- টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী
- স্টোরি শেয়ারে নতুন ফিচার আনছে ইনস্টাগ্রাম
- চুক্তি ছাড়াই যুদ্ধবিরতি আলোচনা শেষ, রাফাতে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল
- ১১ ঘণ্টা পর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান উদ্ধার
- ১৯ শর্তে নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতি পেল বিএনপি
- ত্বকের পরিচর্যায় মুলতানি মাটি
- ছেলের মতো মেয়ের আকিকাতেও আয়োজনের কমতি রাখতে চান না পরী
- প্রতিটি মানুষকে সচ্ছল করতে কাজ করছি: প্রধানমন্ত্রী
- ভোটের আগে জামিন পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল
- নানার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত পাইলট আসিম জাওয়াদ
খালেদা জিয়া ও হাজি সেলিম নির্বাচন করতে পারবেন না
দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হওয়ায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিম আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান এই আইনজীবী সোমবার সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, সাজাপ্রাপ্ত কেউই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
খালেদা জিয়া ২০০৮ সালের নির্বাচনে বগুড়ার দুটি আসনসহ তিনটি আসন থেকে নির্বাচন করে জয়ী হয়েছিলেন। আর হাজি সেলিম ঢাকার একটি আসন থেকে ভোট করেন।
প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানসহ বিএনপির পাঁচ নেতার দুর্নীতির পৃথক মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ড ও সাজা স্থগিতের আবেদন খারিজ করে ২০১৮ সালে রায় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। ওই রায়ের ৪৪ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি রোববার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
সেখানে রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, জামিন বা সাজা স্থগিত থাকলেও তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না, যদি না তার সাজা উপযুক্ত আদালত কর্তৃক বাতিল না হয়। আপিল বিচারাধীন থাকা মানে দণ্ডিত ব্যক্তি নির্দোষ নন। একমাত্র উপযুক্ত আদালত কর্তৃক সাজা বাতিল হলে দণ্ডিত ব্যক্তি নির্দোষ হবেন। দণ্ড বাতিল না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া সাজা খাটার পর পাঁচ বছর অতিক্রম না হলে তিনি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না।
আদালতের এ পর্যবেক্ষণের বিষয়ে খুরশীদ আলম খান বলেন, হাইকোর্ট গতকালকের প্রকাশিত রায়ে বলেছেন, সাজা কখনও স্থগিত হয় না। উপযুক্ত আদালতে সাজা বাতিল না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ নাই। এই রায়ের আলোকে খালেদা জিয়া, হাজি সেলিমসহ দুই বছরের বেশি সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তিই আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। কারণ তাদের সাজা বাতিল হয়নি। যদি হাইকোর্টের রায় আপিল বিভাগ সংশোধন করেন বা বাতিল সেটা ভিন্নকথা।
উল্লেখ্য, গত সংসদ নির্বাচনের সময় বিএনপির পাঁচ নেতার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া দুর্নীতি মামলার সাজা স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। কিন্তু আদালত শুনানি করে তাদের আবেদন খারিজ করেন। ফলে তাদের সেই সাজা বহাল রয়েছে। এর পরে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে একজনের (বিএনপি নেতা আমান) আপিল নিষ্পত্তি করা হয়েছে। বাকি চারজনের মামলা এখনো হাইকোর্টে বিচারাধীন।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: