ইন্টারনেট
হোম / বিনোদন / বিস্তারিত
ADS

‘দিন দ্য ডে’ সিনেমায় নিজেদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে যা বললেন অনন্ত!

20 July 2022, 11:13:13

ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়ক অনন্ত জলিল। ঈদুল আজহা উপলক্ষে মুক্তি পেয়েছে তার বিগ বাজেটের সিনেমা ‘দিন : দ্য ডে’। সিনেমাটির প্রযোজক ও চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল নিজেই। এরই মধ্যে সিনেমাটির বাজেট নিয়েও আলোচনার শেষ নেই। অনন্ত জানিয়েছেন সিনেমাটির বাজেট ১০০ কোটি টাকা। তবে তার এমন দাবি নিয়ে অনেকের দ্বিমত দেখা গেছে।

সম্প্রতি সিনেমার বাজেট নিয়ে একটি বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পড়েছে অনলাইনে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘সিনেমাটি নির্মাণ করতে খরচ হয়েছে ৩০ কোটি, অনন্ত পারিশ্রমিক হিসেবে নিয়েছেন ৪০ কোটি এবং বর্ষা নিয়েছেন ৩০ কোটি।’ তবে এ বক্তব্যকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে জানিয়েছেন অনন্ত। গতকাল সোমবার (১৮ জুলাই) দিন- দ্য ডে সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তিনি সিনেমার খরচ কোথায় কেমন লেগেছে, তা নিয়েও কথা বলেন। অনন্ত বলেন, ‘সিনেমার টোটাল বাজেট স্ক্রিনে কোনো সিনেমারই দেখা যায় না; সেটা টম ক্রুজের সিনেমাই দেখেন আর ডাবল ও সেভেনের (007) সিনেমাই দেখেন।’

পর্দায় যা দেখা যায় সিনেমার বাজেট শুধু তাই নয় বলেও জানান অনন্ত। তিনি জানান, একটা সিনেমার স্ক্রিপ্ট যেদিন থেকে লেখা শুরু হয়, সেদিন থেকেই বাজেট শুরু হয়ে যায়। এই সিনেমার প্রি-প্রোডাকশন করতে ছয় মাসের বেশি লেগেছে। তিনবার আমরা ইরানে ট্রাভেল করি। ইরানের লোক বাংলাদেশে আসে। এই সবই কিন্তু বাজেটের মধ্যে।

এছাড়া নিজেদের পারিশ্রমিক সম্পর্কে ও জানান অনন্ত। তিনি বলেন, ‘যখন আমরা সিনেমাটি শুরু করি, তখন ইরানিরা আমাদের জিজ্ঞেস করেছিল, মানে ফারাবি ফাউন্ডেশন জিজ্ঞেস করেছিল। ফারাবি ফাউন্ডেশন ইরানের সরকারি প্রতিষ্ঠান, যারা সিনেমা বানায়। মর্তুজা অতাশ জমজমসহ অনেক পরিচালক ফারাবি ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কাজ করে।ওরা আমার কাছে জানতে চায়, আমরা কখনও বিদেশে কাজ করেছি কি না। আমি বলি, আমরা কখনও বাইরের কাজ করিনি। ওরা বলল, তোমরা তো বাংলাদেশে বিখ্যাত, তোমার পারিশ্রমিক কত হবে? আমি বলেছিলাম, মে বি হানড্রেড থাউজেন্ড ডলার। তারা বলল বর্ষার কথা, তার রেমুনারেশন কত হবে। আমি বলেছিলাম, থার্টি টু ফোরটি থাউজেন্ড ডলার হবে। এ পরিমাণ পারিশ্রমিক অনন্ত-বর্ষা পেয়েছেন কি না তা অবশ্য জানাননি অনন্ত।

তিনি আরো জানান, দিন- দ্য ডে সিনেমাটি যৌথ প্রযোজনার হওয়ায় বাংলাদেশের পার্টের খরচ করার কথা অনন্তর এবং বাইরের যত খরচ, সেটা ইরানের দেয়ার কথা। তার দিয়েছেনও তাই। সিনেমাটির প্রযোজকের নাম হিসেবে দেশের অনন্ত জলিল এবং ইরানের প্রযোজক হিসেবে আছে মর্তুজা আতাশ জমজমের নাম। অনন্ত বলেন, ‘ইরাত ও তার্কির যে হিউজ অ্যারেঞ্জমেন্ট, স্পেশাল ফোর্স, আর্মি, প্লেন এতকিছু যে দেখেছেন, এগুলো কিন্তু সরকার থেকে পেমেন্ট করা। ফারাবি ফাউন্ডেশন করেছে সরকারের তরফ থেকে। মর্তুজা ভাই দিয়েছেন শুধু শুটিং খরচ। আমিও বাংলাদেশে শুধু শুটিং খরচটা দিয়েছি। যেমন হোটেল ভাড়া, খাবার, প্রোডাকশন খরচ এইগুলা।’

সিনেমাটির শুটিং শেষ হয় ২০২১ সালে। অনন্ত মনে করিয়ে দিতে জানান, তখন একটি অনুষ্ঠান করেছিলাম। সেখানে তার্কি ও ইরান থেকে অনেকেই এসেছিলেন। সে সময় বিদেশিরা জানিয়েছিলেন, সিনেমার যে বাজেট করা হয়েছিল, তার থেকে অনেক বেশি খরচ হয়ে গেছে। অনন্ত বলেন, ‘আরেকটা কথা না বললেই না, আমাদের সিনেমার জন্য ক্যামেরা চলেছে ১২০ দিন। প্রায় দুই বছর বিভিন্ন জায়গায় শুটিংয়ে লেগে গেছে। ইরান ও তার্কির সিস্টেমটা হচ্ছে, তারা প্রতিদিনের জন্য পারিশ্রমিক দেয় না। তারা দেয় স্যালারি। ক্রু এবং শিল্পীদেরও মাস হিসেবে পেমেন্ট করতে হয়। আরও অনেক রকম বিষয় আছে, বিদেশে কাজ না করলে বুঝবে না মানুষ।’

এসব কথা বলতে বলতে নতুন সিনেমার নামও জানান অনন্ত। তিনি বলেন, ‘দিন- দ্য ডে করেছি, এরপর আসবে নেত্রী- দ্য লিডার, এরপর আসবে দ্য লাস্ট হোপ। তখন মানুষ বুঝবে যে আন্তর্জাতিক প্রোডাকশনটা কী।’

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: