- মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
- ৪১৩ হজযাত্রী নিয়ে ঢাকা ছাড়ল প্রথম ফ্লাইট
- বঙ্গোপসাগরে লবণবাহী ৩০ ট্রলারডুবি, নিখোঁজ শতাধিক
- সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ
- ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ শুরু
- আইএমএফের তৃতীয় কিস্তির ঋণও পাচ্ছে বাংলাদেশ
- সোহেল চৌধুরী হত্যা রায়: আজিজ মোহাম্মাদ ভাইসহ ৩ জনের যাবজ্জীবন
- একনেকে অনুমোদন পেলো ১০ প্রকল্প
- সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শেয়ারবাজারে আনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
- এবার ঢাকায় বসছে ২০টি কোরবানি পশুর হাট
একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা ড. ইনামুল হকের প্রয়াণের দুই বছর
বাংলাদেশের বিশিষ্ট অভিনেতা, লেখক, নাট্যকার ও শিক্ষক ড. ইনামুল হকের মৃত্যুর দুই বছর হয়ে গেল। ২০২১ সালের ১১ অক্টোবর তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। খ্যাতিমান এই অভিনেতার মৃত্যুতে দেশের অভিনয় জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল। শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি।
এদিন বিকাল তিনটার দিকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ড. ইনামুল হক। মৃত্যুকালে একুশে পদকপ্রাপ্ত এ অভিনেতার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
অভিনেতার ছোট জামাতা অভিনেতা ও সঞ্চালক সাজু খাদেম সেদিন গণমাধ্যমকে জানান, ইনামুল হক কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। ১১ অক্টোবর দুপুরে অবস্থা গুরুতর হলে তৎক্ষণাৎ তাকে কাকরাইলের ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে বিকাল তিনটার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরদিন সকাল সাড়ে ১০টায় খ্যাতিমান এই অভিনেতার মরদেহ সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়। দুপুর ১২টায় নেওয়া হয় তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল বুয়েটে। সেখানে জানাজা শেষে বাদ জোহর তাকে সমাহিত করা হয় বনানী কবরস্থানে।
১৯৪৩ সালের ২৯ মে ফেনী সদরের মটবী এলাকায় জন্মগ্রহণ করে ড. ইনামুল হক। পড়াশোনা করেন ফেনীর পাইলট হাই স্কুলে। এরপর ঢাকার নটরডেম কলেজ থেকে এইচএসসি এবং পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে অনার্স ও এমএসসি। এছাড়া তিনি মানচেস্টার ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি করেন।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) দীর্ঘ ৪৩ বছর শিক্ষকতা করেছেন ড. ইনামুল হক। এর মধ্যে তিনি ১৫ বছর রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান এবং দুই বছর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিনের দায়িত্ব পালন করেন।
প্রয়াত এই অভিনেতার অভিনয়ে হাতেখড়ি নটরডেম কলেজে পড়াকালীন সময়ে। ওই সময় ফাদার গাঙ্গুলীর নির্দেশনায় তিনি ‘ভাড়াটে চাই’ নামে একটি নাটকে প্রথম অভিনয় করেন। ১৯৬৮ সালে বুয়েট ক্যাম্পাসেই ‘নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়’-এর যাত্রা শুরু হয়। এই দলের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ছিলেন তিনি।
‘নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়’-এর হয়ে প্রথম মঞ্চে অভিনয় করেন ইনামুল হক। নাটকটি ছিল আতাউর রহমানের নির্দেশনায় ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রো’। এরপর এই দলের হয়ে ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ ও ‘নূরুল দীনের সারা জীবন’সহ আরও বহু নাটকে তিনি অভিনয় করেন। ১৯৯৫ সালে এই দল থেকে বের হয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ‘নাগরিক নাট্যাঙ্গন’।
ছোটপর্দায় বহু দর্শকপ্রিয় নাটকে দেখা গেছে ড. ইনামুল হককে। গুণী এই অভিনেতার পুরো পরিবারই অভিনয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তার স্ত্রী লাকী ইনাম অভিনেত্রী, মেয়ে হৃদি হক নির্দেশক ও অভিনেত্রী। আরেক মেয়ে পৈত্রি হকের স্বামী সাজু খাদেমও একজন নামকরা অভিনেতা।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: