- বঙ্গবন্ধু কন্যার লড়াইয়ের গল্প বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই হোক অঙ্গীকার: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
- ১৭ দিনে প্রবাসী আয় প্রায় ১৩৬ কোটি ডলার
- সাগরে মাছ ধরা ৬৫ দিন বন্ধ
- সামান্য অর্থ বাঁচাতে গিয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে উপেক্ষা করে দেশ ধ্বংস করবেন না : প্রধানমন্ত্রী
- হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর শঙ্কা
আবাসন প্রকল্পে বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
কোথাও আগুন লাগলে তা নেভানোর জন্য দ্রুত পানি সংগ্রহের প্রয়োজন হয়। এজন্য প্রতিটি আবাসন প্রকল্পে বৃষ্টির পানি যেন সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকে সেজন্য জলাধার থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘নিজের নিরাপত্তার জন্যই এটা একান্তভাবে দরকার।’
অগ্নি দুর্ঘটনায় দমকল বাহিনীর কর্মীরা যেন সহজে ঘটনাস্থলে যেতে পারেন, সেদিকেও ভবনের নকশার সময় খেয়াল রাখার তাগিদ দেন শেখ হাসিনা।
দেশের ২৫টি জেলার বিভিন্ন স্থানে নবনির্মিত ৪০টি ফায়ার স্টেশন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রকৌশলী, স্থপতিদের প্রতি এসব অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী। রবিবার সকালে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরে মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। গণভবন থেকে ওই অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রতিটি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, আর্কিটেক্ট, ইঞ্জিনিয়ার, যারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রজেক্ট তৈরি করেন, তাদের প্রতি অনুরোধ থাকবে এমনভাবে প্রকল্প তৈরি করতে হবে যেন ফায়ার সার্ভিসের বিশেষ সুবিধা থাকে, সে বিষয়টা দেখতে হবে। অর্থাৎ তাদের গাড়ি যাওয়ার ব্যবস্থা যেন থাকে, পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিত হয় এবং জলাধারগুলোতে যেন বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে।’
ভবন ও আবাসিক প্রকল্প ডিজাইনের সময় অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা কতটা আধুনিক তা যাচাই করার জন্যও অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন অনেকেই ৩০-৪০ তলা ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। এমনভাবে প্ল্যান করতে হবে যে আগুন যদি লাগে তাহলে উদ্ধারকাজের সক্ষমতা কতটা থাকবে। সেভাবে পরিকল্পনা নেওয়া উচিত। স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, বিনোদনকেন্দ্র, সিনেমা হল, শপিংমল, শিল্প কলকারখানা প্রতিটি ক্ষেত্রে অগ্নি নির্বাপনের ব্যবস্থা থাকা অত্যন্ত জরুরি। প্রতিটি হাউজিং স্টেটে বৃষ্টির পানি যেন সংরক্ষণের ব্যবস্থা থাকে সেজন্য জলাধার থাকতে হবে। নিজের নিরাপত্তার জন্যই এটা একান্তভাবে দরকার।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, স্কুল-কলেজ, শিল্পকলকারখানা থেকে সবগুলো বিল্ডিংয়ে করণীয় কী হবে তা নিয়ে সবাইকে যেন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বক্স কালভার্ট বা জলাধার ভরাট করে ভবন নির্মাণ করা ঠিক না।
শেখ হাসিনা বলেন, বসুন্ধরা সিটির ওই এলাকা একসময় বিল এলাকা ছিল। যখন ওই বিল্ডিংয়ে আগুন লাগল পানি পাওয়া যায়নি। হোটেল সোনারগাঁয়ের সুইমিং পুল থেকে পানি আনতে হলো। অনেক আগুনের ঘটনায় পানি পাওয়া যায় না। আগুন তো আর বসে থাকে না। আগুনের গতি তীব্র। আগুনের সঙ্গে ফাইট করতে গেলে যে জিনিসগুলো দরকার সেগুলোই যদি পাওয়া না যায় তাহলে ফায়ার ফাইটাররা কাজ করবে কিভাবে? তাদেরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়। বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ফায়ার ফাইটারদের আধুনিক প্রশিক্ষণ দিয়ে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার বঙ্গবন্ধু ফায়ার একাডেমি প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: