- বঙ্গবন্ধু কন্যার লড়াইয়ের গল্প বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই হোক অঙ্গীকার: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
- ১৭ দিনে প্রবাসী আয় প্রায় ১৩৬ কোটি ডলার
- হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর শঙ্কা
- সামান্য অর্থ বাঁচাতে গিয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে উপেক্ষা করে দেশ ধ্বংস করবেন না : প্রধানমন্ত্রী
- সাগরে মাছ ধরা ৬৫ দিন বন্ধ
আজই কি সিরিজ জয়?
উপস্থিতি সামান্যই হওয়ার কথা, কিন্তু হাজিরা খাতায় সই করার সময় দেখা গেল লম্বা লাইন। নিস্তরঙ্গ মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামও তাই গতকাল আড়মোড়া ভেঙে জাগল। এমনিতে প্রচণ্ড গরমে টানা দুই দিন ম্যাচ খেলার পর বিশ্রামই দাবি করে খেলোয়াড়দের শরীর। সিরিজে ২-০তে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা কাঙ্ক্ষিত সেই বিশ্রাম পেলেনও। কিন্তু ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজ হারের দুয়ারে দাঁড়িয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়ার সবার সেই সৌভাগ্য হলো না। সকালে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়ে দেওয়া হলো যে সফরকারী দলের ছোট্ট একটি গ্রুপ অনুশীলনে যাবে। মাঠে হাজিরা দেওয়ার পর অবশ্য দেখা গেল গ্রুপটা বিশালই। আটজন ক্রিকেটারের সঙ্গে সমানসংখ্যক সাপোর্ট স্টাফ মিলিয়ে ১৬ জনের বহর কঠোর অনুশীলনে ব্যস্ত থাকল পরের কয়েক ঘণ্টা।
অস্ট্রেলিয়া দলের পক্ষে এমন দৃশ্য বিরল না হলেও সচরাচর দেখা যায় না। বাংলাদেশ দলকেই বরং হারের পর হারে ব্যতিব্যস্ত হয়ে থাকার কঠিন সময়ে এমন অনুশীলনে আসতে দেখা যেত বেশি। তবে এই সিরিজে বাংলাদেশের স্পিনার আর পেসাররা মিলে যেভাবে ধীরগতির উইকেটে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের জন্য ‘আস্তে’ বলের ফাঁদ পেতেছেন, তাতে দিশাহারা সফরকারীরা। প্রথম ম্যাচে প্রথম কয়েকটি ডেলিভারি একটু জোরের ওপর করে মার খাওয়া নাসুম আহমেদ পরে নাভিশ্বাস তুলে ছাড়েন সাকিব আল হাসানের আস্তে বল করার পরামর্শে। সেই সঙ্গে পেসার মুস্তাফিজুর রহমানও স্লোয়ার কাটারে আগের সেই কার্যকারিতা নিয়ে দুর্ধর্ষ। প্রথম ম্যাচে যখন এতেই সাফল্য মিলল, তখন দ্বিতীয় ম্যাচেই বা স্বাগতিকরা কৌশল বদলাবে কেন? তাই আবারও ধীরগতির উইকেটে ধীরগতির বল দিয়ে সিরিজ জেতার দরজা একরকম খুলেই রেখেছে বাংলাদেশ। এর ধারাবাহিকতায় আজই কি পাঁচ ম্যাচের সিরিজ পকেটে পুরে ফেলছে মাহমুদ উল্লাহর দল? আজই কি হয়ে যাচ্ছে ৩-০?
নির্ভর করছে আবারও বাংলাদেশের একই ফর্মুলা অস্ট্রেলিয়া কতটা সামাল দিয়ে উঠতে পারবে, তার ওপর। পাল্টা কৌশলে সাফল্য পেতেই তো কালও সিরিয়াস অনুশীলনে ব্যস্ত থাকলেন তাঁরা। মূল বোলারদের কেউই অনুশীলনে এলেন না। কিন্তু ব্যাটিং অর্ডারে প্রথম ছয়জনের চারজনই এলেন। অ্যালেক্স ক্যারি, জশ ফিলিপ, মোয়েজেস হেনরিক্স এবং অ্যাস্টন টার্নাররা নিজেদের ব্যর্থতার সমাধান খুঁজলেন নেটেই। অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েডও যাবতীয় সমস্যার মূলে নিজ দলের ব্যাটিংকেই দেখছেন, ‘দুই দলের বোলাররাই দারুণ বোলিং করছে। আমাদের বোলিং আক্রমণের পারফরম্যান্সেও আমি খুশি। বোলিং কোনো সমস্যাই নয়। স্রেফ ব্যাটিংয়ে জমাট হতে হবে আমাদের। এক ম্যাচে টপ অর্ডার ব্যর্থ হয়েছে তো আরেক ম্যাচে নিচের দিকের ব্যাটসম্যানরা। আশা করি পরের ম্যাচে আমরা ঠিকঠাক করতে পারব।’
ঠিকঠাক করতে হলে উইকেট বাঁচিয়ে যথাসম্ভব এগিয়ে যাওয়ার ভাবনার কথাও জানালেন এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান, ‘খেলাটিকে যতটা সম্ভব গভীরে নিয়ে যেতে হবে। উইকেট হাতে রেখে ইনিংসের শেষ দিকে যেতে হবে। এটিকেই আমার কাছে আপাতত সেরা উপায় মনে হচ্ছে। ঝুঁকি নেওয়ার জন্য এই উইকেট খুবই কঠিন। দ্বিতীয় ম্যাচে কিন্তু শুরুটা আমরা খারাপ করিনি (১৪ ওভারে ২ উইকেটে ৮৭ রান)। তবে পরে সেটি ধরে রাখতে পারিনি।’
আজ সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হতে যাওয়া তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ অবশ্য সেই ‘ধরে রাখতে না পারা’র পুনরাবৃত্তিই চাইবে। আগের দুই ম্যাচ জিতে থাকায় দলের পরিবেশও যে দারুণ চাঙা, সেটি বলতে শোনা গেল তরুণ অফস্পিনিং অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসানকে, ‘দিনের শেষে ম্যাচের ফলই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। ফল ভালো হলে দলের পরিবেশ বা অন্য ব্যাপারগুলো ভালো হয়ে যায়। মনোযোগ তখন খুব ভালোভাবে চলে আসে।’ আজই সিরিজ জিতে নেওয়ায় স্বাগতিকরা কতটা মনোযোগী, তা নিশ্চয়ই আর বলে দিতে হবে না!
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: