- আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী
- উখিয়ায় আরসার আস্তানা থেকে বিপুল অস্ত্র গ্রেনেড ও রকেট শেল উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২
- ইসরাইলের সেনাঘাঁটিতে ভয়াবহ আগুন
- শিগগিরই জোটনেতাদের নিয়ে বসবেন প্রধানমন্ত্রী
- বাড়ল সোনার অলংকারের মজুরি, বিক্রি কমার আশঙ্কা
- স্পিকারের নেতৃত্বে আজ জেনেভা যাচ্ছে সংসদীয় প্রতিনিধিদল
- বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা, বাদ সাইফউদ্দিন
- ঢাকায় পা রাখলেন ডোনাল্ড লু
- অবশেষে চট্টগ্রাম বন্দরে এমভি আব্দুল্লাহর ২৩ নাবিক, ফুল দিয়ে বরণ
আপাং গাছের ভেষজ উপকারিতা
নিতান্তই সাদামাটা ধরনের গাছ আপাং। দেশের সর্বত্র পতিত স্থানে জন্মে। এমনকি মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনেও আছে। আমরা বলি আগাছা। কিন্তু এই নিরীহ আগাছাটিই আগাগোড়া ঔষধিগুণে ভরা। এ গাছের মূল, কাণ্ড, পাতা ও বীজ নানা রোগে কাজে লাগে। বিশেষত গা-ফোলা, জিহ্বায় ঘা, বদহজম, বাত রোগ, রক্তক্ষরণ, জ্বর, পেটব্যথা, প্রসব বেদনা ও গর্ভপাতে এ গাছের বিভিন্ন লোকজ ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়।
এখন আমরা আপং এর স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানব :
শরীরের কোথাও কেটে রক্তক্ষরণ হলে সঙ্গে সঙ্গে আপাং পাতার রস আক্রান্ত স্থানে লাগালে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়ে যাবে। এ ছাড়া আপাং ফুল বেটে দই ও চিনির সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করলে ও অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বন্ধ হবে।
আপাংগাছ আধা ছেচে ৭ গ্রাম পরিমাণ নিয়ে এর সঙ্গে সমপরিমাণ কালমেঘ মিশিয়ে দুই কাপ পানিতে জ্বাল দিয়ে এক কাপ করতে হবে। এরপর ছেঁকে ওই পানি পান করলে শোথ রোগে উপকার পাওয়া যাবে।
খোসপাঁচড়া ও চুলকানিতে পুরো গাছ আধা ছেচা করে সাত গ্রাম পরিমাণ নিয়ে সঙ্গে সমপরিমাণ চিরতা ও নিম ছাল মিশিয়ৈ দুই কাপ পানিতে জ্বাল দিয়ে এক কাপ করতে হবে। এরপর ওই পানি ছেঁকে নিয়ে নির্যাসটুকু সেবন করতে হবে। ২০ থেকে ২৫ দিন নিয়মিত দিনে দুই বার পান করতে হবে।
আপাংগাছের সম্পূর্ন্ অংশ মিহি গুড়া করে ৫-৭ গ্রাম এক গ্লাস ডাবের পানির সঙ্গে মিশিয়ে দিনে দু তিনবার পান করলে মূত্র সংক্রমণ ভালো হবে । এ ক্ষেত্রে ৭-১০ দিন নিয়মিত সেবন করতে হবে।
শরীরের বহুদিনের ব্যথা , বাতজ্বর, ফোড়া, চামড়া ফাটা, চামড়ার চুলকানি, ক্ষুধামান্দ্য, পেটের শূলবেদনায় আপাংগাছের পাতার রস খেলে উপকার পাওয়া যায়।
দাতের ব্যথায় গাছ থেঁতো করে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়।
আপাংগাছের শুকনো গুঁড়া কুষ্ঠরোগ চিকিৎসায় ব্যবহার হয়।
আপাংগাছের পাতা গনোরিয়া ও শ্বাসকষ্ট ভালো করে।
পাতার রস পোকার কামড়ের প্রতিষেধক হিসেবে শ্বাসকষ্ট কান ও চোখের সমস্যায় ব্যবহৃত হয়।
বীজের গুঁড়া মাখন ও দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে পিত্তে পাথর হয় না।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: