- থাইল্যান্ড সফর নিয়ে আগামীকাল সকালে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন প্রধানমন্ত্রী
- এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা দুপুরে
- বিলাসিতা ছেড়ে শ্রমিকদের কল্যাণে বিশেষ নজর দিতে শিল্প মালিকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
- এভারকেয়ারে ভর্তি খালেদা জিয়া
- আলোচিত মিল্টন সমাদ্দার গ্রেপ্তার
- মাজার জিয়ারত শেষে ফেরার সময় পথেই প্রাণ গেল ৫ জনের
- ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার হামলা, নিহত ৫
মিশা-জায়েদের কাঁধে ওয়াসিমের লাশ
বাংলাদেশে অভিনয় শিল্পীদের মৃত্যুর মিছিল দির্ঘ্য হচ্ছে। একদিনের ব্যবধানে দেশ হারিয়েছে ৪জন অভিনয়শিল্পীকে। শনিবার কিংবদন্তী অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীকে দাফনের রাতেই ঢাকাই চলচ্চিত্রের সোনালি দিনের সুপারস্টার ওয়াসিমের মৃত্যুর খবর আসে। নিমিসেই থমকে যায় বিনোদন অঙ্গন।
বরিবার রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে সত্তরের দশক থেকে ঢাকাই চলচ্চিত্রের সোনালি দিনের এই সুপারস্টারকে। বাদ জোহর তার দাফনকাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে গুলশান আজাদ মসজিদে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর বনানী কবরস্থান সংলগ্ন মসজিদে কাদেরের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে চলচ্চিত্রের সহকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। জানাজা শেষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ওয়াসিমের লাশবাহী খাটিয়া কাঁধে কবরের দিকে নিয়ে যান। পরে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পক্ষ থেকে তার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন এই দুই অভিনেতা।
শনিবার রাত সাড়ে ১২টা ৪০ মিনিটে রাজধানীর শাহাবউদ্দিন মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গুরুতর অসুস্থ হয়ে বেশ কিছুদিন শয্যাশায়ী ছিলেন এ চিত্রনায়ক। তিনি কিডনি রোগসহ নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
ফোক-ফ্যান্টাসি ও অ্যাকশন ঘরনার ছবির নায়ক হিসেবে ওয়াসিম ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তার কেরিয়ারের কিছু উল্লেখ্যযোগ্য ছবি-‘ডাকু মনসুর’, ‘জিঘাংসা’, ‘কে আসল কে নকল’, ‘বাহাদুর’, ‘দোস্ত দুশমন’, ‘মানসী’, ‘দুই রাজকুমার’, ‘সওদাগর’, ‘নরম গরম’, ‘ইমান’, ‘রাতের পর দিন’, ‘চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা’,’ লাল মেম সাহেব’, ‘জীবন সাথী’, ‘রাজনন্দিনী’, ‘রাজমহল’ এবং ‘বিনি সুতার মালা’।
অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনাও করেছেন ওয়াসিম। তার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল ডব্লিউ আর প্রোডাকশন। তার প্রযোজিত চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে হিসাব চাই, মোহন বাঁশি, নয়া তুফান, সীমাবদ্ধ ইত্যাদি। অভিনেতা হিসেবে তুমুল সাফল্য পেলেও প্রযোজক হিসেবে ওয়াসিম খুব একটা সফল হতে পারেননি।
১৯৪৭ সালের ২৩ মার্চ চাদপুরের মতলবে জন্ম ওয়াসিমের। ইতিহাস নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করে চলচ্চিত্র দুনিয়ায় প্রবেশ করেন। শুধু অভিনয় নয়, বডি বিল্ডিংয়ের প্রতি ঝোঁক ছিল তার। ১৯৬৪ সালে ‘মিস্টার ইস্ট পাকিস্তান’ খেতাব অর্জন করেছিলেন প্রয়াত অভিনেতা।
ব্যক্তিজীবনে ওয়াসিম ছিলেন দুই সন্তানের জনক। ওয়াসিম বিয়ে করেছিলেন প্রখ্যাত অভিনেত্রী রোজীর ছোট বোনকে। তাদের ছেলে দেওয়ান ফারদিন এবং মেয়ে বুশরা আহমেদ। ২০০০ সালে তার স্ত্রীর অকাল মৃত্যু ঘটে। ২০০৬ সালে ওয়াসিমের মেয়ে বুশরা আহমেদ মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সে আত্মহত্যা করে। ছেলে ফারদিন লন্ডনের কারডিফ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন। এখন তিনি ব্যরিস্টার।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: