- বিএনপি দিন দিন সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে : ওবায়দুল কাদের
- পরিবেশ সুরক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে : পরিবেশমন্ত্রী
- যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় ৩ পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত
- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভা আজ
- গাজায় যুদ্ধবিরতিই সেরা উপায়: ব্লিঙ্কেন
- দেশজুড়ে টানা বৃষ্টির সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস
- বাকি না দেওয়ায় দোকানদারকে কুপিয়ে হত্যা, কাউন্সিলরের ভাই আটক
- ঢাকাসহ ২৭ জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আজ
- ঢাকাসহ ২৭ জেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মঙ্গলবার বন্ধ ঘোষণা
- কৃষক আব্দুর রহমান হত্যা মামলায় ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
আবেদন খারিজ, দায়িত্ব পালনে জিএম কাদেরের নিষেধাজ্ঞা বহাল
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। ফলে জিএম কাদেরের দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞাদেশ বহাল থাকলো। বুধবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হক শুনানি শেষে নিষেধাজ্ঞাদেশ প্রত্যাহারের আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর লিখিত জবাব দাখিল ও মূল মামলার শুনানির জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।
এর আগে গত ৬ অক্টোবর জিএম কাদেরের পক্ষে শেখ সিরাজুল ইসলাম, কলিম উল্লাহ মজুমদারসহ একাধিক আইনজীবী দলীয় কার্যক্রমের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের আবেদন করেন। রিট আবেদনে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারম্যান পদে জিএম কাদেরের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চাওয়া হয়।
গত ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা এ মামলা করেন। বাদীর বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের যাবতীয় দলীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার অস্থায়ী আদেশ দেন। আদালতে মশিউর রহমান রাঙ্গা গত ৩ অক্টোবর জি এম কাদেরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। একই বিষয়ে ঢাকার দ্বিতীয় সহকারী জজ আদালত বাদী নাফিজ মাহবুবের একটি মামলা সোমবার খারিজ করে দেন।
মামলার বিবরণীতে বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জি এম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছর ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন।
পরে চলতি বছরের ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন। এছাড়া গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাকে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন।
এতে আরও বলা হয়, গত ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন, যা সম্পূর্ণ অবৈধ। তাই ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিলসহ চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহিষ্কার আদেশ অবৈধ ঘোষণা করতে এবং হাইকোর্ট বিভাগের রিট নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে মামলায় আদেশ চাওয়া হয়েছে।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: