- মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি সভাপতির আবেদন
- টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, দিপুর অভিষেক
- সমমনাদের আসন ছাড় দেওয়া নিয়ে যা জানালেন ওবায়দুল কাদের
- মনোনয়ন নেওয়া সবার তথ্য চেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক
- ইন্টারনেটে ধীরগতি, ভোগান্তিতে পড়ার শঙ্কা উচ্চ মাধ্যমিকের সাড়ে ১৩ লাখ ফল প্রত্যাশীর
- মিধিলির পথেই উপকূলে আঘাত করতে পারে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম
- নির্বাচনের ১০ দিন আগে মাঠে নামবে বিজিবি, থাকবে ১৩ দিন
- বাঁধাকপির এতো গুণ
- অর্থপাচার মামলায় এনু-রুপনের ৭ বছরের কারাদণ্ড
- ভালো শুরু করেও শেষে খেই হারালো বাংলাদেশ, ৯ উইকেটে সংগ্রহ ৩১০

সিনহা হত্যায় দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণ আজ শুরু

চাঞ্চল্যকর মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকার্যের দ্বিতীয় দফা সাক্ষ্যগ্রহণ আজ রবিবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ের এ সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা চলবে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বিষয়টি জানান।
তিনি জানান, গত ২৩ আগস্ট শুরু হয়েছে মেজর সিনহা হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম। সাক্ষ্যগ্রহণের প্রথম তিনদিনের প্রথম দিন ও দ্বিতীয় দিনের অর্ধেক সময় মামলার বাদী নিহত সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসের সাক্ষ্য ও জেরা নেয়া হয়। পরে শুরু হয় সিনহার সফরসঙ্গী ও হত্যার অন্যতম প্রত্যক্ষদর্শী সিফাতের সাক্ষ্যগ্রহণ। এ দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করতেই প্রথম নির্ধারিত তিন দিন শেষ হওয়ায় বাকি ১৩ জনের সাক্ষ্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও জানান, গত ২৫ আগস্ট ৫ থেকে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চারদিন পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন নির্ধারণ করেন আদালত। এ মামলায় মোট সাক্ষী ৮৩ জন। সাক্ষ্য ও জেরার সময় ১৫ আসামিকে কাঠগড়ায় উপস্থিত রাখা হবে।
এদিকে প্রথম দুই সাক্ষীর জবানবন্দিতে সিনহা হত্যার চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছেন সাক্ষ্যগ্রহণে অংশ নেয়া আইনজীবীরা।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান। তার সঙ্গে থাকা সাহেদুল ইসলাম সিফাতকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এরপর সিনহা যেখানে ছিলেন, সেই নীলিমা রিসোর্টে ঢুকে তার ভিডিও দলের দুই সদস্য শিপ্রা দেবনাথ ও তাহসিন রিফাত নুরকে আটক করে। পরে তাহসিনকে ছেড়ে দিলেও শিপ্রা ও সিফাতকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। এই দুজন পরে জামিনে মুক্তি পান।
সিনহা হত্যার ঘটনায় মোট চারটি মামলা হয়। ঘটনার পরপরই পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি মামলা করে। এর মধ্যে দুটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়, একটি রামু থানায়। ঘটনার পাঁচ দিন পর অর্থাৎ ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। চারটি মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় র্যাব।
২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র্যাব-১৫ কক্সবাজারের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. খায়রুল ইসলাম।
অভিযুক্ত আসামিদের মাঝে পুলিশের ৯ সদস্যরা হলেন-বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী, কনস্টেল রুবেল শর্মা, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া ও কনস্টেবল সাগর দেব নাথ।
অপর আসামিরা হলেন-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সদস্য এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল মো. রাজিব ও মো. আব্দুল্লাহ এবং টেকনাফের বাহারছড়ার মারিষবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও পুলিশের করা মামলার সাক্ষী নুরুল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন।


প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: