- সামান্য অর্থ বাঁচাতে গিয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে উপেক্ষা করে দেশ ধ্বংস করবেন না : প্রধানমন্ত্রী
- সাগরে মাছ ধরা ৬৫ দিন বন্ধ
- হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর শঙ্কা
- বঙ্গবন্ধু কন্যার লড়াইয়ের গল্প বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই হোক অঙ্গীকার: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
- ১৭ দিনে প্রবাসী আয় প্রায় ১৩৬ কোটি ডলার
কলমীশাকের উপকারিতা
কলমী-শাকের গুণ – স্তন্যদুগ্ধজনক শুক্রবর্দ্ধক। বায়ুনাশক, কফজনক, ও বলবর্দ্ধক। অর্থাৎ রক্ত-প্রবৃত্তিরোধক, মূর্চ্ছা, তৃষ্ণা, দাহ ও ঘর্ম প্রশমক, বাত দূরকারক, পুষ্টিপ্রদ ও শ্লেষ্মাজনক।
আমাদের দেশে প্রসূতির স্তন্যদগ্ধ বৃদ্ধির জন্যে কলমীর ঝোল প্রসূতিকে খেতে দেয়া হয়। হিষ্টিরিয়া রোগী ও মস্তিষ্ক-বিকারগ্রস্ত ব্যক্তির পক্ষে কলমীশাক বিশেষ উপকারী। বসন্ত রোগের প্রথমেই এ শাকের রস পান করালে বসন্তের গুটিগুলো শীঘ্রই বেরিয়ে পড়ে এবং এ রোগের বিষ কেটে যায়, এ শাকের রস পান করলে যে কোন ফোঁড়া শীঘ্রই পেকে যায়। তবে যাদের শরীরে ফোঁড়া, খাস বা পাঁচড়া থেকে পূঁজ পড়তে থাকে, তাদের পক্ষে কলমীশাক নিষিদ্ধ। কারণ, এতে পূঁজ আরও বেড়ে যায় ও তাড়াতাড়ি শুকাতে চায়না।
কবিরাজী ও হাকীমী শাস্ত্রে বলা হয় : আষাঢ় থেকে কার্তিক মাস পর্যন্ত কলমীশাক খেলে নানা রকমের রোগ উৎপন্ন হয়, সুতরাং ঐ সময়ে এ শাক না খাওয়া উচিত।
আবার বাসী কলমীশাক, বিশেষ ক্ষতিকর, সেজন্য এ শাক টাটকা তুলে অল্প আাঁচে রান্না করে খাওয়া উচিত। এক দিনের শাক একদিনেই খাওয়া যুক্তিসংগত। কবিরাজী শাস্ত্র মতে কলমীশাক প্লীহা, রক্তপিত্ত ও অর্শ রোগে বিশেষ উপকারী এবং বায়ু, পিত্ত ও কফ ত্রিদোষ নিবারণ করে। কলমীশাকের ডগা ছেঁচে এক ছটাক মাত্রায় রস পান করলে বিষ নষ্ট হয় ও বিষ কেটে যায়।
আর্সেনিক ও আফিং-এর বিষে : এ দু’টি বেশি পরিমাণে খেয়ে শরীরের বিষক্রিয়ায় রোগী যদি বমি করতে শুরু করে, তবে ৩৫ থেকে ৭০ মিলিলিটার পরিমাণ এ শাকের রস খাওয়ালে বিষক্রিয়া বিনষ্ট হয়ে যায়। তখন রোগীর মৃত্যু আশঙ্কা থাকে না।
স্তনে ফুসকা রোগে : কলমীশাকের পাতা ভালভাবে বেটে সেটা গরম করে স্তনে লাগাতে হয়। ফুসকা পেকে গেলে, তবে কলমীপাতার রস দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে। তিন থেকে চারদিনের মধ্যে স্তনের ফুলা কমবে এবং শক্ত ভাবটা নরম হয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে। তাছাড়া বসে যাওয়া দুধ তরল হয়ে বেরিয়ে আসবে।
ফোঁড়ার মুখ না হলে : ফোঁড়া পেকে ভিতরে পূঁজ জমে আছে। কিন্তু ফোঁড়ার মুখ না হওয়ায় পুঁজ বের হতে পারছে না। ফলে অসহ্য যন্ত্রণা হচ্ছে। এরকম ক্ষেত্রে পূঁজ বসতে শুরু করলে কষ্ট চর্তুগুণ বেড়ে যায়। কলমীশাকের ডগা ও শিকড় বেটে ফোঁড়ার ওপর পুরু করে লাগিয়ে দিলে মুখ হয়ে পুঁজ-রক্ত বের হয়ে যাবে।
তরল বীর্য ও স্বপ্নদোষ : এ শাকের রস ৩ চামচ এবং অশ্বগন্ধার মূলের গুঁড়া দেড় গ্রাম গরুর এক কাপ দুধে মিশিয়ে রাতে শোবার সময় একবার করে খেলে বীর্য গাঢ় হবে এবং স্বপ্নদোষও বন্ধ হবে।
প্রসূতি মহিলাদের বা মেয়েদের স্নায়বিক দুর্বলতায় : দীর্ঘদিন রোগ ভোগের পর অথবা সন্তান প্রসব হলে মহিলাদের শরীর সাধারণ ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে স্নায়বিক দুর্বলতাও দেখা দেয়। কলমী-কাণ্ড ও পাতা বেটে তার রস ২০ মিলি লিটার এক কাপ ঠাণ্ডা দুধ ও এক চামচ মিসরীয় গুঁড়া মিশিয়ে রোজ সকালে একবার করে খেলে স্নায়বিক ও সাধারণ দুর্বলতা, উভয় ক্ষেত্রেই উপকার পাওয়া যায়। তবে নিয়ম করে অন্ততঃ দু’সপ্তাহ খেতে হবে।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: