- সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর: ড. ইউনূস
- হিজবুল্লাহর রকেটের আঘাতে কাঁপল ইসরাইলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর
- আর্থিক প্রতিষ্ঠানে খেলাপি ২৫ হাজার কোটি টাকা
- পালিয়ে দিল্লি গেলেন পুলিশের সাবেক কর্মকর্তা মনিরুল
- শেরপুরে বন্যায় ৮ জনের প্রাণহানি
- সাবের হোসেন চৌধুরীর ১০ দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ
- শীত কবে আসবে, জানালো আবহাওয়া অফিস
চালমুগরা গাছের উপকারিতা
চালমুগরা গাছ পরিচিতি
এই গাছটি সব জায়গায় দেখতে পাওয়া যায় না। এই গাছটি সমতল ভূমির থেকেও পাহাড়ি ভূমিতে এই গাছ দেখতে পাওয়া যায়। চালমুগরা চিরসবুজ মাঝারি আকারের বৃক্ষজাতীয় উদ্ভিদ। এক সময় দেশে চালমুগরার অনেক গাছ ছিল। তবে বর্তমানে এই গাছটি তেমন আর দেখতে পাওয়া যায় না। বাংলাদেশে এই গাছ সিলেট, মেীলভীবাজার, চট্টগ্রাম, পার্ব্ত্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের বনে এখনও কিছু গাছ টিকে আছে। ঢাকা বোটানিক্যাল গার্ডেনে কয়েকটি গাছ দেখা যায়।
চালমুগরা গাছ উচ্চতায় ১২ থেকে ১৫ মিটার হয়ে থাকে। গাছের কাণ্ড সরল, গোলাকার ও সোজা। বাকল মসৃণ ও পুরু; রং সবুজাভ ধূসর।
ডালপালা বেশি ও নিচের দিকে ঝুলে থাকে। পাতা পুরু, ভল্লাকার বা আয়ত ভল্লাকার, লম্বায় ২০ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার, আগা সূচালো, কিনারা সমান, তবে পাতার দুপাশ ঢেউ খেলানো। রং গাঢ় সবুজ। শিরা স্পষ্ট। কাণ্ডের যেখান থেকে পাতা বের হয় ঠিক সেখান থেকেই ফুলের কলি বের হয়। হালকা হলুদ রঙের ফুলগুলো কখনও এককভাবে আবার কখনও থোকায় থোকায় ফোটে। ফুল সুগন্ধি। গ্রীষ্ম থেকে বর্ষাকাল ফুল ফোটার সময়।
হেমন্তকালে ফল পরিপক্ব হয়। ফল গোলাকার, দেখতে অনেকটা ছোট আকারের বেদানার মতো, ব্যাস ৭.৫ সেন্টিমিটার। পাকা ফল শক্ত, পুরু ও বাদামি। ফলের ভেতর কয়েকটি বীজ থাকে। বীজ ২.৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে। বীজ থেকে নতুন গাছ জন্মে। তবে অঙ্কুরোদগমের হার কম। চালমুগরা গাছ কেটে ফেললেও গোড়া থেকে নতুন গাছ জন্মে । চালমুগরা দক্ষিণ পূর্ব্ এশিয়ার এক প্রজাতি । বাংলাদেশ ছাড়াও এ গাছ দক্ষিণ ও পূর্ব্ ভারত, মিয়ানমার , থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, লাওস প্রভৃতি দেশে এই গাছ দেখা যায় । এই ফলের বেশ কিছু ঔষধি গুণাগুণ রয়েছে যা এখন আমরা জানব।
ঔষধি উপকারিতা
চুলকানি সারাতে :
শরীরের কোথাও যদি চুলকানি বা চুলকানির কারণে শরীর লাল হয়ে ফুলে গেলে চালমুগরার তেল করে নিতে হবে। এরপর চুলকানির স্থানে ভালোভাবে লাগিয়ে দিতে হবে। দেখবেন চুলকানি বা শরীর লাল হয়ে যাওয়া দ্রুত ভালো হয়ে যায়।
আমাশয় নিরাময়ে :
চালমুগরার পাতা পানিতে সিদ্ধ করে নিতে হবে। এবার পানিটা ছেকে গরম করে সেবন করলে আমাশয় রোগে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
কুষ্ঠরোগে :
প্রথমে চালমুগরার তেল গরম করে নিতে হবে। এবার এটি সকাল বিকাল সেবন করলে কুষ্ঠরোগ এর ক্ষেত্রে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
মাথায় খুশকি হলে :
কারো যদি মাখায় খুশকি হয় তাহলে চালমুগরার তেল মাথায় লাগাতে হবে। এরপর এই অবস্থায় আধা ঘন্টা রেখে দিতে হবে। তারপর মাথাটা ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে । তাহলে খুশকি কম হয়ে যাবে।
চর্মোরোগ হলে :
প্রথমে চালমুগরার পাতা বেটে নিতে হবে। এবার এর তেলের সাথে মিশিয়ে সেবন করলে চর্মরোগ ভালো হয়ে যাবে।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: