ইন্টারনেট
হোম / সারা বাংলা / বিস্তারিত
ADS

সিলেটে বন্যার পানি নামছে কৃষি ও সড়কের ক্ষতি বেশি

23 May 2022, 10:57:31

সিলেটে নদনদীর পানি কমলেও বিপত্সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অনেক এলাকা এখনো জলমগ্ন। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কৃষি ও সড়কের। এখনো অনেক সড়ক ডুবে আছে। গ্রামীণ সড়কগুলোতে কোমর ও হাঁটু পানি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোও জলমগ্ন। সিলেট-কানাইঘাট সড়ক, সিলেট-বিয়ানীবাজার-জকিগঞ্জ সড়কে এখানো পানি। এসব সড়কের ওপর কচুরিপানা জমে বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। শহর থেকে বের হলে চারদিকে পানি। গ্রাম-জনপদে পানি আর পানি। ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব চলছে।

এদিকে নগরী ও বিভিন্ন উপজেলায় বিশুদ্ধ পানি ও পয়োনিষ্কাশনের তীব্র সমস্যা দেখা দিয়েছে। সিলেট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বন্যার পানি পান না করতে বিভিন্ন স্থানে প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা ভ্রাম্যমাণ ‘ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে’র সাহয্যে সিলেট সিটি করপোরেশন, কানাইঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট উপজেলায় নিরাপদ পানি সরবরাহ করছে। এই চারটি প্ল্যান্টের মাধ্যমে প্রতিদিন ৩২ হাজার লিটার পানি শোধন করে বন্যার্তদের দেওয়া হচ্ছে। গতকাল রবিবার কানাইঘাট পৌরসভার বিষ্ণুপুর ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট থেকে পানি নিতে ২ হাজার লোক সেখানে হুড়োহুড়ি শুরু করেন।

এদিকে বিভিন্ন স্থানে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু ত্রাণের স্বল্পতায় অনেক স্থানে হাঙ্গামার ঘটনা ঘটেছে। ত্রাণের তুলনায় সাহায্যপ্রার্থী বেশি। ত্রাণ নিয়ে কাড়াকাড়ি হচ্ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বেগ পেতে হচ্ছে। ১৩ মে থেকে বন্যা শুরু হলে সিলেট জেলার ১৩ উপজেলায় ১২ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মজিবুর রহমান, বন্যাকবলিত কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইঘাট, জৈন্তাপুর, জকিগঞ্জ, দক্ষিণ সুরমা এলাকা সফর করে রবিবার বিকালে ইত্তেফাককে বলেন, এ পর্যন্ত ৩৪৫ টন চাল, ৬ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। নগদ ১৫ লাখ টাকার চাহিদার মধ্যে ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। জেলা প্রশাসক জানান, আরো ২০০ মে.টন চাল ও ৪ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবারের চাহিদা জানিয়ে ঊর্ধ্বতন মহলে বরাদ্দ চেয়েছেন। তিনি বলেন, শহরেও মানুষ খাটের ওপর আশ্রয় নেয়। তবে এখন পানি নামছে। এত পানির স্রোত জীবনে দেখিনি—এই মন্তব্য করে সত্তরোর্ধ্ব কানাইঘাট পৌর মেয়র লুত্ফুর রহমান বলেন, পাহাড়ি ঢল নেমে কানাইঘাটকে তছনছ করে দিয়েছে। তবে আগামী জুন-জুলাইর স্বাভাবিক বন্যার ভয়ে আছি। তাই পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সতর্ক ব্যবস্থা নিতে হবে। কানাইঘাটে বন্যায় ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের নির্মাণাধীন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টটি ডুবে আছে। পানি না নামা পর্যন্ত সেখানে কাজ শুরু করা যাবে না বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান।

সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, নগরীর সিংহভাগ এলাকা থেকেই পানি নেমে গেছে। নগরবাসী আশ্রয়কেন্দ্র থেকে নিজেদের বাসাবাড়িতে ফিরছেন। পানি যেসব এলাকা থেকে নেমেছে সেসব এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে।

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: