ মেলেনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদের। তার অনুপস্থিতে স্ত্রী মেহেরুন নিছা মেহেরীন কর্মী-সমর্থক ও ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষার চেষ্টা করে চলছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরীন জানান, তিনি স্বামীর সন্ধান পেতে ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত দরখাস্ত দিয়েছেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার, আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, আশুগঞ্জ থানার ওসি ও স্থানীয় প্রেস ক্লাবে এ দরখাস্তের অনুলিপি দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ই-মেইলে এ দরখাস্ত পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
তবে এ ধরনের কোনো দরখাস্ত প্রাপ্তির কথা অস্বীকার করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার মো. শাহগীর আলম।
দরখাস্তে আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরীন বলেন, প্রচারণার ক্ষেত্রেও আমরা কোনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড পাইনি। ভোট কেন্দ্রে যাদের এজেন্ট দেব তাদেরও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। একজন প্রার্থীকে যেভাবেই হোক জিতিয়ে নেওয়া হবে বলে প্রোপাগান্ডা চালানো হচ্ছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আমরা মনে করি না। আমরা বিশ্বাস করি এতকিছুর পরও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট হলে আমার স্বামী আবু আসিফ আহমেদ বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন। এমতাবস্থায় ভয়ে আমরা এ পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ করতে পারিনি। কিছুসংখ্যক সংবাদকর্মী স্বপ্রণোদিত হয়ে আমার বাসায় আসলে আমি তাদের বিষয়টি অবহিত করি। এরপর এ বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে নির্বাচন কমিশন থেকে আমার স্বামীকে খুঁজে বের করাসহ তদন্তের নির্দেশ এসেছে বলে আমরা জানতে পারি।
তিনি জানান, এলাকায় প্রচার করা হচ্ছে, ভোটাররা ইভিএমে আঙুলের ছাপ দেওয়ার পর বিশেষ প্রার্থীকে জেতানোর জন্য অন্যরা প্রতীকের বাটনে চাপ দিয়ে দেবে বলে এলাকায় প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়া তিনি দরখাস্তে সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া পূর্ব, কুট্টাপাড়া পশ্চিম, সৈয়দটুলা গরেরপাড়, আবিথটুলা, সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও উচালিয়া সরকারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, আবু আসিফ আহমেদ আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ উপনির্বাচনে বিএনপির দলছুট নেতা ও পাঁচবারের সংসদ সদস্য আব্দুস সাত্তার ভূঁইয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী তিনি।
গত ২৭ জানুয়ারি (শুক্রবার) বিকালে মোবাইল ফোন বাসায় রেখে বেরিয়ে আর বাসায় ফেরেননি আবু আসিফ আহমেদ। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি (বুধবার) আবু আসিফের নির্বাচনী প্রচারণাপ্রধান মুসা মিয়াকে ডিবি পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে যায়। তিনি একজন ৮০ বছর বয়সী বৃদ্ধ মানুষ ও এলাকার স্বনামধন্য সালিশকারক। পরে গ্রাম্য ঝগড়ার মীমাংসিত ঘটনার একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। ওই দিন থেকে নির্বাচনী প্রচারণার সমন্বয়ক আবু আসিফের শ্যালক শাফায়াত সুমনকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: