ইন্টারনেট
হোম / লাইফস্টাইল / বিস্তারিত
ADS

মোহনীয় কেয়া ফুল এর গুণাগুণ

29 October 2021, 11:53:54

বাংলাদেশে কেয়া ফুল একটি অতি পরিচিত ফুল। এর কয়েক ধরনের নাম রয়েছে এর ভিতর কেতকী, কেয়া, কেওড়া ইত্যাদি নামে ডাকা হয়ে থাকে।

কেয়া গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। লম্বায় ৩ থেকে-৪ মিটার হয়ে থাকে। এ গাছের কাণ্ড গোলাকার এবং কাটাযুক্ত।

কাণ্ড থেকে শাখা প্রশাখা বের হয়। এর পাতা ৩-৪ মিটার পর্যন্ত লম্বা এবং ৫-৬ সেন্টিমিটার চওড়া হয়।

পাতার কিনারায় করাতের মত কাঁটা বিদ্যমান। অনেকটা আনারসের পাতার মতো।

এই গাছের পাতা কাণ্ড থেকে সরাসরি পত্রমূল ছাড়াই বের হয়। পাতার গোড়া কাণ্ডের সাথে জড়িয়ে থাকে।

পাতার অগ্রভাগ সরু এবং মাটির দিকে অবনত থাকে। পাতার রঙ সবুজ এবং উভয় তল মসৃণ।

আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে কেয়া ফুল ফোটে। এই কারণে বাংলাদেশে কেয়াকে বর্ষার ফুল বলা হয়। এর ফুলের রঙ সাদা এবং গন্ধযুক্ত। আশ্বিন কার্তিক মাসে গুচ্ছাকার ফল হয়।

এই ফলের গাত্র বেশ শক্ত হয়। দূর থেকে এই গুচ্ছ ফলকে আনারসের মতো মনে হয়। এর রঙও আনারসের মতো লালচে হয়ে থাকে।

কেয়া ফল ১৫-১৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত লম্বা। ফল কমলা, পীত বা ধুসর হয়। অনেকে এই ফল খায়। কেতকী তিতা স্বাদের।

এই গাছের ফুল থেকে সুগন্ধী তেল তৈরি করা হয় যা কেওড়া তেল নামে পরিচিত। এই গাছ বাংলাদেশ সহ ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার, জাপান প্রভূতি দেশে প্রচুর জন্মে।

কেয়া গাছ ঔষধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এখন কেয়ার বিভিন্ন ভেষজ গুণাগুণ সম্পর্কে আলোচনা করা হল-

উপকারিতাঃ
কেয়া পাতার রস খুবই উপকারী। প্রতিদিন এই পাতার রস খেলে হৃৎপিণ্ডের সমস্যায় ভাল উপকার পাওয়া যায়।

কেয়া পাতা রস করে মুখের ব্রণে লাগালে ব্রণ দ্রুত সেরে যাবে।

কেয়ার বীজ থেতো করে পানির সাথে মিশিয়ে খেলে যকৃতের সমস্যায় ভাল উপকার পাওয়া যায়।

কেয়া পাতার রস খেলে ডায়াবেটিসে রোগে উপকার পাওয়া যায়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে এই পাতার রস বিশেষ উপকারি।

প্রতিদিন রাতে কেয়া ফুলে তেল শোয়ার আগে মাথায় মাখলে অনিদ্রা কেটে যায়।

কেয়া ফুলের তেল মাথায় নিয়মিত মাথায় মাখলে খুশকি এর সমস্যা দূর হবে।

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: