- সাগরে মাছ ধরা ৬৫ দিন বন্ধ
- বঙ্গবন্ধু কন্যার লড়াইয়ের গল্প বিশ্বের কাছে তুলে ধরাই হোক অঙ্গীকার: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী
- ১৭ দিনে প্রবাসী আয় প্রায় ১৩৬ কোটি ডলার
- সামান্য অর্থ বাঁচাতে গিয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে উপেক্ষা করে দেশ ধ্বংস করবেন না : প্রধানমন্ত্রী
- হেলিকপ্টার বিধ্বস্তে ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুর শঙ্কা
ঢালাওভাবে সুদ মওকুফে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা
এখন থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো যৌক্তিকতা ছাড়া ঢালাওভাবে সুদ মওকুফ করতে পারবে না। সুনির্দিষ্ট কারণ ব্যতিরেকে সুদ মওকুফ করার সুযোগ আর থাকছে না। এ নিয়ে নতুন নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নীতিমালা জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপির বা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সৃষ্ট খেলাপি ঋণের সুদ কোনো ক্রমেই মওকুফ করা যাবে না। কেননা ঢালাওভাবে সুদ মওকুফের ফলে ব্যাংকের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে সুদ মওকুফের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।
এ নীতিমালার আগেই বড় বড় ঋণখেলাপি বা জালিয়াতরা তাদের ঋণের বিপরীতে সুদ মওকুফ সুবিধা নিয়ে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
নীতিমালায় বলা হয়, সুদ মওকুফের আগে ব্যাংকের আর্থিক ব্যবস্থায় চাপ পড়বে কি না- তা পর্যালোচনা করতে হবে। এতে যদি মনে হয় ব্যাংকের আর্থিক ব্যবস্থাপনার ওপর চাপ পড়বে, তবে সুদ মওকুফে সতর্ক হতে হবে। ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক, পরিচালকের পরিবারের সদস্য বা পরিচালকের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদ মওকুফের ক্ষেত্রে অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংককে আগাম অনুমোদন নিতে হবে।
নীতিমালায় আরো বলা হয়, কোনো ক্রমেই ব্যাংকের মূল ঋণ মওকুফ করা যাবে না। জাল জালিয়াতির মাধ্যমে সৃষ্ট বা ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের ঋণের সুদ মওকুফ করা যাবে না। ব্যাংকের আয়ের চেয়ে বেশি সুদ মওকুফ করা যাবে না। ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত মূল ঋণের সুদ মওকুফের ক্ষমতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের ওপর ন্যস্ত করা যাবে। এর বেশি ঋণের সুদ মওকুফ করতে হলে ব্যাংকের পর্ষদের অনুমোদন নিতে হবে। সুদ মওকুফের ক্ষেত্রে ব্যাংকের তহবিল ব্যয় আদায় নিশ্চিত করতে হবে।
‘তবে কিছু ক্ষেত্রে এ নীতিমালা শিথিল করা যাবে। যেমন তিন বছর ধরে কোনো প্রকল্প বন্ধ, ঋণের জামানত, সহ-জামানত, প্রকল্পের সম্পত্তি, প্রকল্পের উদ্যোক্তাদের ব্যক্তিগত সম্পত্তি বিক্রি করেও যদি তহবিল ব্যয় আদায় করা সম্ভব না হয় সে ক্ষেত্রে তহবিল ব্যয়ের চেয়ে কম সুদ আদায় করা যাবে। একই সঙ্গে পাওনা আদায়ের লক্ষ্যে আইনগতসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এতেও পাওনা আদায় করা সম্ভব না হলে তহবিল ব্যয়ের চেয়ে কম সুদ আদায় করা যাবে।’
এতে আরও বলা হয়, তহবিল ব্যয়ের চেয়ে বেশি সুদ মওকুফের ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগের মাধ্যমে তদন্ত করতে হবে। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যাংকের ইন্টারনাল কন্ট্রোল অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স বিভাগের প্রধানের মতামত নিতে হবে। যে সব ক্ষেত্রে গ্রাহকের আর্থিক বিবরণী নেওয়া প্রয়োজন সেগুলো নিতে হবে। কমপক্ষে তিন বছরের আর্থিক বিবরণী পর্যালোচনা করে যদি গ্রাহকের নিট মুনাফা পাওয়া যায় বা গ্রাহকের মূলধন ইতিবাচক পরিলক্ষিত হয় তবে ওই গ্রাহকের সুদ মওকুফ করা যাবে না। সরকারি ব্যাংকের সুদ মওকুফের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনাসহ সরকারি নির্দেশনা মানতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সময় সময় দেওয়া সুদ মওকুফের নির্দেশনা পরিপালন করতে হবে।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: