- এবার ঢাকায় বসছে ২০টি কোরবানি পশুর হাট
- গাজা সংকট নিয়ে কুয়েতের আমিরকে যা বললেন এরদোগান
- প্রধানমন্ত্রী হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন আজ
- হজ কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
- ভরিতে এক লাফে ৪৫০২ টাকা বাড়ল সোনার দাম
- নিজেদের সব করোনা টিকা প্রত্যাহারের ঘোষণা অ্যাস্ট্রাজেনেকার
- নড়াইল জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন ২৮ মে
- মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত দেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে: সংসদে প্রধানমন্ত্রী
- তেঁতুলিয়ায় বিএসএফের গুলিতে ২ বাংলাদেশি যুবক নিহত
- সারা দেশে ৩ দিনের কালবৈশাখীর সতর্কবার্তা
অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে গেলেন হিরো আলম
বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনে উপ-নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী জাসদ নেতা এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে হেরে গেলেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। তানসেন পেয়েছেন ২০ হাজার ৪০৫ ভোট। আর হিরো আলম পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। অর্থাৎ মাত্র ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে হেরেছেন তিনি।
বুধবার রাতে বগুড়ার উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে হেরে গেলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী লড়াইয়ে থেকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পাওয়ায় সাধুবাদ পাচ্ছেন হিরো আলম। কেননা নির্বাচন কমিশন তো প্রথমে তাকে এই আসনসহ বগুড়া-৬ আসনের প্রার্থী হিসেবেই অযোগ্য ঘোষণা করে। পরে তিনি আপিল করলে সেটাও বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। পরে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে প্রার্থিতা ফিরে পান হিরো আলম।
বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম)-এর বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপি এবং জামায়াতের লোকজন হিরো আলমকে বেশি ভোট দিয়েছেন। এছাড়া নারী ভোটারদের ভালো সমর্থন পেয়েছেন তিনি। বুধবার বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে হিরো আলমও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে, তিনি নিশ্চিত বগুড়া-৪ আসনের এমপি হচ্ছেন।
বগুড়া-৪ ও বগুড়া-৬ (সদর) আসন ঘুরে বুধবার বিকালে হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সদরের কেন্দ্র সব দখল হয়্যা গ্যাচে। ডিসি-এসপিক কয়্যাও কোনো কাম হচ্চে না। সদরের আশা সব শ্যাষ। তয় কাহালু-নন্দীগ্রামের নিশ্চিত এমপি হচ্চি।’
একেবারে অজপাড়াগাঁ থেকে উঠে আসা হিরো আলম প্রথমে ফেরি করে ব্যবসা, পরে কিছুটা থিতু হয়ে ডিশের ব্যবসায়ে মনোযোগ। সঙ্গে নিজেই খোলেন একটি ক্যাবল টিভি। পরে সামাজিক মাধ্যমের বদৌলতে রাতারাতি আলোচনায়।
সবাইকে অবাক করে বগুড়া-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে একতারা প্রতীকে পেয়েছেন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট।
এর আগে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও বগুড়া-৪ আসন থেকে স্বাতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। সে বার তিনি সিংহ প্রতীক পেয়েছিলেন। ২০১৮ সালেও তার প্রার্থিতা বাতিল করেছিল নির্বাচন কমিশন। পরে একইভাবে হাইকোর্টে রিট আবেদন করে তা ফিরে পেয়েছিলেন।
কিন্তু সে বার বিএনপি প্রার্থী মোশারফ হোসেনের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে গিয়েছিলেন হিরো আলম। সঙ্গে হয়েছিলেন শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত। যদিও এবারের চিত্র ছিল ভিন্ন। দুই আসনেই গাড়ির বহর নিয়ে ঘুরেছেন হিরো আলম। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়নি তাকে।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: