তিস্তায় তীব্র ভাঙনে বিলীন ৪ শতাধিক বাড়িঘর
কুড়িগ্রামে তিস্তা নদীতে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। একসপ্তাহে ৯ ইউনিয়নের ৪ শতাধিক বাড়িঘর ছাড়াও, ফসলী জমি নদীতে বিলিন হয়ে গেছে।
২০ অক্টোবর আকস্মিক বন্যায় লণ্ডভণ্ড হয়ে যায় কুড়িগ্রামের প্রায় ৩ হাজার মানুষের বসতবাড়ি। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ৯ ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার মানুষ।
ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ জানান, আবাদি জমাজমি, আলু ফসল সবই বিলীন হয়ে গেছে। মানুষের বাড়িঘর, জায়গা-জমি কিছু নেই। জমি রক্ষা হচ্ছে না, পানি উন্নয়ন বোর্ড অল্প বরাদ্দের কারণে আমাদের এলাকাটা রক্ষা করতে পারছে না। আমরা বড় ধরনের বরাদ্দ চাই।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ভর্তূকি দেয়ার ব্যবস্থা করা এবং ভাঙন রোধে নদী শাসনের দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি এই জনপ্রতিনিধি।
বিদ্যানন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ধান, বাদাম, আলু- সবস্ত ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। তাই আমরা সরকারের কাছে আকুল আবেদন জানাই, আমাদের এলাকায় কৃষি ভর্তুকি দেয়ার জন্য।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, ভাঙন কবলিত স্থানে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “যে সকল ভাঙনকবলিত স্থান রয়েছে এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, স্কুল, কমিউনিটি ক্লিনিক, বাজার- এসব স্থাপনা রক্ষার জন্য আমরা বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে জরুরি প্রতিরক্ষা কাজ করছি। এছাড়া অন্যান্য যেসব স্থানে ভাঙন হচ্ছে এই ভাঙন প্রতিরোধে কি ব্যবস্থা নেয়া যায় আমরা ঊর্ধ্বতন দপ্তরে করিগরি কমিটি গঠনে নোট প্রেরণ করেছি।”
স্থায়ীভাবে ভাঙন প্রতিরোধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি এলাকাবাসীর।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
























Comments: