ইন্টারনেট
হোম / স্বাস্থ্য / বিস্তারিত
ADS

খাবার পরেই চা-কফি, জানেন কত ক্ষতিকর?

7 August 2021, 9:27:10

দুপুর বা রাতে কিছু খাওয়ার পর পরই এক কাপ গরম চা বা কফি পান করার জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েন অনেকেই। আসলে, পেট ভরা থাকলে বা ভারী খাবারের পর অনেকের ঘুম ঘুম ভাব হয় কিংবা আলস্য চলে আসে। এই আলস্য দূর করতেই কেউ কেউ এক কাপ চা বা কফি পান করেন। তাদের ধারণা, এতে ঝিমুনি ভাব দূর হবে।

কিন্তু এ বিষয়টি কি স্বাস্থ্যসম্মত? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন? তাদের উত্তর, একেবারেই নয়। রাতের বা দুপুরের যে সময়েই হোক না কেন, ভারী খাবার খাওয়ার পর চা এবং কফি পান খুবই ক্ষতিকর। বিজ্ঞানীরা বলছেন, উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণের ঠিক পর পরই চা-কফি পান করা উচিত নয়। এতে হজমে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।

গবেষকরা বলছেন, চা বা কফির মধ্যে ট্যানিন খাবারের প্রোটিনের সঙ্গে রাসায়নিক বিক্রিয়া করে এক ধরনের জটিল রাসায়নিক যৌগ তৈরি করে। এই রাসায়নিক যৌগ হজমে সমস্যার সৃষ্টি করে এবং আয়রন শোষণে বাধা দেয়।

বিশেষত, উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার গ্রহণের ঠিক পর পরই চা-কফি পান করলে তা বিপাক প্রক্রিয়া ও হজমের মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। আর হজমের সমস্যা হওয়া মানেই শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হওয়া। এতে একসময় শরীর অপুষ্টিজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকে।

এই বিষয়ে গবেষণায় যুক্তরাষ্ট্রের একদল গবেষক দেখেছেন, প্রোটিন জাতীয় খাবারের পর চা বা কফি পান করলে খাদ্য হজমের প্রক্রিয়া মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয় এবং তা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে।

তবে এ সমস্যা শুধু যে দুপুরের খাবার কিংবা রাতের খাবারের পরে হবে সেটি নয়, অন্যান্য সময়ও যদি উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খান, যেমন মাংসের কাবাব কিংবা মাংস দিয়ে তৈরি এমন কিছু খাওয়ার ঠিক আগে কিংবা ঠিক পরেই চা-কফি পান করলে একই ধরনের বিপত্তি হবে।

মাংস ও মাছের মধ্যে উচ্চ মাত্রার প্রোটিন থাকে। তবে মাংসের সঙ্গে চা-কফি পানেই সমস্যাটা বেশি হয়। আবার চায়ের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ট্যানিনের উপস্থিতির কারণে শুধু লিকার চায়ের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও বেশি হয়।

সবচেয়ে বিপজ্জনক হল প্রোটিন। এই প্রোটিন জাতীয় খাবার পর পরই চা বা কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সেটি ত্যাগ করতে হবে। খাবারের অন্তত এক ঘণ্টা পর চা-কফি পান করুন। এছাড়া এক ঘণ্টা আগেও চা বা কফি পান করবেন না।

তবে কারো কারো ক্ষেত্রে প্রোটিন বা আমিষযুক্ত খাবারের সঙ্গে চা-কফি পানের কারণে তেমন কোনো সমস্যা দেখা না দিলেও নীরব অপুষ্টি তাদের ক্রমান্বয়ে গ্রাস করতে থাকে। তাদের শরীর প্রয়োজনীয় মিনারেল থেকে বঞ্চিত হতে থাকে। একপর্যায়ে মিনারেলের ঘাটতি এবং অপুষ্টিজনিত কারণে বিভিন্ন রকমের শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন।

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: