- আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ঋণও পাচ্ছে বাংলাদেশ
- সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শেয়ারবাজারে আনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- একনেকে অনুমোদন পেলো ১০ প্রকল্প
- প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব
- ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ শুরু
- ৪১৩ হজযাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল প্রথম ফ্লাইট
- রাফায় হামলা করলে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি বাইডেনের
- উপজেলা নির্বাচনে আ.লীগ নেতাদের জয়জয়কার
- সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ
- সোহেল চৌধুরী হত্যা রায়: আজিজ মোহাম্মাদ ভাইসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন
বড়নখা এর ভেষজ উপকারিতা
বড়নখা একটি জলজ আগাছা জাতীয় উদ্ভিদ। অনেক ক্ষেত্রে একে ছোটপানা নামেও ডাকে। বাংলার গ্রামেগঞ্জে হাওড় বিলের পাড়ে একে দেখা যায়।বড়নখা মূলত বায়বীয় কাণ্ডের জলজ বীরুৎ শ্রেণীর উদ্ভিদ। ধান ক্ষেতের মধ্যেও মাঝে মাঝে পাওয়া যায়। ৫০ সেমি থেকে ১৫০ সেমি পর্যন্ত বড় হয়। এটি বর্ষজীবী। এটির পাতা সব্জী হিসাবে খাওয়া যায় । এরা কচুরিপানার মতো গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহার্য।
উদ্ভিদ ও প্রকৃতি বিষয়ক একটি জার্নাল মাধ্যম জানা যায়, ছয় থেকে নয় সেন্টিমিটার দীর্ঘ মঞ্জরিদন্ডের মাথায় একসঙ্গে ২৫ থেকে ৬০টি ফুলের একটি স্তবক থাকে। সব কটি ফুল মিলিয়ে একটি বড় আকৃতির ফুলের মতো, দেখতে সাদাটে বা রক্তবেগুনি। একটি পরাগধানীর রং নীল, ছয় মিলিমিটার লম্বা; অন্য পাঁচটি পরাগধানী হলুদ রঙের, চার মিলিমিটার লম্বা। ক্যাপসুল আকৃতির বীজগুলো সাত মিলিমিটার লম্বা। বেগুনি রঙের অবারিত ও মুক্ত পাপড়ির ফুল। মাটির কাছাকাছি থাকতেই পছন্দ, আবার নরম কাদামাটিতেও দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে।আমাদের দেশে ফুল ফোটার প্রধান মৌসুম গ্রীষ্ম থেকে শীত ঋতু পর্যন্ত। তবে যত্রতত্র বড়নখা বা ছোটপানা জন্মালেও মানিকগঞ্জের বিভিন্ন জলাশয়, পরিত্যক্ত ডোবা ভরাট করে আবাসস্থল নির্মাণের ফলে দিন দিন কমে যাচ্ছে বড়নখার পরিমান। বড়নখা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, চীনসহ অস্ট্রেলিয়ায়ও দেখা যায়। এই গাছের বিভিন্ন অংশ উদ্ভিদ হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে । এর ঔষধি গুণাগুণ সম্পর্কে এখন আমরা জানব :
উপকারিতা :
পেটের সমস্যা নিরাময়ে :বড়নখা গাছের শিকড় সিদ্ধ করে এই ক্বাখ সকাল বিকেল সেবন করলে পেটের সমস্যা ভালো হয় ।
হাপানি নিরাময়ে :বড়নখা ছালের রস খেলে হাঁপানি রোগে দ্রুত ভালো হয়।
আমাশয় নিরাময়ে :
বড়নখা ছালের রস খেলে আমাশয় রোগ ভালো হয়।দাঁতের ব্যথা নিরাময়ে :
দাঁতের ব্যথা হলে বড়নখা শিকড়ের রস খেলে উপকার পাওয়া যায়।
চুলকানি কমাতে :বড়নখা গাছের ছাল থেঁতো করে সেই রস গায়ে মাখলে চুলকানি ভালো হয়।
যকৃতের সমস্যা সমাধানে :
প্রথমে বড়নখা গাছের শিকড় সিদ্ধ করে নিতে হবে । এই ক্বাথ সকাল বিকেল করলে যকৃতের সমস্যায় উপকার পাওয়া যায় ।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: