- পা ছুঁয়ে সালাম করা কি জায়েজ?
- বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার গুণগত মান বাড়াতে কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
- পুলিৎজার পেল ৩ গণমাধ্যম
- বিএনপির সমাবেশ ১০ যুবদলের ১১ মে
- খুব সহজেই বাসায় তৈরি হবে হেয়ার মাস্ক
- উপজেলা নির্বাচন: ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
- সারারাত এসি চালিয়ে ঘুমালে শরীরে কী ঘটে জানেন?
- আজ থেকে খুলছে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়
- জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল
- লঘুচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা, ফের হানা দেবে কালবৈশাখী
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে সাধারণ মানুষের ঢল
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি আজ। প্রতিটি বাঙালির শোক ও গৌরবের দিন। এই দিনটি শুধু বাঙালির নয়, পৃথিবীর সব ভাষাভাষী মানুষের। মর্যাদার একুশ একাধারে শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। মহান ‘শহীদ দিবস’ ও ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ এর প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে হাজারও মানুষের ঢল নেমেছে। ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ফুল হাতে দলে দলে মানুষ এসে হাজির হয়েছেন শহীদ বেদীতে।
রবিবার রাত ১২টা ১মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের পক্ষে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম। এরপর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানান, তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী। এবারও করোনার কারণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শহীদ মিনারে সশরীরে আসেননি। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পুস্পস্তবক অর্পণের পর স্পিকার ড. শিরীন শারমীন চৌধুরীর পক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এরপরই আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। আওয়ামী লীগের পর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। এরপর পর্যায়ক্রমে তিন বাহিনীর পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর বিদেশি কুটনীতিকরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য ড. আখতারুজ্জামান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রতিনিধিরা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান। এরপর পুলিশ বাহিনীর পক্ষে আইজি বেনজির আহমদ এবং র্যাবের মহাপরিচালক পস্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপরই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে কঠোর নিরাপত্তা কিছুটা শিথিল করা হয় বিভিন্ন সংগঠন ও সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য। এ সময় হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসে শহীদ মিনারের দিকে। বিপুলসংখ্যক মানুষের শৃঙ্খলা রক্ষায় নিরাপত্তা কর্মীদের হিমশিম খেতে হয়।
ভাষা আন্দোলন দমন করতে ১৯৫২ সালের আজকের এই দিনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকার ঢাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে। ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে মিছিল করেন। সেই মিছিলে গুলি চলে। গুলিতে শহীদ হন সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার। তাদের স্মরণেই দেশবাসী এই শহীদ মিনারের সামনে এসে বিনম্র শ্রদ্ধা জানায়। শ্রদ্ধা-ভালোবাসার ফুলে ছেয়ে যায় মিনারের বেদি।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: