ইন্টারনেট
হোম / সারা বাংলা / বিস্তারিত
ADS

দীর্ঘ ১৯ বছর পর যুবলীগের সম্মেলন

16 May 2022, 5:49:50

পুনর্গঠন হচ্ছে চট্টগ্রাম মহানগর, চট্টগ্রাম উত্তর এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কমিটি। দীর্ঘদিন পর জেলা ও মহানগর যুবলীগের কমিটি পুনর্গঠন ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসাহ-উদ্দীপনা বিরাজ করছে। ইতোমধ্যে কেন্দ্র থেকে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী আগামী ২৮ মে দক্ষিণ জেলা যুবলীগের, ২৯ মে উত্তর জেলা যুবলীগের এবং ৩০ মে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

এর আগে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে জীবন বৃত্তান্ত গ্রহণ করা হয়। এতে মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা থেকে প্রায় দুই শতাধিক আবেদন জমা পড়ে। এরই মধ্যে পদ-পদবি পেতে শুরু হয়েছে লবিং। দীর্ঘ দেড় যুগ পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সম্মেলন। ২৯ মে এই সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করেছে কেন্দ্র। আর এ নিয়ে সংগঠনটির নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। সরব হয়েছেন দীর্ঘদিন দলের কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকা নেতাকর্মীরাও।

তারিখ ঘোষণার পর থেকে শীর্ষ পদ নিজেদের দখলে রাখতে নেতারা যে যার মতো তদবির করে যাচ্ছেন। শেষ মুহুর্তে এসে কেউ কেউ ঘুরছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের দুয়ারে দুয়ারে। আবার কেউ কেউ ধরনা দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের কাছে।

দলটির কেন্দ্রীয় সূত্র জানায়, যোগ্যতায় যারা এগিয়ে থাকবেন-তারা শীর্ষ পদ পাবেন। সেক্ষেত্রে সাংগঠনিক দক্ষতা এবং দলের প্রতি নিবেদিতরাই পদে আসবেন। বিতর্কিতরা কোনোভাবেই যেন পদে আসতে না পারে, সে বিষয়ে সজাগ রয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটি।

দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় একপ্রকার হতাশ হয়ে পড়েছিলেন উত্তর জেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা। পদপ্রত্যাশীসহ মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভও বিরাজ করছিল। তবে সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে নতুনভাবে চাঙ্গা হয়েছেন ঝিমিয়ে পড়া নেতাকর্মীরা।

প্রায় ১৯ বছর আগে উত্তর জেলা যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ৭২ সদস্যবিশিষ্ট মেয়াদোত্তীর্ণ এই কমিটির সভাপতি এস এম আল মামুন ইতিমধ্যে চলে গেছেন আওয়ামী লীগে। বর্তমানে তিনি সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান। এছাড়াও কমিটিতে থাকা সাতজন সহ-সভাপতিও চলে গেছেন মূল দলে। আবার কমিটির একাধিক সদস্য এখন যুবলীগে থাকতে চান না বলে জানা গেছে। তারা সবাই জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে পদপ্রত্যাশী।

তৎকালীন যুবলীগ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম ২০০৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর সৈয়দ মফিজ উদ্দীন আহম্মদকে সভাপতি ও এস এম শফিউল আজমকে সাধারণ সম্পাদক করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেন। এর মধ্যে সম্মেলন করে নিয়মিত কমিটি করার কথা বলা হলেও গত ১৯ বছরেও কমিটি হয়নি। ব্যক্তিগত কারণে সভাপতি সৈয়দ মফিজ উদ্দীন আহম্মদ পদত্যাগ করলে কয়েক বছর ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন সহ-সভাপতি জাফর আলম। ২০১৩ সালের দিকে ওমর ফারুক যুবলীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে সহ-সভাপতি এস এম আল মামুনকে সভাপতি ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশেদুল আলমকে সাধারণ সম্পাদক করে পুরাতন কমিটি বহাল রাখা হয়।

গত ২৬ মার্চ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংগঠনিক কমিটির জন্য সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে আসতে আগ্রহী নেতাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দিতে বলা হয়। এতে সভাপতি পদের জন্য ৯ জন ও সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী ২২ জনের আবেদন জমা পড়ে। এসব আবেদন বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে যাচাই-বাছাই শেষ করেছেন দায়িত্বপ্রাপ্তরা। এছাড়াও গত ১০ মে আওয়ামী যুবলীগের দফতর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শাখার সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ব্যতীত অন্যান্য পদ-প্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করা হয়। আগামী ১৪ মে থেকে ১৬ মে পর্যন্ত জীবনবৃত্তান্ত জমা নেওয়া হবে।

উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি পদে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও হাটহাজারী উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম রাশেদুল আলম, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক ও ফটিকছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক আবুল বশর, সাংগঠনিক সম্পাদক মুজিবুর রহমান স্বপন, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাজিবুল আহসান সুমন, নুরুল মোস্তফা মানিক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাছির হায়দার বাবুল, এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য গোলাম কিবরিয়া।

সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন- চবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন ,উত্তর জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সন্দ্বীপ মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান মিজান, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তৈয়ব, এস এম আল নোমান, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও সিটি কলেজের সাবেক ভিপি রাশেদ খান মেনন, রাঙ্গুনিয়ার সরফভাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামসুদ দোহা সিকদার আরজু, চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এরশাদ হোসেন, চবি ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রা্প্ত সভাপতি আবুল মনসুর জামশেদ, চবি ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেদ চৌধুরী ও উত্তর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মনজুর আলম, উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন বাবু প্রমুখ।

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: