- বড় জয়ে শুরু বাংলাদেশের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি
- যেভাবে সারিয়ে তুলবেন রোদে পোড়া ত্বক
- বৃদ্ধ বয়সে সঙ্গের প্রয়োজন মেটাতে বৃদ্ধাশ্রমের ভূমিকা বাড়ছে: দীপু মনি
- টিকিট কেটে চোখ পরীক্ষা করালেন প্রধানমন্ত্রী
- আগামী ১২ মে এসএসসির ফল প্রকাশের সময় ঘোষণা
- হাসপাতাল থেকে বাসায় নেওয়া হয়েছে খালেদা জিয়াকে
- ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে কঠিন শর্ত দিলো সৌদি
- রং-বেরঙের দানাদার মিষ্টি তৈরির রেসিপি
- রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাবেন কেন
- রাতে ঢাকায় ঝুম বৃষ্টির সম্ভাবনা, কমবে তাপমাত্রা
আজ জারি হবে প্রজ্ঞাপন, আসছে নতুন নির্দেশনা
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় গত পহেলা জুলাই থেকে দেশে এক সপ্তাহের জন্য নতুন ২১ দফা বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। পরে করোনার প্রকোপ না কমায় বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়। এদিকে ঈদকে সামনে রেখে এবার অবস্থান পাল্টাতে যাচ্ছে সরকার। সরকার আরোপিত বিধিনিষেধ আগামী ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। সোমবার (১২ জুলাই) এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে আজ মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে। আগামী ২৩ জুলাই থেকে আবার কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হবে। তবে কোন কোন বিষয়ে শিথিলতা আসবে সেই বিষয়ে তথ্যবিবরণীতে কিছু বলা হয়নি এখন পর্যন্ত।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা গেছে, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আগামী ১৫ জুলাই থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে সব ধরনের গণপরিবহন। একইসঙ্গে খুলবে দোকানপাট-শপিংমল, সেক্ষেত্রেও স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে।
প্রসঙ্গত, আগামী ২১ জুলাই (বুধবার) দেশে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় গত ১ জুলাই সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় সাত দিনের কঠোর বিধিনিষেধ। এ বিধিনিষেধ ছিল ৭ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত। পরে বিধিনিষেধের মেয়াদ আরও সাতদিন অর্থাৎ ১৪ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে গত রবিবার (১১ জুলাই) লকডাউন শিথিলের বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছিলেন, আমরা যদি সংক্রমণ কমাতে চাই তবে বিধিনিষেধ আমাদের অব্যাহত রাখতে হবে বিভিন্ন পর্যায়ে। আমাদের কোরবানির হাট আছে। এই দুটি বিষয় কীভাবে সমন্বয় করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারব, সেটা নিয়ে চিন্তাভাবনা হচ্ছে। আমরা হাটগুলো কতটা নিয়ন্ত্রিত উপায়ে করতে পারি সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা জানান, লকডাউনে শ্রমজীবী মানুষ তথা দিনমজুররা একেবারেই রোজগারহীন অবস্থায় আছেন। পরিবহন শ্রমিকরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। ঈদে তারা যেন একটু আয়-রোজগার করতে পারেন এবং সাধারণ মানুষও যেন নির্বিঘে বাড়ি যেতে পারেন তাই এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন শিথিল করে গণপরিবহন চালু ও মার্কেট-দোকানপাট খুলে দেওয়া হচ্ছে। গত ঈদে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও মানুষ নানা উপায়ে বাড়ি গেছে। তাতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি। ফলে করোনা সংক্রমণ আরও বেড়েছে। গত ঈদে গণপরিবহন বন্ধ রাখাকে সরকারের ভুল সিদ্ধান্ত বলে অনেকেই সমালোচনা করেছেন। এবার সরকার সেই ভুল করবে না। বরং গণপরিবহন চালু করে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে তা চালু রেখে মানুষকে নির্বিঘেœ বাড়ি যাওয়ার সুযোগ দেবে সরকার।
করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে এ সংক্রান্ত গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশে গত ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। প্রথমে এই বিধিনিষেধ ৭ জুলাই পর্যন্ত তা থাকলেও পরে তা আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়, যা আগামীকাল মধ্যরাত শেষ হবে।
এদিকে গত কয়েক দিনে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। বিধিনিষেধ শিথিল করলে সংক্রমণ আরও বাড়বে কিনা তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় সরকার। কী উপায়ে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তা নিয়ে জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির পরামর্শ আমলে নেবে সরকার।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: