- ভয় নাই, শাকিবের সঙ্গে ছবি দিয়ে বললেন চঞ্চল
- সামান্য অর্থ বাঁচাতে গিয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে উপেক্ষা করে দেশ ধ্বংস করবেন না : প্রধানমন্ত্রী
- হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর শঙ্কা
- বঙ্গবন্ধু কন্যার লড়াইয়ের গল্প বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই হোক অঙ্গীকার: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
- ইশরাকের নিঃশর্ত মুক্তি চান মির্জা ফখরুল
- মারা গেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি
- মালয়েশিয়ায় মানবপাচারকারী সিন্ডিকেট শনাক্ত
- হার্টকে সুস্থ-সুবল রাখতে সেরার সেরা যে পাঁচ খাবার
- আল্লাহ সর্বপ্রথম কি সৃষ্টি করেছেন?
- ‘সুপারফুড’ কাঁঠাল খেলে সারবে কঠিন রোগ
ফখরুল-আব্বাসকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
জামিন আবেদন খারিজ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
শুক্রবার বিকাল ৫টার পর ঢাকা মহানগর হাকিম জসিম উদ্দিনের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে বিকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় ‘নাশকতার পরিকল্পনাকারী’ হিসেবে গ্রেপ্তার দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আদালতে তোলা হয়।
রিমান্ড আবেদন না থাকায় তাদের হাজতখানায় রেখেই শুনানি হয়। কারাগারে আটক রাখার আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর দুপুর ২ টা ৩৫ মিনিট থেকে সোয়া ৫টা পর্যন্ত বিএনপির দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পল্টন মডেল থানাধীন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বেআইনীজনতাবদ্ধে হাঙ্গামা করে বাঁশের লাঠি নিয়ে সজ্জিত হয়ে পুলিশকে আক্রমন ও বলপ্রয়োগ করে গুরুতর জখম করে। ক্ষতি সাধনের জন্য জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি সহ ব্যক্তি বা জনগনের সম্পত্তির ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটায়। এই ঘটনায় উপ-পুলিশ কমিশনার মতিঝিল বিভাগ ও অতিরিক্ত কমিশনার মতিঝিল জোন সহ অনেক পুলিশ সদস্য আহত হয় এবং সরকারী সম্পত্তির ক্ষতি সাধন হয়। মামলাটি তদন্তকালে মির্জা ফখরুল ও আব্বাস ওই ঘটনার পরিকল্পনাকারী, উস্কানীদাতা এবং নির্দেশদাতা বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তাই মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন।
আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ওমর ফারুক ফারুকী, সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ জামিন চেয়ে শুনানি করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু জামিনের বিরোধিতা করেন।
রাষ্টপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর পিপি জনাব এ্যাডভোকেট আবদুল্লাহ আবু, ঢাকা জেলা পিপি এ্যাডভোকেট শেখ হেমায়েত হোসেন, অতিরিক্ত পিপি জনাব এ্যাডভোকেট এ.এফ.এম রিজাউর রহমান রুমেল, ,অতিরিক্ত পিপি এ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার দুলাল, অতিরিক্ত পিপি জনাব এ্যাডভোকেট তাপস পাল ওঁ এপিপি শহিদ উদ্দিন সহ অন্যান্য রাষ্টপক্ষের আইনজীবিগন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। শুনানিকালে মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগম ও তার মেয়ে মির্জা সাফারুহ সুমি এবং মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর আদেশ দেয়ার পর তাদের পক্ষে আইনজীবীরা কারাগারে ডিভিশনের প্রার্থনা করেন। শুনানি শেষে বিচারক কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশনের বিষয়ে কারাকর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: