ইন্টারনেট
সর্বশেষ
ADS

কক্সবাজার বিমানবন্দরে হবে দীর্ঘতম রানওয়ে

29 August 2021, 10:19:35

কক্সবাজার বিমানবন্দর উন্নয়নের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। এরই অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রবিবার কক্সবাজার বিমানবন্দরে দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে সম্প্রসারণের কাজ উদ্বোধন করবেন। এরই মধ্যে বিমানবন্দরটির রানওয়ে ছয় হাজার ৭৭৫ ফুট থেকে ৯ হাজার ফুটে উন্নীত করা হয়েছে। আর রানওয়ের প্রস্থ ১০০ ফুট থেকে করা হয়েছে ২০০ ফুট। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষে দ্বিতীয় পর্যায়ে বিমানবন্দরটির রানওয়ে আরো বাড়ানো হবে এক হাজার ৭০০ ফুট। কাজ শেষে যার দৈর্ঘ্য হবে ১০ হাজার ৭০০ ফুট।

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ের দৈর্ঘ্য ১০ হাজার ৫০০ ফুট। সেই হিসাবে কক্সবাজার বিমানবন্দরে হবে দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে। বিশ্বের উপকূলীয় শহরগুলোর দৃষ্টিনন্দন বিমানবন্দরের মধ্যে অন্যতম একটি হবে এই বিমানবন্দর। বিমানবন্দরটি হবে এশিয়ার যোগাযোগের নতুন পথ। পূর্ণাঙ্গ রূপ পেলে দুবাই বিমানবন্দরের মতো কক্সবাজার বিমানবন্দরেও থাকবে আন্তর্জাতিকসহ অভ্যন্তরীণ বিমানের রি-ফুয়েলিংয়ের ব্যবস্থা।

বিমানবন্দরে রানওয়ে সম্প্রসারণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি দেখতে গতকাল শনিবার কক্সবাজার এসেছেন বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মুফিদুর রহমান। পরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, রানওয়ের ১০ হাজার ৭০০ ফুটের মধ্যে এক হাজার ৩০০ ফুট থাকবে বিমানবন্দরের মহেশখালী চ্যানেলে। এই রানওয়ে সম্প্রসারণের মাধ্যমে কক্সবাজারে গড়ে উঠবে এভিয়েশন হাব।

তিনি বলেন, ‘আজ রবিবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সম্প্রসারণকাজের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রানওয়েটি প্রথমে ৯ হাজার ফুট থেকে আরো তিন হাজার ফুট সম্প্রসারণের কথা ছিল, কিন্তু কক্সবাজারের পরিবেশের কথা চিন্তা করে এক হাজার ৭০০ ফুট সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত হয়। যেখানে থাকবে সেন্ট্রাল লাইন লাইট। সমুদ্র উপকূলের ৯০০ মিটার পর্যন্ত হবে প্রিসিশন অ্যাপ্রোচ লাইটিং।

তিনি আরো বলেন, ‘এই প্রকল্পের স্বপ্নদ্রষ্টা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর নির্দেশনায় সম্প্রসারণের এই কাজ হচ্ছে। ২০১৭ সালে প্রধানমন্ত্রী পরিদর্শনে এসে এটি সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেন। এর মধ্য দিয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দর দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করবে।’

সম্প্রসারণের এই কাজটি পর্যটন ও অর্থনীতির বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে বলে মনে করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এমপি। শুক্রবার বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শনকালে তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

কক্সবাজার বিমানবন্দর প্রকল্পের কাজে নিয়োজিত প্রকৌশলী এনামুল হক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সোনাদিয়া দ্বীপের বুক চিরে মহেশখালী চ্যানেলের কিয়দংশ ভরাটের মাধ্যমে কক্সবাজার বিমানবন্দরটির রানওয়ে পূর্ণাঙ্গ রূপ পেলে অসামান্য দেখা যাবে। সাগরের জলরাশি ও দ্বীপাঞ্চলের সবুজ বনায়নসংলগ্ন কক্সবাজার বিমানবন্দরটি হবে এশিয়ায় দ্বিতীয়। এর আগে মালদ্বীপ বিমানবন্দরটি এ রকম সুন্দর পরিবেশে গড়ে তোলা হয়েছে।’

কক্সবাজার বিমানবন্দর প্রকল্প পরিচালক (পিডি) ইউনুস ভুঁইয়া কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘করোনাকালীন এই বৈরী সময়েও রানওয়ে সম্প্রসারণকাজ থেমে নেই। পুরোদমে এগিয়ে চলছে সম্প্রসারণের এই কাজ। পূর্ণাঙ্গ রূপ পেলে দুবাই বিমানবন্দরের মতো কক্সবাজার বিমানবন্দরেও থাকবে রি-ফুয়েলিংয়ের ব্যবস্থা।’

এদিকে রানওয়ে সম্প্রসারণকাজ উদ্বোধনকে ঘিরে বর্ণিল সাজে সেজেছে কক্সবাজার শহর। মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে এলইডি প্রজেক্টর। সেখানে দেখানো হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে পুরো শহর। সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে উৎসাহ-উদ্দীপনা

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: