ক্লাস ওয়ান থেকেই রোজা রাখছি: দীঘি
শৈশবের রোজা পালন নিয়ে নস্টালজিয়ায় ভুগে থাকি প্রায় সবাই৷ এমন কেউ নেই যে, ছোটবেলায় রোজা রাখার তেষ্টা, ইফতারের সময়ের আনন্দ আর ঘুম ভেঙে সেহরি করা নিয়ে স্মৃতি রোমন্থন করেন না।
অনেকে রোজা এলে এসব স্মৃতিচারণ করেন। তারকারাও তার ব্যতিক্রম নন৷
ঢাকাই সিনেমার নতুন নায়িকা ও এক সময়ের জনপ্রিয় শিশুশিল্পী প্রার্থনা ফারদিন দীঘিও ছোটবেলার রোজা রাখার স্মৃতিরোমন্থন করলেন।
ক্লাস ওয়ান থেকেই নাকি রোজা রাখছেন দীঘি। সেই সময়ের রমজান মাসের পবিত্রতা, আবেদন, অনুভূতি সবই স্পষ্ট মনে আছে তার।
দীঘি বলেন, ক্লাস ওয়ান থেকেই রোজা রাখা শুরু করি। সেই ্সময় ১৮টা রোজা রেখেছিলাম। তবে আমার নিয়মিত রোজা রাখার শুরু দ্বিতীয় শ্রেণিতে ওঠার পর। তখন থেকে রোজা ভাঙতাম না। আর আমার রোজার রাখার ইচ্ছাকে খুব প্রশংসা করতেন আম্মু। তিনি খুব খুশি হতেন রোজা রাখলে৷
শিশুশিল্পী থেকে নায়িকা হওয়া দীঘি স্মৃতিচারণ করেন, মা বেঁচে থাকতে তো অনেক ছোট ছিলাম, তাই রোজা রাখতে দিত না। কিন্তু খুব ইচ্ছা হতো রোজা রাখার। বাসার সবাই রোজা রাখত। সেহরির সময় দেখা যেত ঘুমিয়ে যেতাম। কিন্তু বাইরের আওয়াজ, সবার হাঁটাচলার শব্দে সেহরির সময় ঠিকই উঠে যেতাম। বাধ্য হয়েই আমাকে খাবারের টেবিলে রাখতে হতো৷ খেতাম আর বলতাম আমিও রোজা রেখেছি। যদিও পরের দিন সকালবেলা ওঠার পর মা জোর করে খাওয়াতো। সেহরির সেসব দিন খুব মিস করি। মাকেও খুব মিস করি।’
ইফতার নিয়েও মজার স্মৃতি আছে দীঘির৷ তিনি বলেন, সবার ছোট ছিলাম বলে ইফতারের সবচেয়ে ভালো খাবারটা আমার ভাগ্যেই জুটত। এটা আমার কাছে খুব মজা লাগত। বড় হয়ে যখন জানতে পারলাম রোজা রাখাটা অনেক সওয়াবের, তখন থেকে ভালো লাগাটা বহুগুণ বেড়ে যায়।
প্রসঙ্গত, ব্যক্তিগত জীবনে দীঘি চলচ্চিত্র পরিবারের সন্তান। তার বাবা সুব্রত বড়ুয়া চলচ্চিত্র অভিনেতা এবং মা ইফতে আরা ডালিয়া দোয়েল চলচ্চিত্র নায়িকা। ২০১১ সালে দীঘির মা দোয়েল ইন্তেকাল করেন।
দীঘি সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিকের শুটিং শেষ করে দেশে ফিরেছেন। এ নায়িকার দুটি সিনেমা এখন পর্যন্ত সিনেমাহলে মুক্তি পেয়েছে। সিনেমাগুলো হলো ‘তুমি আছো তুমি নেই’ ও ‘টুঙ্গিপাড়ার মিয়াভাই’।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: