ইন্টারনেট
হোম / ধর্ম / বিস্তারিত
ADS

যেসব কারণে রোজা ভেঙে কাজা-কাফফারা ওয়াজিব হয়

30 March 2023, 2:32:53

১. রোজা অবস্থায় ইচ্ছাকৃত কোনো খাদ্য আহার করলে অথবা ওষুধ খেলে অথবা সিঙ্গা কিংবা সুরমা লাগানোর পর অথবা গীবত করার পর রোজা ভেঙে গেছে মনে করে ইচ্ছাকৃত আহার বা পান করলে। (আলমগিরি ১/২০৫ রদ্দুল মুহতার ৩/৩৮৬, ৩৮৮)

২. প্রিয়জনের প্রিয় থুতু ইচ্ছাকৃত গিলে ফেললে।

৩.ইচ্ছাকৃতভাবে বিড়ি, সিগারেট, হুক্কা ইত্যাদি খেলে।

৪. ইচ্ছাকৃত স্ত্রী মিলন করলে। এ ক্ষেত্রে স্ত্রী স্বতঃস্ফূর্ত থাকলে তার ওপরও কাজা-কাফফারা ওয়াজিব হবে। আর স্ত্রী রাজি না থাকলে বরং তার সঙ্গে জোরপূর্বক করা হলে শুধু কাজা ওয়াজিব হবে, কাফফারা নয়। (আলমগিরি ১/২০৫)

এক ব্যক্তি রমজানে রোজা রেখে (ইচ্ছাকৃতভাবে) পানাহার করল। তখন রাসুলুল্লাহ (স) তাকে একটি দাসমুক্ত করা বা দুই মাস রোজা রাখা বা ৬০ জন মিসকিনকে খাবার দেওয়ার আদেশ করলেন। (সুনানে দারাকুতনি, হাদিস নং: ২/১৯১)

ইমাম জুহরি (রহ) বলেন, রমজানে রোজা রেখে ইচ্ছাকৃত পানাহার করলে এর বিধান ইচ্ছাকৃতভাবে দিনে সহবাসকারীর বিধানের মতো হবে। অর্থাৎ তাকে কাজা ও কাফফারা উভয়টি আদায় করতে হবে। (মাবসুত, পৃষ্ঠা: ৩/৭৩; আলবাহরুর রায়েক ২/২৭৬)

৫. কামভাবের সঙ্গে স্ত্রীকে স্পর্শ করল অথবা চুম্বল করল বা আলিঙ্গন করল, তবে বীর্যপাত হয়নি, কিন্তু সে মনে করল, রোজা ভেঙে গেছে। ফলে ইচ্ছাকৃত পানাহার করল, তা হলে তার ওপর কাজা এবং কাফফারা উভয়ই ওয়াজিব হবে। (বাদায়িউস সানায়ে ২/৫৫৮)

৬. কেউ গোঁফে তেল লাগালো আর মনে করল রোজা ভেঙে গেছে, অতঃপর ইচ্ছাকৃত আহার করল, তা হলে তার ওপর কাজা ও কাফফারা উভয় ওয়াজিব হবে। (বাদায়িস সানায়ে ২/২৫৮)

৭. বিনা ওজরে একই রমজানে এক বা একাধিক রোজা রাখার পর ভেঙ্গে ফেললে একটি কাফফারা ওয়াজিব হবে। আর রোজাগুলো একাধিক রমজানের হলে প্রত্যেক রমজানের জন্য এক একটি করে কাফফারা ওয়াজিব হবে। (রদ্দুল মুখতার: ৩/৩৯১)

কাফফারা কী?

১. একটি কৃতদাস আজাদ করা। (এখন যেহেতু দাসপ্রথার বিলুপ্তি ঘটেছে, তাই বাকি দুভাবেই কাফফারা আদায় করতে হবে)

২. লাগাতার ৬০টি রোজা রাখবে। এর সামর্থ্য না থাকলে ৬০ জন মিসকিনকে দুই বেলা পেট ভরে খানা খাওয়াবে অথবা ৬০ জন মিসকিনকে সদকায়ে ফিতর পরিমাণ গম, আটা, চাল ইত্যাদি অথবা সমপরিমাণ নগদ টাকা দিবে। একজন মিসকিনকে ৬০ দিন দু বেলা খাওয়ালে ও কাফফারা আদায় হয়ে যাবে। (আলমগীরী ১/৩০৫, রদ্দুল মুহতার ৩/৩৯০)

কাফফারার রোজা রাখতে গিয়ে কোন কারণবশত ১/২টি রোজা রাখতে না পারলে পুনরায় ৬০টি রোজা রাখতে হবে। তবে পিরিয়ডের কারণে নারীরা লাগাতার রোজা রাখতে না পারলে পিরিয়ড শেষ হওয়া মাত্রই রোজা রাখা শুরু করবে। (রদ্দুল মুহতার ৩/৩৯০)

লেখক: মুফতি ও মুহাদ্দিস, শেখ জনূরুদ্দীন রহ দারুল কুরআন মাদ্রাসা, চৌধুরীপাড়া, ঢাকা।

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: