- আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ঋণও পাচ্ছে বাংলাদেশ
- রাফায় হামলা করলে ইসরায়েলে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধের হুঁশিয়ারি বাইডেনের
- প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব
- ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ শুরু
- সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ
- উপজেলা নির্বাচনে আ.লীগ নেতাদের জয়জয়কার
- একনেকে অনুমোদন পেলো ১০ প্রকল্প
- সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শেয়ারবাজারে আনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- ৪১৩ হজযাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল প্রথম ফ্লাইট
- সোহেল চৌধুরী হত্যা রায়: আজিজ মোহাম্মাদ ভাইসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন
মেডিকেল ছাত্রকে গুলি করা শিক্ষক রায়হান শরীফ রিমান্ড শেষে কারাগারে
সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালকে গুলি করা শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুর পর রিমান্ড শেষে ডিবি পুলিশ তাকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন জানান, ডা. রায়হান শরীফের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ডা. রায়হান শরীফের বিরুদ্ধে পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন। তিনি বলেন, ৫দিনের রিমান্ডে অস্ত্র সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য দিয়েছে ডা. রায়হান শরীফ। তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।
ডিবির পরিদর্শক জুলহাজ উদ্দীন জানান, একজন শিক্ষক হয়েও রায়হান শরীফ কেন, কী কারণে অস্ত্র-গুলি নিজের সংগ্রহে করতেন? তার প্রকৃত কারণ বের করার চেষ্টা করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে রায়হান শরীফ জানিয়েছেন, ভারতের একটি হিন্দি সিনেমা দেখেই মূলত নিজের কাছে এমন অস্ত্র রাখার পরিকল্পনা করতে শুরু করেন তিনি। এ জন্য কুষ্টিয়ার এক অস্ত্র ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কয়েকদফায় অস্ত্রগুলো কিনেছেন।
এ আগে ৪ মার্চ সোমবার বিকেলে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে শ্রেণীকক্ষে মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সময় তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আরাফাত আমিন তমালের পায়ে গুলি করেন কলেজের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের শিক্ষক ডা. রায়হান শরীফ। এ সময় ওই শিক্ষকের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল ও ৮১ রাউন্ড গুলিসহ একাধিক দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। এসব ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষকের গুলিবিদ্ধ শিক্ষার্থীর বাবা আব্দুল্লাহ আল-আমিন বাদী হয়ে হত্যা চেষ্টা মামলা ও গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে অপর একটি মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর পুরো ক্যাম্পাস উত্তাল হয়ে ওঠে। শিক্ষার্থীরা শিক্ষককে বরখাস্ত, মেডিকেল সনদ বাতিল ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নামে। পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ওই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করলে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন স্থগিত করে ক্লাসে ফেরেন।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: