- আসন ভাগাভাগি চূড়ান্তে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বললেন আমু
- সরকার দেশে গণতন্ত্রের ভিত্তি শক্তিশালী করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে : প্রধানমন্ত্রী
- বিদেশিদের কমিশনের ওপর চাপ দেওয়ার কোনো অধিকার নেই: ইসি আলমগীর
- কাপাসিয়ায় চলন্ত কাভার্ডভ্যানে দুর্বৃত্তদের আগুন
- ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম এখন গভীর নিম্নচাপ, ১৭ জনের প্রাণহানি
- ইসিতে ৩৩৮ ওসির বদলির তালিকা
- ‘তওবা-আস্তাগফিরুল্লাহ’, বিএনপিতে ফেরার প্রশ্নে শাহজাহান ওমর
- ডিএসইতে ৪৬০ কোটি টাকা লেনদেন

এক সপ্তাহ পর বেনাপোল দিয়ে পাথর আমদানি শুরু

এক সপ্তাহ বন্ধ থাকার পর আজ মঙ্গলবার বিকেল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে পুনরায় পাথর আমদানি শুরু হয়েছে। এর আগে বেনাপোল বন্দরে পাথর রফতানি বন্ধ থাকায় ভারতের পেট্রাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট ও ট্রাক শ্রমিকরা মঙ্গলবার সকাল থেকে আমদানি-রফতানি বন্ধ রাখে। এর ফলে সকাল থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কোন পণ্য ভারত থেকে আসেনি এবং ভারতে যায়নি। পরে ভারতীয় বন্দর ব্যবহারকারীদের সাথে সমঝোতা হলে বিকাল ৫টা থেকে আমদানি-রফতানি পুনরায় শুরু হয়।
তাদের দাবি বেনাপোলে পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে প্রায় এক হাজার পাথরবাহী ট্রাক আটকা পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, ভারত থেকে যে সমস্ত পাথরের গাড়ি (ট্রাক) আমদানি হয়ে আসে সেগুলি বন্দরের বাইরে আনলোড হতো। পাথর আনলোড করার সময় ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার, হেলপাররা স্বাস্থ্য বিধি না মেনে এদিক ওদিক ঘুরে বেড়ায়। ভারতে করোনার প্রভাব বেশি হওয়ায় ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার হেলপারদের মাধ্যমে করোনার ভ্যারিয়েন্ট এসব এলাকায় ছড়াতে পারে। এ কারণে পাথরের গাড়ি বেনাপোল বন্দরে প্রবেশে বাধা সৃস্টি করা হচ্ছিল কাস্টমস ও বন্দর কতৃপক্ষের কারণে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে করোনার এই মুহুর্তে বন্দরের বাইরে কোন পাথর রাখা যাবে না। বন্দর কর্তৃপক্ষ পাথর রাখার জায়গা তৈরি করে পাথর আমদানি করতে হবে।
এছাড়াও বেনাপোল পৌর ট্রাক টার্মিনাল ও বেনাপোল ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের ট্রাক প্রতি ১০০ টাকার চাঁদা নেয়ার প্রতিবাদ করে আসছিল ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। এসব কারণে গত বুধবার (১৬ জুন) থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ হয়ে যায়। পাথর ছাড়া অন্যান্য মালামাল আমদানি-রফতানি চলছিল। মঙ্গলবার সকাল থেকে অন্যান্য মালামাল আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেয় ভারতীয় বন্দর ব্যবহারকারীরা।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবির তরফদার জানান, বেনাপোল বন্দরে জায়গা সংকটের কারনে ভারত থেকে আমদানি করা পাথর বন্দর এলাকার পাশে আমদানিকারকের নিজস্ব জায়গায় আনলোড করা হচ্ছিল। ভারতীয় ড্রাইভার হেলপারদের মাধ্যমে করোনা ছড়াতে পারে এজন্য এখন থেকে বন্দর এলাকা হতে ভারতীয় পাথর বোঝাই ট্রাক বাংলাদেশী ড্রাইভাররা নিয়ে আমদানিকারকের জায়গায় আনলোড করবে এ শর্তে পাথর আমদানি শুরু হয়েছে। প্রতিদিন ভারত থেকে ১০০ হতে ১২০ ট্রাক পাথর বেনাপোল বন্দরে আমদানি হয়ে থাকে।


প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: