- ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে কঠিন শর্ত দিলো সৌদি
- বৃদ্ধ বয়সে সঙ্গের প্রয়োজন মেটাতে বৃদ্ধাশ্রমের ভূমিকা বাড়ছে: দীপু মনি
- রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাবেন কেন
- রাতে ঢাকায় ঝুম বৃষ্টির সম্ভাবনা, কমবে তাপমাত্রা
- রং-বেরঙের দানাদার মিষ্টি তৈরির রেসিপি
- হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে
- বড় জয়ে শুরু বাংলাদেশের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি
- কোরবানির ঈদ সামনে, মশলার বাজারে উত্তাপ
- কুমড়ো শাকের উপকারিতা
- বন্ধু ‘অনলাইন’ কিনা, এবার তা দেখাবে হোয়াটসঅ্যাপ
শিশু-কিশোরদের কাছে এক ভালোবাসার নাম শেখ রাসেল: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, দেশের শিশু-কিশোর, তরুণ প্রজন্মের কাছে শেখ রাসেল এক ভালোবাসার নাম।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) ‘শেখ রাসেলের জন্মদিন’ উপলক্ষে আজ এক বাণীতে তিনি আরো বলেন, রাসেল আজ দেশের আনাচে-কানাচে এক মানবিক সত্ত্বা হিসেবে সবার মাঝে বেঁচে আছেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শহীদ শেখ রাসেলের শুভ জন্মদিন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, দিনটিকে যথাযথভাবে উদযাপন করার জন্য সরকার এ বছর প্রথমবারের মতো শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকী ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে, যা অত্যন্ত প্রশংসনীয় একটি উদ্যোগ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে রাসেল ছিলেন সবার ছোটো, অনেক আদরের। রাসেল নামটি বঙ্গবন্ধু নিজেই রেখেছিলেন তাঁর প্রিয় ব্যক্তিত্ব বিখ্যাত দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেলের নামে। রাজনৈতিক কারণে বঙ্গবন্ধুকে জীবনের একটি দীর্ঘ সময় কাটাতে হয়েছে কারাগারে। এজন্য শিশু রাসেল পিতার সান্নিধ্য ও আদর-যতœ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নির্মমভাবে শহীদ হন। ঘাতকরা দশ বছরের ছোট্ট রাসেলকেও সেদিন রেহাই দেয়নি। ছোট্ট রাসেল সেদিন ঘাতকদের মিনতি করে বলেছিলেন, ‘আমি মায়ের কাছে যাব’। কিন্তু ছোট্ট শিশুর এ মিনতি ঘাতকদের মন একটুও গলাতে পারেনি। নিমিষেই তারা বুলেটের আঘাতে শিশু রাসেলের প্রাণ কেড়ে নেয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, মৃত্যুকালে রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিল। ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি।
আবদুল হামিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শিশুদের খুবই ভালোবাসতেন। তিনি জানতেন সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে হলে নতুন প্রজন্মকে সোনার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। শৈশব থেকেই তাদের মধ্যে চারিত্রিক গুণাবলির উন্মেষ ঘটাতে হবে। জ্ঞান-গরিমা, শিক্ষা-দীক্ষা, সততা, দেশপ্রেম ও নিষ্ঠাবোধ জাগ্রত করার মাধ্যমে তাদের প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, শিশুদের মাঝে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে তুলে ধরতে সংশ্লিষ্ট সকলে আন্তরিক প্রয়াস অব্যাহত রাখবে। রাষ্ট্রপতি শহীদ শেখ রাসেলের জন্মবার্ষিকীতে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।- বাসস
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: