- হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে
- যেভাবে সারিয়ে তুলবেন রোদে পোড়া ত্বক
- বড় জয়ে শুরু বাংলাদেশের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি
- কোরবানির ঈদ সামনে, মশলার বাজারে উত্তাপ
- প্রাইভেটকার খাদে পড়ে একই পরিবারের ৩ জন নিহত
- রং-বেরঙের দানাদার মিষ্টি তৈরির রেসিপি
- বৃদ্ধ বয়সে সঙ্গের প্রয়োজন মেটাতে বৃদ্ধাশ্রমের ভূমিকা বাড়ছে: দীপু মনি
- রাতে ঢাকায় ঝুম বৃষ্টির সম্ভাবনা, কমবে তাপমাত্রা
- রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাবেন কেন
- বন্ধু ‘অনলাইন’ কিনা, এবার তা দেখাবে হোয়াটসঅ্যাপ
৫৩ দিন পর বাসায় ফিরলেন খালেদা
টানা ৫৩ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে গুলশানের বাসা ‘ফিরোজায়’ ফিরেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ছোটভাই শামীম এস্কান্দারের গাড়িতে করে খালেদা জিয়া বাসায় ফিরেন। এ সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাকে স্বাগত জানান।
করোনা থেকে সুস্থ হলেও নানা শারীরিক জটিলতার কারণে গত ২৭ এপ্রিল থেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। আগের চেয়ে শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও হাসপাতালে বেশি দিন থাকলে ইনফেকশনের শঙ্কা রয়েছে এজন্য তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। শুরুতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার দ্বিতীয় তলায় একটি রুমে চিকিৎসা চলছিল বিএনপি নেত্রীর।
পরে গত ১৫ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করানো হয় খালেদা জিয়ার। এরপর বাসায় ফিরে এলেও অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২৭ এপ্রিল একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। সেই থেকে ৫৩ দিন হাসপাতালে ছিলেন তিনি।
গত ৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বিএনপি থেকে খালেদা জিয়ার করোনামুক্তির খবর দেয়া হয় ৯ মে। কিন্তু দল থেকে বলা হচ্ছিল, অন্যান্য শারীরিক জটিলতা দেখা দিয়েছে তার।
৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়ার বাতজ্বর, হাঁটুর ব্যাথা, চোখের সমস্যা, ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতা রয়েছে।
হাসপাতালে নেয়ার কিছু দিন পর খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিয়ে যেতে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার পরিবার ও দল। বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা হয় বিএনপি ও খালেদার পরিবারের।
নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদনও করেন খালেদা জিয়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বিদেশ যেতে অনুমতি দেয়নি সরকার। জানানো হয়, মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় আইন অনুযায়ী তাকে বিদেশ যেতে অনুমতি দেয়ার সুযোগ নেই।
সিসিইউতে থাকা অবস্থায় গত ২৮ মে হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। গত ৩ জুন চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে কেবিন ফিরিয়ে আনা হয়।
দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজা পাওয়া বিএনপি নেত্রীকে ২০২০ সালের মার্চে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়া হয় দণ্ড স্থগিত করে। তাকে মুক্ত করতে বিএনপির সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর আছে আবেদন করা হলে তিনি নির্বাহী আদেশে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর দণ্ড স্থগিত করার ব্যবস্থা করেন।
প্রথমে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেয়া হলেও পরে দুই দফায় আরও ছয় মাস করে সময় বাড়ানো হয়। এই মুক্তির ক্ষেত্রে দুটি শর্তের কথা জানানো হয়েছে সরকার এবং বিএনপির পক্ষ থেকে। জানানো হয়েছে, বিএনপি নেত্রীকে চিকিৎসা নিতে হবে দেশেই আর তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: