- এবার পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন ইসরাইলের সেনাপ্রধান!
- এসি ঘরে ত্বক ভালো রাখতে
- এসএসসি পরীক্ষার ফল ৯ থেকে ১১ মে’র মধ্যে প্রকাশ
- ভরিতে ৩১৫ টাকা কমল সোনার দাম
- ভারতের বিশ্বকাপ দলে নেই কোহলি-হার্দিক!
- নিউইয়র্কে বন্দুকধারীর গুলিতে ২ বাংলাদেশি নিহত
- তাপদাহে মাঠে ধান কাটতে গিয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু
- ধীর গতির ইন্টারনেটে ভোগান্তি অনিশ্চিত
- কাঁচা আমের টক-ঝাল ভর্তা
- মরুর বুকে আবেদনময়ী অধরা
এখনো ঝাঁঝ কমেনি পেঁয়াজে, বাড়তি দাম মাছ-মাংসসহ রোজার খাদ্যপণ্যে
সপ্তাহ ঘুরলেও এখনো চুয়াডাঙ্গার বাজারে ঝাঁঝ কমেনি পেঁয়াজের। কেজিতে ৪০ টাকা বেড়েছে। খুচরা পর্যায়ে এই পেঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে ১৪০ টাকা দরে। দাম বেড়েছে মাছ-মাংসসহ রোজার বিশেষ খাদ্য পণ্যের। এর মধ্যে সব ধরনের ডাল চিনি ও খেজুরের দাম বেড়েছে। তবে অপরিবর্তিথ আছে কাঁচা সবজির দাম।
গতকাল শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা শহরের নিচের বাজার ঘুরে জানা গেছে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বাজারের পেঁয়াজের সরবরাহ কম। তাই পেঁয়াজের দামটাও আকাশ ছোঁয়া। গতকাল বাজারের পেঁয়াজ পাইকারিতে বিক্রি করা হয়েছে কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে ১২০ টাকা আর খুচরা পর্যায়ে বিক্রি হয়েছে ১৪০ টাকা কেজিতে। তবে দাম কমেছে রসুন ও কাঁচা মরিচের। আর স্বস্তি ফিরেছে সব ধরনের কাঁচা সবজির বাজারে। বিভিন্ন রকমের সবজিতে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৫ থেকে ৭ টাকা কমেছে। বাজারের সব ধরনের মাছের সরবরাহ বেশি থাকা সত্বেও সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বাড়তি দামে বিক্রি হয়েছে। তবে এখনো দাম কমেনি ডিমের দাম। আগের দামেই এক খাচি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকা।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা পৌরসভা থেকে নির্ধারিত দামে গরুর মাংস বিক্রি করা হয়েছে ৬৮০ টাকা কেজিতে। আর খাসির মাংস ৯৫০ থেকে ১ হাজার টাকা কেজি দরে। নিচের বাজারের মাংসের বাজার কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও এর বাইরে দৌলতদিয়াড়ের সড়কের পাশে থাকা গরুর মাংস বিক্রেতারা কেজিতে ২০ বাড়তি করে ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছে। একই ভাবে খাসির মাংস বিক্রি করেছে কেজিতে ১ হাজার টাকা কেজি দরে। এমন দামের চিত্র চুয়াডাঙ্গা শহর ঘুরে সব জায়গায় দেখা গেছে।
প্রতি সপ্তাহে দাম বাড়ছে ব্রয়লার মুরগির কেজিতে সপ্তাহের ব্যাবধানে ৪০ টাকা বেড়ে ২৬০ টাকা কেজি দরে এই আমিষ পণ্য। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছে মহা দূর্ভোগে। হঠাৎ করে দাম বেড়েছে লেয়ার সোনালি ও প্যারিস মুরগির। এই আমিষ পণ্য গুলো কেজিতে ২০ টাকা বাড়তি।
সামনে রমজান মাস। আর তাই রোজার আগেই ছোলার ডালসহ সব ধরনের ডালের দাম কেজিতে ৩০ টাকা বেড়েছে। রোজার বিশেষ খাদ্য পণ্য ইফতারের খেজুরের দাম কেজিতে ১২০ টাকা বাড়তি। আগের দামই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল ও খোলা চিনির দাম। এই দুই পণ্যের দাম কমবে কি না তা নিয়ে এখনো সুবাতাস আসেনি বাজারে। আর অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম তুলনামুলক দাম কমবেশি অবস্থায় আছে।
বাজারে আসা এক ক্রেতা আসাদুল হক বলেন, জিনিসের দাম এখন অনেক বেশি। বাজারের আসলেই দামের আগুন। রোজার আগেই দাম বাড়তি খেজুরের। আর ডালের দাম সে অনেক আগে থেকেই বেশি। চিনির দামটাও সে একই ধরনের অবস্থায় আছে। মাছ ও মুরগির দাম বেশি। তবে সবজির দাম কম। আমরা চাই রোজার আগেই নিত্যপন্যের দামটা স্বাভাবিক হোক। তাহলে আমরা একটু স্বস্তি পাব বলে মনে করি।
আরেক ক্রেতা বনি ইবনে কামাল বলেন, সেই কয়েক সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের দাম বেড়েই যাচ্ছে। এখনো পেঁয়াজের দাম কমছে না। বাজারের ব্যবসায়িরা বলছে পেঁয়াজের সরবরাহ কম। দেশি উৎপাদিত পন্য বাজারের সংকট। নিচের বাজার ছাড়া চুয়াডাঙ্গা অন্যান্য সব জায়গায় গরুর মাংস দাম বেশি।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিপ্তারের সহকারি পরিচালক সজল আহম্মেদ বলেন, চাষি পর্যায়ে পেঁয়াজের দাম বেশি। আবার পুরাতন পেঁয়াজের সরবরাহ নেই। নতুন পেঁয়াজ বাজারের আসতে একটু সময় লাগছে যেই কারণে পেঁয়াজের দামটা বেশি। তবে দ্রুতই পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হবে। আর মাংস যেন একদরে সবজায়গায় বিক্রি করা হয় সেব্যাপারে আলোচনা চলছে। মাছ মাংসের বাজার স্থিতিশীল করার জন্য চুয়াডাঙ্গা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা অব্যাহত রেখেছে। আর অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম তদারকি করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: