- ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে কঠিন শর্ত দিলো সৌদি
- কুমড়ো শাকের উপকারিতা
- রাতে ঢাকায় ঝুম বৃষ্টির সম্ভাবনা, কমবে তাপমাত্রা
- বৃদ্ধ বয়সে সঙ্গের প্রয়োজন মেটাতে বৃদ্ধাশ্রমের ভূমিকা বাড়ছে: দীপু মনি
- যেভাবে সারিয়ে তুলবেন রোদে পোড়া ত্বক
- খাদ্য নিরাপত্তায় ২০ লাখ টন গম কিনছে সরকার
- হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে
- ফের ৪০ বিজিপি সদস্যের বাংলাদেশে প্রবেশ
- আজ আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের সভা
- মুসলিম উম্মাহর একাত্মতা ফিলিস্তিন সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সোমবার থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউন
করোনা মহামারি পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হওয়ায় আগামী সোমবার সকাল ছয়টা থেকে সারাদেশে কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই বিধিনিষেধ অব্যাহত থাকবে।
শুক্রবার রাতে প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় হয়, এ সময় জরুরি পরিষেবা ছাড়া সকল সরকারি বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে যানবাহন শুধু চলাচল করতে পারবে।
জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবে না। গণমাধ্যম-এর আওতা বহির্ভূত থাকবে।
এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত আদেশ আগামীকাল শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মারা গেছেন ১০৮ জন, যা এই বছরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ৷ আর শনাক্ত হয়েছে পাঁচ হাজার ৮৬৯ জন৷ সংক্রমণের হার ২২.২১ ভাগ।
কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি ইতিমধ্যে ১৪ দিন গোটা দেশ শাটডাউনের সুপারিশ করেছে। জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটির সভাপতি ডা. মো. শহীদুল্লাহ শুক্রবার গণমাধ্যমকে বলেছেন, এখন যা পরিস্থিতি তাতে সংক্রমণ ঠেকানো না গেলে যে অবস্থা হবে তা আমরা কল্পনাও করতে পারছি না৷ ভারতের চেয়েও খারাপ হবে৷ তাই আমরা ১৪ দিনের জন্য পুরো দেশ শাটডাউনের সুপারিশ করেছি৷
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে ওই মাসের শেষ দিকে দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। কয়েক মাস কার্যত অচল থাকে গোটা দেশ। পরে সংক্রমণ আস্তে আস্তে কমতে থাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়া প্রায় সব কিছুতেই বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। চলতি বছরের মার্চ থেকে করোনা পরিস্থিতির আবার অবনতি হতে থাকে। এপ্রিলের শুরুতে সরকার দেশে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে। টানা কয়েক সপ্তাহ চলার পর সংক্রমণ কমে আসায় বিধিনিষেধও শিথিল করা হয়।
করোনা সংক্রমণের হার ১০ শতাংশের নিচে নেমে এলেও গত কয়েক সপ্তাহ ধরে অব্যাহতভাবে বেড়ে চলেছে। সম্প্রতি করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় সীমান্তবর্তী বেশ কিছু জেলায় বিধিনিষেধ দেয়া হয়। ঢাকার আশপাশের সাত জেলাতেও বিধিনিষেধ চলছে গত মঙ্গলবার থেকে।
এতেও করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হতে থাকায় সারাদেশে শাটডাউনের সুপারিশ করে করোনাসংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। গতকাল বৃহস্পতিবার তারা সারাদেশ ১৪ দিনের শাটডাউনের সুপারিশের কথা জানায়। এরপরই সরকার সিদ্ধান্ত নেয় কঠোর লকডাউনের, যা সোমবার থেকে বাস্তবায়ন হবে।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: