- নিবন্ধন সম্পন্ন, ভোটার তালিকায় নাম উঠছে জোবাইদা রহমানের
- আত্মাহুতি দিয়ে স্কাউটিংয়ের নজির বিশ্বের ইতিহাসে নেই: প্রধান উপদেষ্টা
- এইচএসসি পরীক্ষা: কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে প্রবেশ নিষেধ
- চার দিনের রিমান্ডে সাবেক সিইসি নূরুল হুদা
- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৫ ওসিসহ আট পুলিশ কর্মকর্তা বদলি
- মিরাজের অধিনায়কত্বে বাংলাদেশের ওয়ানডে স্কোয়াড ঘোষণা
- কাতার ও ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইরান

আন্তর্জাতিক নার্স দিবস আজ

দেশে ৩৫০টি নার্সিং ইনস্টিটিউটে ৩৪ হাজার আসন রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে পাশ করা শিক্ষার্থীরা সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি নিয়ে কাজ করেন।
কিন্তু চাহিদার তুলনায় বিশেষায়িত নার্স তৈরি হচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা জানান, রোগ অনুযায়ী বিষয়ভিত্তিক দক্ষ স্পেশালাইজড নার্স সংকটে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা রোগীরা সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন, যা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে বাধা।
এমন পরিস্থিতিতে আধুনিক নার্সিংয়ের জনক ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের জন্মদিন উপলক্ষ্যে আজ সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও পালিত হবে ‘আন্তর্জাতিক নার্স দিবস-২০২৩’। ‘ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অব নার্সেস’ (আইসিএন) এবার দিবসটির প্রতিপ্রাদ্য নির্ধারণ করেছে-‘আওয়ার নার্সেস, আওয়ার ফিউচার’ অর্থাৎ আমাদের নার্স, আমাদের ভবিষ্যৎ।
দিবসটি উপলক্ষ্যে নার্সিং ও মিউওয়াইফারি অধিদপ্তরের উদ্যোগে সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা ও আলোচনাসভা হবে। সরকারি-বেসরকারি নার্সিং কলেজ ও হাসপাতালে সেমিনারসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হবে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, একজন রোগীকে সুস্থ করতে চিকিৎসকের চেয়ে নার্স কোনো অংশে কম ভূমিকা রাখেন না। নার্সরা ২৪ ঘণ্টাই রোগীর সেবায় নিয়োজিত থাকেন। কিন্তু প্যালিয়েটিভ কেয়ারসহ অনেক রোগের জন্য বিষয়ভিত্তিক বিশেষায়িত নার্স সংকটে রোগীদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে।
দেশে নার্সদের উচ্চশিক্ষার জন্য সরকারি পর্যায়ে মাত্র দুটি পোস্ট গ্র্যাজুয়েট (এমএসসি ইন নার্সিং) নার্সিং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকলেও চালু আছে একটি।
যেখানে ৬টি বিশেষায়িত বিষয়ের জন্য ১২০টি আসন থাকলেও মাত্র ৬০টি আসনে ভর্তির সুযোগ রয়েছে। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯টি বিশেষায়িত বিষয়ের জন্য ৩টি করে মোট ২৭টি আসন রয়েছে। বেসরকারিভাবে ১৩টি প্রতিষ্ঠানে নার্সিংয়ে এমএস ডিগ্রি চালুর অনুমোদন পেয়েছে।
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সারা দেশে সরকারি হাসপাতালে ৪৫ হাজার ৯৬৫টি নার্সিং এবং ২ হাজার ৯৯৬টি মিডওয়াইফ পদ রয়েছে। এর মধ্যে সরকারিতে ৪১ হাজার ৯৭৫ জন নার্স এবং ২ হাজার ৫৪৬ জন মিডওয়াইফ কর্মরত আছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী প্রতি ১০ হাজারের বিপরীতে ২৩ জন নার্স থাকা দরকার।
সেখানে বাংলাদেশে আছেন মাত্র দুজন করে। সোসাইটি ফর নার্সেস সেফটি অ্যান্ড রাইটস (এসএনএসআর) সবশেষ তথ্যমতে, দেশে ১ লাখ ৩৬ হাজার রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসকের বিপরীতে রেজিস্ট্রার্ড নার্স রয়েছেন ৭৭ হাজার ৮৩৮ জন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে চিকিৎসক অনুপাতে নার্স দরকার ৪ লাখ ৮ হাজার। কিন্তু চিকিৎসক অনুপাতে নার্সের ঘাটতি রয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার ১৬২ জন।
দেশে বিএসসি পাশ নার্স আছেন ১৪ হাজার ৯৭৪ জন। মাস্টার্স ইন নার্সিং/মাস্টার্স ইন পাবলিক হেলথ পাশ নার্স আছেন ২৮৫৪ জন। দেশে নার্সিংয়ে পিএইচডি অধ্যয়নের সুযোগ নেই। মাত্র ১৬ জন বাইরে থেকে পিএইচডি ইন নার্সিং সম্পন্ন করেছেন।
তবে সরকারিভাবে পিএইচডি ইন কমিউনিটি/পাবলিক হেলথ ন্যাশনাল ২২ জন। বর্তমানে সাতজন নার্স বিদেশে পিএইচডি অধ্যয়নরত আছেন। নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের সদ্য সাবেক ডিপিএম এবং সিবিএনএস, জাইকা প্রজেক্টের সিনিয়র কনসালটেন্ট ড. মো. আবদুল লতিফ যুগান্তরকে বলেন, বিশ্বের প্রায় সব উন্নত দেশে চিকিৎসা বিভাগের মতো বিষয়ভিত্তিক নার্সিং স্পেশালিটি থাকলেও বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত উদ্যোগটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
নার্সিং শিক্ষা নিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবার জন্য নার্সদের ভূমিকা অনেক। বর্তমানে ৮৫ হাজার নার্স কাজ করছে।
এর মধ্যে ৪৫ হাজার সরকারি, আর বাকিরা বেসরকারি। আমরা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর স্পেশালাইজড নার্স তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছি।’
নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর বলেন, আধুনিকতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে চিকিৎসাখাতেও প্রযুক্তিগত পরিবর্তন ঘটছে। তাই নার্সদের শিক্ষা ও পেশাগত দক্ষতা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রযুক্তিগতভাবেও তাদের দক্ষ হিসাবে গড়ে তোলা খুবই জরুরি।


প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: