- এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা দুপুরে
- থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আগামীকাল সকালে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন প্রধানমন্ত্রী
- বিলাসিতা ছেড়ে শ্রমিকদের কল্যাণে বিশেষ নজর দিতে শিল্প মালিকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
- আলোচিত মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার
- ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার হামলা, নিহত ৫
- মাজার জিয়ারত শেষে ফেরার সময় পথেই প্রাণ গেল ৫ জনের
- এভারকেয়ারে ভর্তি খালেদা জিয়া
পাকিস্তানে শিশুসহ একই পরিবারের ১১ জনকে হত্যা
পারিবারিক বিবাদের জেরে পাকিস্তানে একই পরিবারের ১১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ৬ জনই শিশু। দেশটির খাইবার-পাখতুখাওয়া প্রদেশের লাকি মারওয়াত জেলায় এই ঘটনাটি ঘটে। বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার খাইবার-পাখতুখাওয়া প্রদেশের লাকি মারওয়াতের শেখ নিয়াজী কুর্না তখতিখেল এলাকায় নাবালক শিশুসহ একই পরিবারের ১১ সদস্যকে তাদের বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
একজন পুলিশ কর্মকর্তা ডনকে বলেছেন, দুই ভাই, তাদের দুই স্ত্রী এবং তাদের ছয় শিশু সন্তানসহ নিহতদের দুই-তিন দিন আগে বিষপ্রয়োগ ও নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তিনি জানান, মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে পুলিশ নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
ওই কর্মকর্তা জানান, নিহতদের মধ্যে সরদরাজের ছেলে সরদরাজ তাবেদার, তার স্ত্রী সওদানা বিবি, মেয়ে মুজলেফা ও বসরিনা বিবি এবং ছেলে আল্লাহ নূর ও আবদুল রহিম, পাশাপাশি সরদরাজের আরেক ছেলে আমালদার, তার স্ত্রী গুলদানা, ছেলে আমিরুল্লাহ এবং নাইফা ও নূরবানা নামে মেয়েরাও রয়েছেন।
তাবেদারের চাচা উমর গুল (৬৭) পুলিশকে জানান, তিনি তার ভাতিজার বাড়ির কাছে থাকতেন এবং বুধবার সকালে সেখানে গিয়ে তাদের শোবার ঘর বাইরে থেকে তালাবদ্ধ দেখতে পান। তিনি আরও জানান, তাবেদারের ঘরের দরজা ভেঙে স্ত্রী ও সন্তানসহ তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
উমর গুল বলেন, আমালদার ও তার স্ত্রী ও সন্তানদেরও তাদের ঘরে খুন করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘পরে আমি আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসীদের ডেকে লাশগুলো সেরাই নওরাং শহরের একটি হাসপাতালে স্থানান্তর করি।’
তিনি বলেন, আমালদারের মেয়ে চামতির বিয়ে হয়েছিল উত্তর ওয়াজিরিস্তান উপজাতীয় জেলার মাদাখেল এলাকার বাসিন্দা সাদ্দার খানের ছেলের সঙ্গে। তিনি বর্তমানে বান্নু জেলার ঘোরিওয়ালা শহরে বসবাস করেন।
তিনি দাবি করেন, কয়েকদিন আগে সাদ্দার খান আমালদার বাড়িতে রাত কাটিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সাদ্দার খান এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে রয়েছেন, কারণ তিনি এবং তার ছেলে চামতি বিবির প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন।’
স্থানীয় এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নিহত ১১ জনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। তিনি জানান, জানাজায় গ্রাম ও অন্যান্য এলাকার লোকজন উপস্থিত হওয়ার পর নিহতদের স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পুলিশ দাবি করেছে, তদন্তকারীরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং বাড়ি থেকে প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। জেলা পুলিশ কর্মকর্তা তারিক হাবিব নিহতের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করে হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেন।
এদিকে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি আরশাদ হুসেন শাহ এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রাদেশিক পুলিশের মহাপরিদর্শককে তার কাছে একটি প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: