- সারারাত এসি চালিয়ে ঘুমালে শরীরে কী ঘটে জানেন?
- বিশ্বকাপে কোহলিদের নিরাপত্তা নিয়ে যা জানাল ভারত
- এক্সে চালু হলো এআই প্রযুক্তির স্টোরিজ
- রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল সংগ্রহে আইওএমকে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
- দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত বাংলাদেশের
- বাসায় তৈরি করুন ‘মোগলাই পরোটা’
- পা ছুঁয়ে সালাম করা কি জায়েজ?
- আজ থেকে খুলছে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়
- বাঙ্গির যত উপকারিতা
- জ্বালানি তেলের দাম বাড়ল
আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস
আজ বিশ্ব পরিবেশ দিবস। প্রকৃতি ও পরিবেশ দূষণ থেকে বাঁচাতেই দিবসটির উদ্ভব। নানা কারণেই বিশ্ব পরিবেশ আজ ভালো নেই। কোভিড পরিস্থিতিতেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেন আমাদের পিছু ছাড়ছে না।
পরিবেশ রক্ষার উপায় খুঁজতে ১৯৭২ সালের ৫ থেকে ১৬ জুন সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে জাতিসংঘ মানব পরিবেশ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এটিই ছিলো ইতিহাসের প্রথম পরিবেশ-বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন। ১৯৭৩ সালে সম্মেলনের প্রথম দিন ৫ জুনকে জাতিসংঘ ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা দেয়। ১৯৭৪ সাল থেকে প্রতিবছর দিবসটি বিশ্বব্যাপী পালিত হয়ে আসছে।
জাতিসংঘ পরিবেশ কর্মসূচি এর ঘোষণা অনুযায়ী ‘প্রতিবেশ পুনরুদ্ধার, হোক সবার অঙ্গীকার’ প্রতিপাদ্যে এবং ‘ প্রকৃতি সংরক্ষণ করি, প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করি’ শ্লোগানে বিভিন্ন দেশ এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবস উদযাপন করছে।
বাংলাদেশে দিবসটি উপলক্ষে ‘মুজিববর্ষে অঙ্গীকার করি, সোনার বাংলা সবুজ করি’ প্রতিপাদ্যে এবারের জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান-২০২১ উদযাপন করা হবে। বেলা ১১ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে ‘সোনালু’ ,‘জাম’, ‘আমড়া’ ও ‘ডুমুর’ বৃক্ষের ৪ টি চারা রোপণ করে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।
এসময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন, উপ-মন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এবং সচিব জিয়াউল হাসান এনডিসি-সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা উপস্থিত থাকবেন।
এ ছাড়া দিবসটিতে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন অধিদপ্তরের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান, স্থাপনা ও সড়কে ব্যানার, ফেস্টুন স্থাপন করে পরিবেশ সংরক্ষণের গুরুত্ব উপলব্ধি করে মানুষকে গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, মানব সভ্যতার অস্তিত্ব রক্ষায় প্রতিবেশ-সংরক্ষণ এবং অবক্ষয়িত পরিবেশ পুনরুদ্ধারের কোনো বিকল্প নেই। প্রতিবেশ-ধ্বংসকারী কার্যক্রম যেমন বন-জঙ্গল ধ্বংস করা, বন্যপ্রাণীনিধন এবং বায়ুদূষণসহ অন্যান্য দূষণবৃদ্ধির প্রভাবে জলবায়ু-পরিবর্তনের ফলে আজ মানবজাতির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার জীববৈচিত্র্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশগুলোকে সংরক্ষিত এলাকা ও প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণাপূর্বক সেগুলোর প্রতিবেশ ও জীববৈচিত্র্য ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সকলক্ষেত্রে যাতে পরিবেশগত টেকসই উন্নয়নকে বিবেচনায় নেওয়া হয়, সে লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। নতুন নতুন অর্থনৈতিক অঞ্চল ও শিল্পপ্রতিষ্ঠান-স্থাপনে প্রতিবেশ ও পরিবেশসম্মত বিধিব্যবস্থা-প্রতিপালনের দিকে বিশেষ নজর দেয়া হচ্ছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে কৃষি, শিল্পসহ সকল ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পরিবেশ-সংরক্ষণে তার সরকারের সফলতার কারণে ‘পরিবেশ কূটনীতিতে’ বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের নেতৃত্ব প্রশংসিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা পরিবেশ বিপর্যয়ে সংকটাপন্ন দেশগুলোর স্বার্থ-সুরক্ষায় ‘ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ)’ এবং ‘ভালনারেবল-২০ এর অর্থমন্ত্রীদের জোট-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমরা জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা তৈরি করছি। জলবায়ুর-পরিবর্তন এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে টেকসই উন্নয়ন অর্জনের লক্ষ্যে ‘বাংলাদেশ-ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০’ বাস্তবায়ন করছি। আমরা জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে ইতোমধ্যেই ১ কোটি গাছের চারা রোপণ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ করোনাভাইরাসের কারণে মানবজাতি ও অর্থনীতি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রকৃতি যেন কিছুটা প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সারাবিশ্ব একসঙ্গে ‘লকডাউন’ হওয়ার ফলে পরিবেশ দূষণ কমেছে, পৃথিবী একটি গাঢ় সবুজ গ্রহে পরিণত হয়েছে। এই মহামারি থেকে শিক্ষা নিয়ে মানুষ একটি সবুজ-পৃথিবী সৃষ্টিতেই মনোনিবেশ করবে বলে আমার বিশ্বাস।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: