- সাগরে মাছ ধরা ৬৫ দিন বন্ধ
- হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর শঙ্কা
- বঙ্গবন্ধু কন্যার লড়াইয়ের গল্প বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই হোক অঙ্গীকার: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
- ১৭ দিনে প্রবাসী আয় প্রায় ১৩৬ কোটি ডলার
- সামান্য অর্থ বাঁচাতে গিয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে উপেক্ষা করে দেশ ধ্বংস করবেন না : প্রধানমন্ত্রী
নাঈমের হত্যাকারীর ফাঁসি চাইলেন মেয়র তাপস
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লার গাড়িতে নটর ডেম কলেজের ছাত্র নাঈম হাসানের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের ফাঁসি চেয়েছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।
আজ বৃহস্পতিবার নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেওয়া নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা করে এ দাবি জানান তাপস। এ সময় তিনি নিহত নাঈমের নামে এ বছরই ফুটওভার ব্রিজ করা হবে বলে আশ্বাস দেন।
এর আগে বুধবার রাজধানীর গুলিস্তানে রাস্তা পার হওয়ার সময় ডিএসসিসির ময়লার গাড়ির ধাক্কায় গুরুত্র আহত হন নাঈম। পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সহপাঠীর হত্যায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে আজ রাজধানীর মতিঝিল, ফার্মগেট, উত্তরা, গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। নাঈম হাসানের মৃত্যুর ঘটনায় ট্রাফিক আইন কঠোর করাসহ ১০ দফা দাবি জানানো হয় কর্মসূচিতে। দাবি আদায়ে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে দাবি পূরণ না হলে আগামী রবিবার থেকে আবার রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়ে তারা গুলিস্তানের অবরোধ তুলে নেন।
এদিকে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ি চাপায় সহপাঠী নিহতের ঘটনায় নগর ভবনের সামনে অবস্থান নেন নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা মেয়রের সঙ্গে দেখা করার জন্য গেট খুলে নগর ভবনের ভেতরে প্রবেশ করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমরা বিচার চাই’ ‘নিরাপদ সড়ক চাই’সহ নানা ধরনের স্লোগান দেন।
পরে মেয়র তাপস তাদের সঙ্গে দেখা করেন। গুলিস্তানে ডিএসসিসি ময়লার গাড়ির ধাক্কায় নটর ডেম কলেজছাত্র নাঈম হাসানের মৃত্যুর ঘটনায় সংশ্লিষ্ট গাড়িচালকের ফাঁসি দাবি করে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ‘নাঈম আমার সন্তানতুল্য। আমি আমার সন্তানের খুনির ফাঁসি চাই।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে মেয়র বলেন, ‘আমি তোমাদের আশ্বস্ত করছি, সরকারের উচ্চ পর্যায়ে চিঠির মাধ্যমে তোমাদের এ দাবি তুলে ধরব।’
এদিকে আজ দুপুরে রাজধানীর পান্থপথে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির ধাক্কায় আহসান কবির নামের এই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তিনি প্রথম আলো পত্রিকার প্রেস বিভাগে কাজ করতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বসুন্ধরার কাছে সিগন্যাল ছাড়া মাত্রই ডিএনসিসির গাড়িটি ধাক্কা দেয় একটি মোটরসাইকেলকে। এতে মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা আহসান কবীর ছিটকে পড়েন। তার মাথা গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়। গ্রিনরোড সিগন্যালে গিয়ে গাড়ি রেখে চালক ও তার সহযোগী পালিয়ে যায়।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: