- দুর্নীতি প্রতিরোধে দুদককে সোচ্চার হবার নির্দেশনা রাষ্ট্রপতির
- এবার দুবাইয়ে আরাভ খানের খোঁজে পুলিশ
- বিশ্ববাজারে আরো কমল তেলের দাম
- প্রধানমন্ত্রীর অ্যাসাইনমেন্ট অফিসার হলেন ছাত্রলীগ নেতা সনজিত
- বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ ফুটবলের ফাইনাল আজ
- রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ২
- আগামী শিক্ষাবর্ষে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিন্ন ভর্তি পরীক্ষা
- বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ম্যাচ পরিত্যক্ত
- আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই: প্রধানমন্ত্রী
- সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হলেও বাংলাদেশ কোনো দেশের ওপর নির্ভরশীল নয়, সিএনএনকে প্রধানমন্ত্রী

চলছে বিজিবির টহল, তবুও যাত্রী নিয়ে ছাড়লো ফেরি

ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। রবিবার বিজিবির চেকপোস্ট থাকা সত্ত্বেও দক্ষিণাঞ্চলগামী হাজার হাজার মানুষ ঘাটে আসছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে এই ভিড়ও বাড়তে থাকে। বিআইডব্লিউটিসি রাতভর ১৫ টি ফেরি দিয়ে পারাপার করলেও রবিবার ভোর থেকে থেকে পারাপার বন্ধ করে দেয়। তবে আটটি অ্যাম্বুলেন্স সকাল পৌনে আটটার দিকে ‘ফেরি ফরিদপুর’ ১ নং ঘাট থেকে ছেড়ে যায়।
ফেরিটিতে উঠার জন্য যাত্রীরা হুমড়ি খেয়ে পড়ে। মুহূর্তেই ভরে যায় ফেরিটি। ফেরিতে তিল ধারনের জায়গা ছিলনা। লোকজনের চাপে ফেরিটির ডালা উঠানোও যাচ্ছিলো না। এসময় পুলিশ মৃদু লাঠিচার্জ করে ফেরির ডালা উঠানোর কোনরকম ব্যবস্থা করে। কিন্তু গাদাগাদি অবস্থায় ছোট ফেরিটিতে দেড় সহস্রাধিক মানুষ পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে। পরে ১০টার দিকে ফেরি শাহ পরান ঘাটে আসলে হাজার হাজার মানুষ ফেরিতে উঠে যায়। ৫ সহস্রাধিক যাত্রী নিয়ে ফেরিটি ছেড়ে যায়। এই ফেরিতেও তিল ধারনেরও জায়গা ছিল না। তবে এখনো হাজার হাজার যাত্রী পারাপারের অপেক্ষায় আছে। সবখানেই ভিড়। স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব শাহ পরান ফেরিতে উপেক্ষিত। সরকারি নিয়মের কোন বালাই নেই।
ফেরিঘাটের আশপাশে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই জেলে নৌকাসহ ট্রলারে যাত্রীরা পদ্মা পার হওয়ার চেষ্টা করে। নৌপুলিশ এ পর্যন্ত ১২টি ট্রলার আটক করেছে। এদিকে বাংলাবাজার ঘাট থেকে ফেরি কুঞ্জলতাও ৮ টি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে রওনা হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. সফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, দিনের বেলায় ফেরি বন্ধ। শুধু জরুরি পরিষেবা কিছু যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। সেই ফেরিতেই লোকজন স্রোতের মতো উঠে যাচ্ছে। করোনা সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যেও লোকজন নাড়ির টানে ছুটছেন, কোন বাধাই মানছেন না। বহরের ১৬ ফেরির মধ্যে জরুরি পরিষেবায় ২-৩ টি ফেরি চলাচল করছে।
মুন্সীগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে জনসাধারণকে রক্ষায় ঈদে ঘরমুখো না হওয়ার জন্যই পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তারপরও লোকজনের ঢল নামছে, তাই দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। বিপুল পরিমাণ পুলিশও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।


প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: