- ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ শুরু
- আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ঋণও পাচ্ছে বাংলাদেশ
- একনেকে অনুমোদন পেলো ১০ প্রকল্প
- সোহেল চৌধুরী হত্যা রায়: আজিজ মোহাম্মাদ ভাইসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন
- সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ
- প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব
- সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শেয়ারবাজারে আনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- উপজেলা নির্বাচনে আ.লীগ নেতাদের জয়জয়কার
- ৪১৩ হজযাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল প্রথম ফ্লাইট
- রাফায় হামলা করলে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি বাইডেনের
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের ৫০তম শাহাদাত বার্ষিকী আগামীকাল
বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ এর সংক্ষিপ্ত জীবনী ! Nur Mohammad Sheikh
বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের ৫০তম শাহাদাত বার্ষিকী রবিবার। ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোর জেলার গোয়ালহাটি গ্রামে পাক বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন তিনি।
দেশের এ শ্রেষ্ঠ সন্তানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নূর মোহাম্মদ নগরে নূর মোহাম্মদ ট্রাস্ট ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কোরআনখানি, স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ, পুলিশের সশস্ত্র সালাম ও দোয়া মাহফিল।
নূর মোহাম্মদ শেখ ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার মহিষখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন (বর্তমানে নূর মোহাম্মদনগর)। বাবা মোহাম্মদ আমানত শেখ ও মা জেন্নাতুন্নেছা। ১৯৫৯ সালের ২৬ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে (বর্তমান বিজিবি) যোগদান করেন। দিনাজপুর সীমান্তে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করে ১৯৭০ সালের ১০ জুলাই বদলি হন যশোর সেক্টরে। মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৮নং সেক্টরে ইপিআর ও বাঙালি সেনাদের নিয়ে গঠিত একটি কোম্পনিতে যোগ দেন। দেশ মাতৃকার মুক্তি সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর সীমান্তের বয়রা অঞ্চলে একটি টহলের নেতৃত্বে ছিলেন। সঙ্গী আরও চারজন সৈন্য। তারা পার্শ্ববর্তী ছুটিপুর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ওপর নজর রাখছিলেন। শত্রু বাহিনী টের পেয়ে তাদের ফাঁদে ফেলার পরিকল্পনা করে। বুঝে উঠতেই নূর মোহাম্মদ সঙ্গীদের নিয়ে হানাদার বাহিনীর ঘাঁটি আক্রমণ করেন। শুরু হয় সম্মুখ যুদ্ধ।
এ সময় পাকিস্তানি বাহিনীর গুলিতে সহযোদ্ধা নান্নু মিয়া গুরুতর আহত হলে তাকে কাঁধে নিয়েই এলএমজি হাতে নিয়ে শত্রু পক্ষের বিরুদ্ধে এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়তে থাকলে শত্রুপক্ষ পিছু হঠতে বাধ্য হয়। হঠাৎ পাকিস্তানি বাহিনীর একটি মর্টারের গোলা এসে লাগে তাঁর ডান কাঁধে। মৃত্যু আসন্ন বুঝে তিনি সিপাহী মোস্তফার হাতে এলএমজি দিয়ে তার রাইফেল চেয়ে নেন। আহত নান্নু মিয়াকে নিয়ে সবাইকে চলে যেতে বলেন। তারপর নূর মোহাম্মদ মৃত্যুপথযাত্রী হয়েও ঝাঁপিয়ে পড়েন হানাদারদের ওপর। এখানেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর গ্রামে তাঁকে সমাহিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত হন তিনি।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: