ইন্টারনেট
হোম / আজকের রান্না / বিস্তারিত
ADS

ছোলা বুটের ডাল দিয়ে মাংস রান্না

1 November 2021, 10:59:57

আমরা যখন ছোটো ছিলাম ছোলা বুটের ডাল দিয়ে মাংসের আইটেমটাকে একদম আলাদা মর্যাদা দেয়া হতো। বিয়ে বাড়ি হোক, জন্মদিন হোক বা অন্য গেট টুগেদার হোক, সব সময় এই ডালটা সবার আগে পরিবেশন করা হতো। এখন হয়তো অন্য সব খাবারের ভীঁড়ে এই আইটেমের পরিবেশন কম হয়, তাই বলে ঐতিহ্যবাহী ছোলা বুটের ডাল দিয়ে মাংসের স্বাদ কিন্তু কমে যায়নি।

উপকরন ও পরিমানঃ
(আমার কিছু গোসত ও বুটের ডাল কম ছিল, তবুও আমি হাফ কেজির পরিমান দেখিয়ে দিচ্ছি)
– গরুর গোস্তঃ হাফ কেজি
– বুটের দালঃ হাফ কেজি
– পেঁয়াজ কুঁচিঃ বড় তিনটে (দুইটা দিয়ে বেরেস্তা বানিয়ে নিতে হবে)
– গরম মসলা (৩/৪টা এলাচি, দুই/তিন্টে এক ইঞ্চির দারুচিনি)
– আদা বাটাঃ দেড় টেবিল চামচ
– রসুন বাটাঃ দেড় টেবিল চামচ
– কাঁচা মরিচঃ ৩/৪টা (ঝাল বুঝে)
– মরিচ গুড়াঃ হাফ চা চামচ (ঝাল বুঝে)
– হলুদ গুড়াঃ এক চা চামচের কম
– জিরা গুড়াঃ হাফ চা চামচ (না হলে নাই)
– দুই চামচ সিরকা (না হলে নাই, সে ক্ষেত্রে আগুন/পানি/সময় একটু বেশি লাগবে মাত্র)
– লবনঃ পরিমান মত
– তেলঃ সয়াবিন তেল (তেল কমেই রান্না করা ভাল, তেল একটু বেশি দিলে রান্না দেখতে ভাল দেখায়, স্বাদও বাড়ে এটা সত্য কিন্তু তেল স্বাস্থ্যের জন্য ভাল নয় বলে জানা যায়)
– পানিঃ পরিমান মত

প্রনালীঃ
গোসত স্লাইস করে কাটা

এই ধরনের রান্নায় গোসতের হাড় না নেয়াই ভাল। গোসত গুলোকে আপনি চার কোনা করে কেটে নিতে পারেন। স্লাইস/পাতলা হলে সব ছেয়ে ভাল।

ডাল ভিজিয়ে রাখা

রান্না শুরুর আগেই ডাল গুলো ভাল করে ধুয়ে একটা পাত্রে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। এতে ডাল মশৃন হবে এবং রান্না সময় বাঁচবে।

বেরেস্তা করে নেয়া

উপরিউক্ত উপকরন যোগাড় করে রান্না শুরু করার সময়ে প্রথমে পেঁয়াজ কুঁচি দিয়ে বেরেস্তা বানিয়ে নিন।

দেশি পেঁয়াজে ভাল বেরেস্তা হয়, ইন্ডিয়ান পেঁয়াজেও হয়। এবার বেরেস্তা গুলো তুলে রাখুন।

মুল রান্না

বেরেস্তা তুলে রাখার পর, সেই তেলে আরো সামান্য তেল দিয়ে সামান্য লবন যোগে কিছু পেঁয়াজ কুঁচি, গরম মশলা (এলাচি, দারুচিনি) ও কাঁচা মরিচ দিয়ে ভাল করে ভেজে পেঁয়াজ কুঁচি গুলো হলদে করে নিতে হবে। এবার সেখানে আদা, রসুন বাটা দিয়ে আরো কিছুক্ষন ভেজে তাতে এক কাপ পানি দিতে হবে।

এবার সেই কাষানোতে লাল মরিচ গুড়া, হলুদ গুড়া ও জিরা গুড়া দিতে হবে, ভাল করে কষিয়ে তেল উঠিয়ে নিতে হবে। সব মশলা, ভেজষ মিশে একটা চমৎকার ঘ্রান বের হবে।

এবার গরুর গোসত দিয়ে দিন।

মাধ্যম আঁচে ভাল করে মিশিয়ে নিন। কিছুক্ষন জ্বালের পর দেড় কাপ পানি দিন এবং সিরকা দিয়ে দিন (সিরকা না থাকলে হাফ চামচ চিনিও দিতে পারেন, আর চিনি না দিতে চাইলে কিছু বেশি সময় জ্বাল দিতে হবে মাত্র)

এবার ঢাকনা দিয়ে মিনিট ১৫/২০ রাখুন। আগুন মাধ্যম আঁচে থাকবে। মাঝে মাঝে নাড়িয়ে দিতে ভুলবেন না। যদি পানি কমে যায় কিন্তু গোসত নরম না হয় তবে আরো পানি দেয়া যেতে পারে।

ঠিক এই রকম অবস্থায় এসে যাবে, গোসত মোটামুটি নরম এবং স্বাদ টের পারেন। তেল উঠে যাবে।

এবার বুটের ডাল দিয়ে দিন এবং ভাল করে মিশিয়ে নিন।

এবার আবারো দেড়/দুই কাপ পানি দিন।

এবং আবারো ঢাকনা দিন। আবারো মিনিট ১৫/২০ লাগতে পারে। চুলার ধার ছেড়ে যাবেন না, পানি শুঁকিয়ে হাড়িতে লেগে যেতে পারে। মাঝে মাঝে ঢাকনা খুলে নাড়িয়ে দিতে ভুলবেন না।

কেমন ঝোল রাখবেন সেটা আপনি নিজেই নির্ধারন করুন। লক্ষ রাখবেন বুটের ডাল নরম হবে কিন্তু পুরা গলে যেন না যায়।

এবার ফাইন্যাল লবন দেখুন, লাগলে দিন। না লাগলে, ওকে। সব ঠিক থাকলে এবার বেরেস্তা গুলো ছিটিয়ে দিন এবং ভাল করে মাধ্যম আঁচে মিশিয়ে নিন।

ব্যস পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত। আমি তেল কমে রান্না করেছি, আপনি চাইলে আর একটু তেলে শুরু করতে পারেন, বাটিতে তোলার পর আরো ভাল দেখাবে।

কি চলবে নাকি, রাফ এন্ড টার্ফ বুটের ডাল এবং গরুর গোসত। গরম গরম রুটি বা পরোটার সাথে ফাটাফাটি!

রেসিপি প্রিয় সবাইকে শুভেচ্ছা। ভাল থাকুন সবাই। আনন্দে কাটুক আমাদের সবার জীবন।

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: