আকন্দ পাতার গুনাগুনসমূহ
আকন্দ : আকন্দ গ্রাম বাংলার একটি অতি পরিচিত ভেষজ উদ্ভিদ। আমরা অনেকেই এই উদ্ভিদের সম্পর্কে জেনে থাকেলেও এর সঠিক গুনাগুন সম্পর্কে আমরা জানি না। এই উদ্ভিটি একটি মাঝারি আকারের উদ্ভিদ যা দেখতে একটি ঝোপের মত দেখায়। অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে এই গাছ মানুষকে সাহায্য করে থাকে । হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে আকন্দ পাতা। গ্রামের মানুষ হাপানি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আকন্দ পাতা ব্যবহার করে। আকন্দ ফুলের মাঝখানের চারকোনা অংশ ১৪ টি নিতে হবে , এবার এর সাথে ২১ টি গোল মরিচ বেটে ২১ টি বড়ি বানাতে হবে। এটা প্রতিদিন সকালে খেলে আপনার শ্বাসকষ্ট কমে যাবে। এই ওষধের সাথে শুধু দুধ ভাত খেতে হবে। আকন্দ গাছের মূলের ছাল শুকিয়ে চূণ করে আকন্দের আঠা দিয়ে বিড়ির মত করে সেটি ধরিয়ে টানলে শ্বাসকষ্ট ও হাপানি দূর হবে।
আকন্দ পাতার বিভিন্ন গুনাবলি আলোচনা করা হল ………
শরীরে খোস পাচড়া হলে আকন্দ আঠার সাথে চার গুণ সরিষার তেল মিশিয়ে গরম করে নিতে হবে। গরম তেলের সাথে কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে খোস পাচড়ায় ভালোভাবে মেখে নিলে এটা দ্রুত ভালো হয়ে যাবে।
যদি ঠান্ডা লেগে বুকে সর্দি লেগে যায় তবে প্রথমে বুকে পুরোনো ঘি ঢালতে হবে। এবার এর উপর আকন্দ পাতা গরম করে ছেকা দিলে আরাম পাওয়া যাবে।
খেলতে গিয়ে বা পড়ে গিয়ে পা মোচকে গেলে আকন্দ পাতা প্রথমে গরম করে ব্যাথা স্থানে ছেকা দিলে ব্যাথা কমে যাবে।
বিষাক্ত কিছু যেমন বিছে, কাঠ পিপড়া ইত্যাদিতে কামড়ালে আকন্দ পাতার রস লাগালে বিষাক্ত কেটে যাবে।
মুখে ব্রণ হলে আকন্দ পাতা ভিজিয়ে ব্রণের উপর চেপে রেখে দিলে ব্রণ ফেটে যাবে।
শরীরের কোন স্থানে দূষিত ক্ষত হলে সেই স্থানটিতে পাতা সিদ্ধ জল দিয়ে ধুয়ে দিতে হবে । তাহলে পুঁজ হবে না।
আকন্দ পাতার সোজা দিকে সরিষার তেল মাখয়ে পেটের উপর ছেকা দিলে পেট কামড়ানো সেরে যাবে।
কোন স্থান ফুলে গেলে সেই স্থানে আকন্দ পাতা বেধে রাখলে ফুলা কমে যায়।
আকন্দ পাতার মূল গুড়া করে ২ গ্রাম করে প্রতিদিন খেলে ক্ষধা বৃদ্ধি পাবে।
আকন্দ এর পোড়া ছাই পানিসহ পান করলে সাথে সাথে উপকার পাওয়া যায়।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: