ইন্টারনেট
ADS

আজ বিশ্ব ভাই-বোন দিবস

10 April 2022, 11:44:39

ভাই ভাই, ভাই বোন এবং বোন ও বোনের সম্পর্ক কে আজীবন টিকিয়ে রাখতে প্রতিবছর ১০ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডাতে ভাই বোন দিবস পালিত হয়। এই ভাই বোন দিবস সমগ্র ইউরোপে ৩১ মে পালন করা হয়। ভাই বোন হচ্ছে সম্পর্কের উচ্চ সিঁড়িতে অবস্থান করা দৃঢ় সম্পর্কের বন্ধন।

সম্পর্ক এমন একটি সম্পদ যেখানে ভাই বোনের উপস্থিতি না থাকলে বোঝা কঠিন। তাই এই দিবস উপলক্ষে আপনি কীভাবে আপনার ভাই এবং বোনকে ভাইবোন দিবসে খুশি করবেন তার দিকনির্দেশনা এখানে দেওয়া রয়েছে। ভাই বোন দিবসে বিভিন্ন ওয়েবসাইটগুলো আপনারা চাইলে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন- ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং টুইটারে শেয়ার করতে পারেন।

ভাই বোনের সম্পর্ক যেহেতু বৃথা যায় না। তাই ভাই বোন দিবস যখন আমাদের সামনে আসে তখন একে অন্যের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করার জন্য নিচের বাণীগুলো অ্যালবামে যুক্ত করার মতো। বিভিন্নভাবে ভাই-বোন দিবসটি উদযাপন করা যায়। তার মধ্যে কতগুলো আইডিয়া আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করবো যার মাধ্যমে আপনারা সফলভাবে ভাই বোন দিবস উদযাপন করার পাশাপাশি আনন্দঘন মুহূর্তকে স্মৃতিময় করে রাখতে পারন।

বাবা দিবস এবং মা দিবসের পাশাপাশি ভাই বোন দিবস উদযাপন করা আজ উৎসবে পরিণত হয়েছে। নিজের ভাই অথবা বোনকে এই দিবসে কাছে পেয়ে আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করার মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা , ইন্ডিয়াসহ সব দেশের মানুষেরা সহোদরের প্রতি সম্মান এবং ভালোবাসা প্রকাশ করে থাকে। আপনি যেহেতু ভাই বোন দিবস সুষ্ঠুভাবে উদযাপন করার লক্ষ্যে এখানে অবস্থান করছেন সুতরাং ভাই বোন দিবস আপনার আমার সবারই উদযাপন করার দিন।

লক্ষ করে দেখুন তো পৃথিবীর কোথাও জায়গা না হলে ভাই এবং বোন একে অন্যের প্রতি কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা ভুক্তভোগী বুঝতে পারেন। তাই বন্ধুরা সবাই মিলে সহোদরের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা প্রকাশ করার লক্ষ্যে চলুন ভাই বোন দিবস এ আনন্দের মাত্রা দ্বিগুণ করে তুলি।

বিশ্ব ভাইবোন দিবস কবে?
বোনের প্রতি ভাইয়ের এবং ভাইয়ের প্রতি বোনের যে অধিকার সংরক্ষিত রয়েছে তা প্রকাশ করার উত্তম সময় এটি। যদিও নির্দিষ্ট করে ভাই বোনের ভালোবাসাকে কোনো দিনের মধ্যে বেঁধে দেওয়া যায় না, তবুও জাতীয় একটি দিনকে আনন্দঘন করে তুলতে প্রতিবছর ভাই বোন দিবস ১০ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং কানাডাতে পালন করা হয়। যেখানে ৩১ মে সমগ্র ইউরোপে ভাই বোন দিবস পালন করা হয়। ইন্ডিয়া যেখানে দিবসটিকে রাকসা বন্ধন দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে পালন করে থাকে।

ভাইবোন দিবসের ইতিহাস
ক্লডিয়া এভার্ট তার ভাই এবং বোনকে স্মৃতির অ্যালবামে আজীবন সংরক্ষণ করার জন্য ভাই বোন দিবস প্রথম পালন করেছিলেন। তিনি ভাই বোনের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করার স্বরূপ মার্কিন ছুটির দিন হিসেবে এই দিনটিকে অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলেন। তবে তিনি অল্প বয়সে মারা যাওয়ার কারণে পরবর্তীতে ইউনাইটেড স্টেট কংগ্রেস দিবসটি ১৯৯৭ সালের ১০ এপ্রিল প্রথম পালন করে।

ভাই বোন দিবসে জনপ্রিয়তা যখন বৃদ্ধি পেতে থাকে তখন ইএলএফএসি ২০১৪ সালে দিবসটিকে স্বাগত জানানো হয়। তবে ইউরোপে ৩১ মে ভাইবোন দিবসের ঘোষণা আসে। যেখানে পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট Dia dos Irmãos ভাইবোন দিবসের জনপ্রিয়তা স্বরূপ ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে ব্যাপক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ভাই বোন দিবস পালন করে থাকে।

উল্লেখ্য যে, ইএলএফএসি এর অন্তর্ভুক্ত দেশ সমূহ যেমন-অস্ট্রিয়া, সাইপ্রাস, ক্রোয়েশিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, এস্তোনিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রীস,হাঙ্গেরি, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া,পর্তুগাল,রোমানিয়া, সার্বিয়া এবং সুইজারল্যান্ড ভাই বোন দিবসকে ৩১ মে পালন করে এবং যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং কানাডা যেখানে জাতীয় ভাই বোন দিবস হিসেবে ১০ এপ্রিল পালন করে থাকে।

ভাই বোন দিবসের গুরুত্ব
সৃষ্টিকর্তা ভাই বোনকে অক্ষয় সম্পর্ক দান করেছেন। একই মায়ের গর্ভে জন্ম নেয়া ভাই বোনের সম্পর্ক মা-বাবার সম্পর্কের সঙ্গে রিলেটিভ। ভাই বোনকে ছাড়া পৃথিবীর স্নেহ এবং শাসনের পূর্ণাঙ্গ রূপ পায় না। ভাইয়ের দুঃখে বোন এবং বোনের দুঃখে সর্বপ্রথম ভাই এগিয়ে আসে।

তাই এমন একটি মুহূর্তে ভাই এবং বোনকে কাছে পেয়ে অতীতের অর্থাৎ শৈশবকালের দিনগুলোর কথা যখন মনে পড়ে তখন মনের সব জ্বালা যন্ত্রণা দূর হয়ে যায়। কত স্মৃতি ঘিরে থাকে শৈশবকালের ভাই বোনের মধ্যে। মাতা-পিতার অনুপস্থিতিতে ভাই এবং বোন সর্বাপেক্ষা উত্তম গাইডলাইন হিসেবে পরিচিত।

বিপদ আপদ থেকে শুরু করে জীবন গঠনের প্রতিটি পদক্ষেপ স্বপ্নের সিঁড়ির মতো সাজিয়ে দিতে একজন ভাই অথবা একজন বোন নিঃস্বার্থভাবে নিজেকে বিলিয়ে দেয়। দূরে থাকা অবস্থায় অর্থাৎ বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর বোনেরা যখন শ্বশুর বাড়ি চলে যায় তখন বোনকে হারানোর শূন্যতা অন্তরে প্রস্ফুটিত হয়। প্রতিটি দিন প্রতিটি মিনিট এবং প্রতিটি সেকেন্ড ভালোবাসাবাসির মধ্যে অতীতের সময় গুলো ভাই বোনের সম্পর্ক কে স্বাগত জানাই। ভাই বোনের পবিত্র সম্পর্ক পৃথিবীবাসীর কাছে তুলে ধরার জন্য আমরা কি করতে পারি এটাই হচ্ছে প্রশ্ন?

সুতরাং, ভাই বোন দিবস যেহেতু আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট। তাই এই দিনে ভাই এবং বোনকে খুশি করার জন্য আনকমন কিছু গিফট অথবা স্মৃতিময় দিবস হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের কতগুলো কাজ করতে হবে। সুতরাং ভাই-বোনের সম্পর্কে ঘেরা এমন সুন্দর দিবস সবার উদযাপন করার জন্য নিজেকে এখনও প্রস্তুত করা দরকার।

একই মায়ের পেট থেকে জন্ম নেয়া ভাইবোনেরা এই দিবসকে সাফল্যমন্ডিত করে উদযাপন করার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে চাইবেন। সম্পর্কের সহজ পরিসংখ্যান হচ্ছে ভাই বোন। তাই ১০ এপ্রিল এবং ৩১ মে ও ২ মে ভাইবোন দিবস উদযাপন করা জরুরি নয় কি?

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: