কার্গো মাস্টারের অসতর্কতায় লঞ্চডুবি: ধারণা বিআইডব্লিউটিএর
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে লঞ্চডুবির ঘটনায় প্রাথমিকভাবে মালবাহী কার্গো জাহাজের মাস্টারের দোষ দেখছে বাংলাদেশ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ-বিআইডব্লিউ। সংস্থাটি বলছে, মূলত মাস্টারের অসতর্কতার কারণেই জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
রবিবার দুপুরে চর সৈয়দপুরের আল আমিননগর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
লঞ্চডুবির ঘটনায় ইতিমধ্যে তিননের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া অন্তত ২০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস, বিআইডব্লিউটিএ, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের সদস্যরা।
ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একটি কার্গো জাহাজের সঙ্গে মুন্সীগঞ্জগামী যাত্রীবাহী লঞ্চের সংঘর্ষ হয়। পরে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চটি ডুবে যায়। পরে ১৫ থেকে ২০ জনের মতো যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও বাকিরা নিখোঁজ রয়েছেন। লঞ্চে ঠিক কতজন যাত্রী ছিলেন তাৎক্ষণিকভাবে তা নির্দিষ্ট করে জানা যায়নি।
লঞ্চডুবির ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে একটি বড় কার্গো জাহাজ সোজা নদী বরাবর চলছে। তার সামনে একটি ছোট লঞ্চ আটকে আছে। ধীরে ধীরে তা কাঁৎ হয়ে ডুবে যায়। দুর্ঘটনার জন্য দোষ কার, লঞ্চ নাকি কার্গোর তা ভিডিও দেখে বুঝা যায়নি। যদিও বিআইডব্লিউটিএ বলছে কার্গোর মাস্টারের অসর্তকতায় এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক (নৌ-নিরাপত্তা বিভাগ) বাবু লাল বৈদ্য বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি কার্গো মাস্টারের অসর্তকতায় লঞ্চটি ডুবে গেছে। ঘটনার তদন্ত করলে বিস্তারিত জানা যাবে।
নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন ঢাকাটাইমসকে বলেন, লঞ্চ ডুবির ঘটনা শুনেই ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। আরেফীন বলেন, আনুমানিক ৫০ জন যাত্রী ছিল। এখনও কেউ উদ্ধার হয়নি।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: