ইন্টারনেট
হোম / তথ্য-প্রযুক্তি / বিস্তারিত
ADS

বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করে গেছেন: মোস্তাফা জব্বার

19 August 2021, 5:52:26

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র স্থাপন, আইটিইউ, ইউপিইউ এর সদস্যপদ অর্জন, বেতবুনিয়ায় উপগ্রহ ভূকেন্দ্র স্থাপন, আধুনিক শিক্ষার প্রবর্তন কৃষির আধুনিকায়ন এবং টিএন্ডটি বোর্ড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করে গেছেন।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা ভাগ্যবান জাতি এই ভূখণ্ডে বঙ্গবন্ধুর মতো একজন নেতার জন্ম হয়েছিলো। হাজার বছরের ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে যুগে যুগে আমাদের বীর নারী পুরুষেরা যুদ্ধ করেছেন । এই সংগ্রাম বাঙালি জাতিসত্ত্বা বিকাশে অবদান রেখেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাঙালির জাতিরাষ্ট্র বাংলাদেশ আমরা পেতাম না।

মন্ত্রী বুধবার ঢাকায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিটিআরসি আয়োজিত ভার্চূয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ।

বিটিআরসির চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন এবং মূল আলোচক হিসেবে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা বক্তৃতা করেন।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু তার দ্বিতীয় বিপ্লব কর্মসূচির মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তির সোপান রচনা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর এই কর্মসূচি দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রকারী; সাম্রাজ্যবাদ ও ধনবাদের দালাল ও পাকিস্তানের দোসরদের জন্য চরম হুমকি হয়ে পড়েছিল। এসব অপশক্তি সমন্বিতভাবে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে থামিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্র করেছিল। ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত শক্তির ষড়যন্ত্রেরই ফসল।
মোস্তাফা জব্বার বলেন বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার জন্য তাদের উদ্দেশ্য সফল সমাপ্তিতে পৌঁছায়নি। পঁচাত্তরে পর ৬ বছরের শরণার্থী জীবন ও ৮১ সালে দেশে ফেরার পর ১৫ বছর মরণপণ যুদ্ধ করে ২১ বছরের জঞ্জাল অপসারণ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনিতক সংগঠন পুনর্গঠন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্ত্বেই বঙ্গবন্ধু ঘোষিত অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বে ৩৫ কোটি বাংলাভাষাভাষীর জন্য একটি বাংলা ভাষাভিত্তিক জাতিরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধুই প্রতিষ্ঠা করেছেন।

মূল বক্তা কবি মুহম্মদ নুরুল হুদা বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সৃষ্টির ঐতিহাসিক তথ্যবহুল ঘটনাবলী উপস্থাপনা করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে আমরা হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বলছি, বঙ্গবন্ধুর মতো আরেকজনকে বাঙালির ইতিহাসে পাওয়া যাবে না।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি, বাংলাভাষা এবং বাঙালি সংস্কৃতির প্রশ্নে ছিলেন আপসহীন।তিনি বলেন, বাংলাদেশ কেবল একটি ভৌগলিক মানচিত্রে সীমাবদ্ধ নয়। বিশ্বের যেখানে যেখানে বাংলা ভাষা আছে, বাঙালী আর বাংলার সংস্কৃতি আছে –সেখানেই বাংলাদেশ আছে। বাংলাদেশের একটি ভূখণ্ড আছে-তবে এর জাতিস্বত্ত্বার অস্তিত্ত্ব সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে। তিনি বলেন, এর মানে এই নয় যে আমরা বাংলাভাষীদের ভৌগোলিক ভূখণ্ড দখল করে নেব। তবে তারা নিজেরাই অনুভব করে যে তারা বাংলা বাঙালি ও তার সংস্কৃতির পতাকা বহন করে। তিনি বলেন, ৩২নম্বর সড়কের বাসভবনের সিড়ি থেকে গড়িয়ে বঙ্গবন্ধুর রক্ত সারা বাংলায়-সারা বিশ্বে প্রবাহিত হয়েছে। সে রক্ত থেকে লাখো লাখো মুজিব আদর্শের সৈনিক জন্ম নিয়েছে। মুজিব অবিনশ্বর বলে কবি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে না হারালে বাংলাদেশ অনেক আগেই সোনার বাংলায় পরিণত হতো বলে উল্লেখ করেন।

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: