- কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং শুরুর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- বয়স কম দেখানোর উপায়, জেনে নিন কীভাবে
- এসএমসি প্লাস ও রিচার্জের সব ড্রিংকস বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ
- মারা গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি
- হার্টকে সুস্থ-সুবল রাখতে সেরার সেরা যে পাঁচ খাবার
- আল্লাহ সর্বপ্রথম কি সৃষ্টি করেছেন?
- ভয় নাই, শাকিবের সঙ্গে ছবি দিয়ে বললেন চঞ্চল
- হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহতদের শেষকৃত্য মঙ্গলবার, ৫ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক
- সকল ক্ষেত্রে সঠিক পরিমাপ নিশ্চিত করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
- ইশরাকের নিঃশর্ত মুক্তি চান মির্জা ফখরুল
জায়ফলের-উপকারিতা
জায়ফল সুগন্ধযুক্ত। জায়ফল গরম মশলায় ব্যবহারের পাশাপাশি-ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি বা রান্নায়। নানা রকম ওষুধ হিসেবেও জায়ফল ব্যবহার করা হয়। যেমন:
১. গেঁটে বাতে জায়ফলের তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।
২. খেলে মুখ সুগন্ধিত হয়।
৩. সঠিক পরিমাণে খেলে ডায়বেটিস রোগ সারে।
৪. চোখের চুলকুনিতে জায়ফলের প্রলেপ লাগালে উপকার হয।
৫. জায়ফল শুকনো খোলায় ভেজে খেলে পায়খানা বন্ধ হয়।
৬. তেলের সঙ্গে মিশিয়ে কানে দিলে কান কালা হওয়া সারে।
৭. জায়ফলের সুর্মা পরলে চোখের রোগে উপকার হয়।
৮. ঘামের দুগন্ধ দূর করে, বায়ু নিঃসারিত হয়ে যাওয়ার জন্যে বায়ুর আধিক্য কমে যায়।
৯. জায়ফল ভাতের ফ্যানে ঘষে খাওয়ালে হেঁচকি ও বমি ভাব সেরে যায়।
১০. জায়ফল ও শুকনো আদা গাওয়া ঘিয়ে ঘষে চাটালে বাচ্চাদের সর্দির জন্যে যদি পেটের অসুখ করে তা সারবে।
১১. জায়ফলের এক দু ফোঁটা তেল বাতাসার বা চিনির সঙ্গে মিশিয়ে খেলে পেট ব্যথা ও গ্যাস সারে।
১২. একটা জায়ফলের এক চতুর্থাংশ গুঁড়ো জলে মিশিয়ে খেলে ঘুম ভাল হয়।
১৩. জায়ফল ঘষে তার প্রলেপ কপালে লাগালে ঘুম ভাল হয়।
১৪. জায়ফল মায়েদের স্তনের দুধ বাড়িয়ে দেয়।
১৫. জায়ফলের তেলে ভেজানো তুলো দাঁতে রাখলে দাঁতের পোকা মরে যায় এবং দাঁতের ব্যথা কমে । এবং পাইয়োরিয়া সারে।
সতর্কতা
অতিরিক্ত জায়ফল কখনোই খাওয়া উচিত নয়-বেশি জায়ফল খেলে লাভের বদলে ক্ষতিই হবে। জ্বর হলে, শরীরে দাহ থাকলে এবং ব্লাডপ্রেসার বেশি থাকলে জায়ফল খাওয়া বা ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
মশলা হিসেবে ব্যবহৃত হলেও জায় বা জয়ফল (Nutmeg) এর গুনাগুন অপরিসীম! প্রাচীন আমল থেকেই রোমান ও গ্রীকরা জয়ফলকে Brain tonic হিসেবে ব্যবহার করে সছে।কারন জয়ফল Brain’কে stimulate করে।ফলাফল স্বরুপ এটা অবসাদ ও মানসিক চাপ কমিয়ে দেয়। আপনি যদি বিষন্ন বা উদ্বেগ বোধ করেন তার সমাধানও হল জয়ফল।এটা আপনার মনযোগ ধরে রাখতেও সাহায্য করে। চীনারা জয়ফলকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করছে।তারা inflammation ও abdominal pain এর চিকিৎসায় এটি ব্যবহার করত। joints pain, muscle pain, arthritis এ Nutmeg oil ব্যবহার করলে ব্যাথা থেকে রেহাই পাওয়া যায় সহজেই। যদি digestion-related problems যেমন- diarrhea, constipation, bloating, flatulence ইত্যাদিতে ভুগে থাকেন তবে জয়ফল হল আপনার জন্য কার্যকরী সমাধান। Nutmeg oil পেট ব্যাথা কমায়, পেট থেকে অতিরিক্ত গ্যাস বের করে দেয়, খাবারে রুচিও বাড়ায়। এতে antibacterial properties আছে যা মুখের দুর্গন্ধ রোধ করতে সক্ষম। এটা মুখের দুর্গন্ধসৃষ্টিকারী ব্যকটেরিয়াকে ধ্বংস করে নিঃশ্বাসকে সজীব রাখে। দাতের ব্যাথা এ মাড়ির বিভিন্ন সমস্যায় ও এটি ব্যবহৃত হয়। জয়ফল গুড়ার সাথে মুসর ডালের গুড়া মিশিয়ে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করলে ব্ল্যাক হেডসের সমস্যা থাকবে না। জয়ফলের গুড়া মধুর সাথে মিশিয়ে ব্রণের দাগের উপর নিয়মিত ব্যবহার করলে দাগ অনেকটাই হালকা হয়ে যায়। রাতে ঘুম না হওয়ার সমস্যা থাকলে ১ গ্লাস দুধে কিছু জয়ফলের গুড়া মিশিয়ে খান। এটা আপনাকে relax রাখবে এবং ঘুম আসতে সাহায্য করবে।
জায়ফল চিরহরিৎ বৃক্ষ। গাছ প্রায় ১৫ মিটার উঁচু হয়, দেখতে নলাকার, শাখা প্রশাখাযুক্ত। গাছের বাকল মসৃণ ও ধূসর বাদামি বর্ণের।
মালয়েশিয়া, শ্রীলন্কা, ওয়েষ্ট ইন্ডিজে ব্যাপকভাবে উৎপাদিত হয়।
জায়ফল সরাসরি খাওয়া যায় না, একটি দামি মশলা। স্বাদ এবং সুগন্ধযুক্ত এ মশলার ঔষুধি গুণও অনন্য।
গাছের প্রক্রিয়াজাত বীজ জায়ফল নামে পরিচিত।
গাছের উচ্চতা ১০ থেকে ২০ মিটার পর্যন্ত হয়।
সাধারণ সর্দিকাশিতে জায়ফলের গুঁড়ো খুবই উপকারী। এর ওপর এক অন্ধ বিশ্বাস, এ নাকি প্লেগ সারিয়ে দেয়। ফলে জায়ফলের কদর বেড়ে গেল।
জায়ফল খাবারকে সুস্বাদু আর সুগন্ধি করে,
ভেষজ উপকারিতা অনেক। খাবারে দিলে সে খাবার অনেক সময় ধরে ভালো থাকে।
খাবারের ওপরে জায়ফল গুঁড়ো দিয়ে খেলে, স্বাস্থ্য আর মনোযোগ দুই-ই ভাল হবে।
মধ্যযুগের ইতালির বিখ্যাত সালের্নো মেডিকাল স্কুল জায়ফল নিয়ে সতর্কবাণী শুনিয়েছিল। একটা জায়ফল তোমার উপকার করবে, দুটো জায়ফল তোমার ক্ষতি করবে, আর তিনটে জায়ফল তোমায় মেরে ফেলবে।
জায়ফল নেশার জগতেও দারুণ আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল। কটু গন্ধ নেই, খেতে ভাল, সব মিলিয়ে সেই সময়ের ধনীদের কাছে জায়ফল ছিল মুল্যবান। সান্ধ্য আড্ডায় জায়ফলকে পেতে যে কোনও দাম দিতে রাজি থাকতেন তাঁরা।
একটা ছোট থলি ভর্তি জায়ফল বিক্রি করলে বাকি জীবন সেই টাকায় বসে খাওয়া যেত। তাই উটের পিঠে চাপিয়ে মরুভূমি পার হয়ে আরব বণিকরা যেটুকু জায়ফল নিয়ে যেতে পারত, তা-ই রোজগারের জন্য যথেষ্ট হত। বাদ সাধল অটোমানের জামানার তুর্কিরা। ১৪৯৩ সালে ইস্তানবুল হয়ে এশিয়া থেকে ইউরোপের বাণিজ্যপথ তারা বন্ধ করে দিল। আর মরিয়া হয়ে সমস্ত দেশ বেরিয়ে পড়ল আরব বণিকদের নিয়ে আসা মশলা, বিশেষত জায়ফল খুঁজতে। পর্তুগাল তো ১৫১১ সালেই খুঁজে বার করে ফেলল জায়ফলের দেশ। আলফানসো আলবুকার্ক সে বছর অগস্টে মালাক্কা জয় করলেন। স্থানীয়দের কাছে জানলেন জায়ফলের ঠিকানা। বন্ধু অ্যান্টোনিয়ো দি আব্রেউ’কে তিনটে জাহাজ সমেত পাঠালেন খবরের সত্যতা যাচাই করতে। আব্রেউ সাহেব এক মাস বাদে ফেরত এলেন তিন জাহাজ ভর্তি জায়ফল লবঙ্গ নিয়ে। তক্ষুনি পর্তুগিজরা আফ্রিকার দক্ষিণ প্রান্ত ছুঁয়ে তৈরি বাণিজ্যপথের সঙ্গে বান্দা দ্বীপকে জুড়ে দিয়ে, জায়ফলের ইউরোপ যাত্রার খরচা এক ধাক্কায় অনেকটা কমিয়ে দিয়েছিল। দ্বীপগুলোকে কব্জা করে শাসন চালাতে ব্যর্থ হল, হেরে গেল।
আর ইউরোপের কাছে জায়ফল জোগানের রাস্তাটা তো তৈরি করে দিল। সে রাস্তা দিয়ে শতাব্দীর পর শতাব্দী নেদারল্যান্ড ও ইংল্যান্ড ব্যবসা চালিয়ে গেল।
* জায়ফল হচ্ছে এক ধরনের বাদাম,
তার সঙ্গী জয়ত্রি হচ্ছে সেই বাদামের খোসা।
খাবারের স্বাদ আর সুগন্ধ বৃদ্ধিতে আর মাংস নরম করতে এর কোন জুড়ি নেই।
জায়ফল তিন স্তরে ব্যাবহার করা যায় ।
উপরের খোশা থেকে জ্যাম,জেলী তৈরী করা যায়। ভিতরে বীজের উপর লাল নেটের মতটি একটি মূল্যবান মসলা জয়ত্রি।
ভিতরের বীজ টি জায়ফল , বিরিয়ানী কাবাব,হালুয়া,কোরমা,মেজবানি মাংসের
মসলায় ব্যাবহার করা হয় ।
রাঁধুনির কাছে এর অনেক কদর, যারা রান্না করেন না তারাও নিশ্চয়ই এর নামের সাথে পরিচিত। শুধু রান্নার কাজেই নয়, জায়ফলের রয়েছে অনন্য কিছু গুণ।
~~
ব্রন , ব্রনের দাগ এর ঔষুধ জায়ফল
জায়ফল মসলা জাতীয় ফল। কিন্ত জায়ফলে “মেইস” নামক একটা উপাদান আছে যা ফাংগাস আর ছত্রাক দূর করে।
১ চামচ জায়ফল গুড়া
১ চামচ মধু
১ চামচ তরল দুধ
সবকিছু একসাথে এমন ভাবে মিশান যেন পেস্ট এর মতো হয়। তারপর মিশ্রন টা প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে ব্রন অথবা দাগের স্থানে লাগাতে হবে। পরেরদিন হ হালকা ভাবে মুখ ধুয়ে নিন। এইভাবে নিয়মিত ব্যবহারে আপনার ব্রন আর ব্রনের দাগ দুইটাই দূর হবে।
এ টি আপনি নাইট স্পটক্রিম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
~~~
মুখের দূর করার জন্য –
বয়স বাড়ার পাশাপাশি নানা কারণে মুখে মেছতা বা তিল পড়ে সৌন্দর্যহানি ঘটে। বিশেষ করে অতিরিক্ত মেক-আপ, মানহীন কসমেটিক্স ব্যবহারে মুখে মেছতা পড়তে পারে। একদিনেই এ দাগ দূর হওয়া সম্ভব না। তবে টানা কিছুদিন জায়ফল, মধু ও টমেটোর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগালে দাগ দূর হয়ে ত্বক উজ্জ্বল হবে। কীভাবে এই তিনিট উপাদান দিয়ে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করবেন জেনে নেই
প্রথম ধাপ
অর্ধেকটা জায়ফল ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে গুঁড়া করে নিন। জায়ফলে প্রদাহবিরোধী উপাদান রয়েছে, যা মেছতার দাগ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
দ্বিতীয় ধাপ
একটি বাটিতে এক চা চামচ মধুর সঙ্গে এক চা চামচ জায়ফল গুঁড়া মিশিয়ে নিন। মধুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যামিনো এসিড রয়েছে, যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
তৃতীয় ধাপ
এই মিশ্রণের মধ্যে তিন থেকে পাঁচ ফোঁটা লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। লেবুর রসের প্রাকৃতিক ব্লিচ মেছতার দাগ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করে।
চতুর্থ ধাপ
এবার এর মধ্যে এক চা চামচ টমেটোর রস দিন। টমেটোর বিটা-ক্যারোটিন মেছতার দাগ দূর করে এবং ত্বকের নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে।
পঞ্চম ধাপ
মুখ ক্লিনজার দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। এবার এই প্যাক মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
ষষ্ঠ ধাপ
শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ভিজিয়ে ২ মিনিট হালকাভাবে ম্যাসাজ করে নিন। এবার ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। তোয়ালে দিয়ে মুছে মুখে ময়েশ্চারাইজার লাগান।
এভাবে টানা কিছুদিন করলে নিজেই পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: