সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ
জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রয়াত চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। করোনার মহামারির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিনটি পালনে জাপা নানা কর্মসূচি নিয়েছে।
নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা হারানো সামরিক শাসক এরশাদ ১৯৩০ সালে ভারতের কোচবিহারের দিনাহাটায় জন্মগ্রহণ করেন। তবে দেশভাগের পর সপরিবারে রংপুরে স্থায়ী হন। ১৯৫২ সালে সেনাবাহিনীতে কর্মজীবন শুরু করে ১৯৭৮ সালে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পান। ১৯৮২ সালে রক্তপাতহীন সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতায় এসে প্রায় ৯ বছর দেশ শাসন করেন তিনি। ১৯৯০ সালে গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতা ছাড়লেও আমৃত্যু রাজনীতিতে নিজের গুরুত্ব বজায় রাখেন। কারাগারে থেকে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে পাঁচটি করে আসনে জয়ী হন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগকে সরকার গঠনে সমর্থন দেয় তার নেতৃত্বাধীন জাপা। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের শরিক হয়ে ভোটে অংশ নেয় জাপা। নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হন এরশাদ। একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির চেয়ে প্রায় চারগুণ বেশি আসন পায় জাপা। বিরোধীদলীয় নেতা হন এরশাদ। এ পদে থাকা অবস্থায়ই তার মৃত্যু হয়।
জাতীয় পার্টি (জাপা)-র প্রতিষ্ঠাতা এরশাদের মৃত্যুবার্ষিকীতে নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আজ সকালে জাপার জ্যেষ্ঠ নেতারা রংপুরের পল্লীনিবাসে এরশাদের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানাবেন। দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ১০ হাজার দুস্থ মানুষের মধ্যে খাবার বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের। এর আগে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এরশাদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন জাপা নেতারা। গরিবদের মধ্যে খাবার বিতরণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে দেশের সব জেলা-উপজেলায়।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: