- খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার
- রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাবেন কেন
- টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
- আজ আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা
- রাতে ঢাকায় ঝুম বৃষ্টির সম্ভাবনা, কমবে তাপমাত্রা
- প্রাইভেটকার খাদে পড়ে একই পরিবারের ৩ জন নিহত
- বৃদ্ধ বয়সে সঙ্গের প্রয়োজন মেটাতে বৃদ্ধাশ্রমের ভূমিকা বাড়ছে: দীপু মনি
- হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে
- কুমড়ো শাকের উপকারিতা
- বড় জয়ে শুরু বাংলাদেশের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি
দেড় মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ মৃত্যু, শনাক্ত ৩৮৪০
দেশে করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও শনাক্ত আবারও বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৬৩ জন, যা দেড় মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর আগে এর চেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছিল গত ৩ মে। সেদিন ৬৫ জনের মৃত্যু হয়।
এদিকে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি দেশে বেড়েছে করোনা শনাক্তের সংখ্যাও। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানাচ্ছে গত একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮৪০ জন। এর চেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছিল গত ২২ এপ্রিল। সেদিন ৪ হাজার ১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়।
বৃহস্পতিবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ হাজার ১৭৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৩ হাজার ৮৪০ জন শনাক্ত হন। গতকাল ৩ হাজার ৯৫৬ জন শনাক্ত হন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ৮ লাখ ৩৭ হাজার ২৪৭ জন।
২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৫.৪৪ শতাংশ। গতকাল ছিল ১৬.৬২, মঙ্গলবার ছিল ১৪.২৭ ও সোমবার ছিল ১৪.৮০ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৩.৪২ শতাংশ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৪৫ জন ও নারী ১৮ জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ১১ থেকে ২০ বছরের ২ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৫ জন ও ষাটোর্ধ্ব ৩১ জন রয়েছেন। এ নিয়ে মোট মারা গেছেন ১৩ হাজার ৩৪৫ জন।
গত একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১৭৪ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৭৬ হাজার ৪৬৬ জন।
দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা হয়।
এরমধ্যে গত ১৬ এপ্রিল দেশে দৈনিক মৃত্যু একশো ছাড়ায়। সেদিন ও তার পরদিন ১৭ এপ্রিল ১০১ করে মৃত্যু হয় করোনায়। ১৮ এপ্রিল ১০২ জন ও ১৯ এপ্রিল ১১২ জন মারা যান, যা একদিনে সর্বোচ্চ।
বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় প্রথমে ২১ এপ্রিল ও পরে তা বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছিল সরকার। এরপর সেটি ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১৬ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: