ইন্টারনেট
ADS

ভয় না পেয়ে দেশবাসীকে টিকা নিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

9 January 2022, 5:29:12

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশবাসীকে ভয় না পেয়ে টিকা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার (৯ জানুয়ারি) বিভাগীয় আটটি শহরে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ শয্যাবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ ক্যানসার চিকিৎসাকেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের মানুষের সুস্থতা এবং একজন মানুষও যেন টিকাপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত না হয় সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ৩১ কোটি ডোজ টিকার ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে। এরই মধ্যে রাজধানীসহ সারাদেশে ১৩ কোটিরও বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ ছাড়াও বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে।

বিশ্বব্যাপী করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন হু হু করে বাড়ছে। বাংলাদেশেও এখন পর্যন্ত ২১ জনের শরীরে ওমিক্রন ধরা পড়েছে। এ অবস্থায় দেশের মানুষকে নতুন এই ভ্যারিয়েন্টের বিষয়ে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু ওমিক্রন সারাবিশ্বে দেখা দিচ্ছে, সেজন্য সবাইকে অনুরোধ করব, আপনারা সবাই স্বাস্থ সুরক্ষাবিধি মেনে চলুন। তিনি বলেন, শীতকালে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়ে। এই সময়ে সাধারণত এমনি আমাদের দেশে সর্দি-কাশিরও প্রকোপ বাড়ে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে সবাই মাস্কটা ব্যবহার করবেন। খুব বেশি বড় কোনো সমাগমে যাবেন না, সেখান থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন। আর যেন বড় কোনো সমাবেশ না সেদিকেও লক্ষ্য রাখবেন। স্বাস্থ সুরক্ষাবিধি সবাই মেনে চলবেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী সবাইকে করোনা টিকা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ওমিক্রনে শিশুরা বেশি সংক্রমিত হচ্ছে। সেজন্য আমরা ১২ বছর বয়স থেকে শিশুদের টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো, আপনারা ভয় না পেয়ে টিকাটা নিয়ে নেন। টিকা নিয়ে নিলে অন্তত জীবনটা রক্ষা পাবে।

এদিন ৮ বিভাগীয় শহরের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ শয্যার ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী, এদেশের মানুষের জন্য শোষিত-বঞ্চিত মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন সংগ্রাম করে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। আর স্বাধীনতার পর একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশের দায়িত্ব তিনি নিয়েছিলেন। সেই অবস্থাতেও তিনি স্বাস্থ্যসেবাটা যেন জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছায়, সে ব্যবস্থা নেন। তিনি সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন, প্রতি ইউনিয়নে ১০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল হবে এবং সেভাবে তিনি প্রায় ৩৭৫টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ করে চিকিৎসা সেব জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: