তিন আওয়ামী লীগ নেতাকে বদির মারধরের সত্যতা মিলেছে

কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাবেক আলোচিত সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি ও তার সহযোগীরা আওয়ামী লীগের তিন নেতাকে মারধরের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি সত্যতা পেয়েছে।

সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার ইফতারের ঠিক আগমুহূর্তে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে টেকনাফ পৌরসভা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিন নেতাকে প্রকাশ্যে মারধর করেন সাবেক এমপি এবং তার সহযোগীরা।ঘটনার পরের দিন শনিবার রাতে টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। তবে সাত কার্যদিবস শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিস্তারিত প্রকাশ করা উচিত হবে না। কৌশলগত কারণ ও তদন্তের সুবিধার্থে কমিটি তিন সদস্যের নাম প্রকাশ করা হয়নি বলে জানান তিনি।

সাবেক এমপির বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানতে চাইলে নুরুল বশর বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগকেও এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হবে।

উল্লেখ্য, গত শুক্রবার পৌর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধের জেরে সভাস্থলেই তিন নেতাকে বেধড়ক পিটিয়েছেন বদি ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, বদি নিজেই মঞ্চ থেকে নেমে একজনকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারছেন।

বদির বক্তব্যের বিরোধিতা করায় পিটুনি খেলেন আওয়ামী লীগ নেতা, ভিডিও ভাইরালবদির বক্তব্যের বিরোধিতা করায় পিটুনি খেলেন আওয়ামী লীগ নেতা, ভিডিও ভাইরাল
মারধরের শিকার তিন নেতা হলেন, টেকনাফ পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ইউছুফ (মনো), পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. ইউছুফ ভুট্টো ও উপজেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহমুদুল হক।

এর আগে বিভিন্ন সময়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পেশাজীবীদের গায়ে হাত তুলে সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন এই সাবেক সাংসদ। ইয়াবাকাণ্ডে বারবার সমালোচিত আওয়ামী লীগের এই নেতা এবার নিজ দলের নেতাদের পিটিয়ে নতুন করে আলোচনায় এলেন।

অপরদিকে, ঘটনার পর সাবেক এমপি বদি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, এটা পারিবারিক বিষয়, আমরা পরস্পর আত্মীয়। আমাদের ভেতর বিষয়টি মিটমাট হয়েছে।