- বেনামে শেয়ার কিনে ব্যাংক দখল ঠেকানোর উদ্যোগ, নীতিমালা প্রণয়ন
- ঢাকায় ভারতীয় দূতাবাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন
- চিন্ময়ের পক্ষে দাঁড়াননি কোনো আইনজীবী, জামিন শুনানি ২ জানুয়ারি
- মমতার বক্তব্যকে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের হুমকি বললেন ফখরুল
- চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানি আজ
- শেষ হলো ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা
- শেষ হলো ৫ দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা
করোনায় মারা গেলেন গণসংগীতশিল্পী ফকির আলমগীর
করোনায় আক্রান্ত হয়ে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেছেন ফকির আলমগীরে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে রেখে গেছেন।
ফকির আলমগীরের ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব গনমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে কোভিড ইউনিটে ভেন্টিলেশনে থাকা অবস্থায় ফকির আলমগীরের হার্ট অ্যাটাক হয়। রাত ১০টা ৫৬ মিনিটে তাঁর মৃত্যু ঘোষণা করা হয়।
এর আগে রোববার (১৮ জুলাই) প্রাণঘাতী মহামারি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন একাত্তরের কণ্ঠযোদ্ধা, গণসংগীত শিল্পী ফকির আলমগীরের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় তাকে ‘লাইফ সাপোর্টে’ নেয়া হয়েছে। রাত ১০টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখার সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকেরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফকির আলমগীরের ছেলে মাশুক আলমগীর রাজীব। তিনি বলেন, বাবার অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৪৫–এ নেমে এলে চিকিৎসকেরা তাকে ভেন্টিলেশনে নেওয়ার পরামর্শ দেন। ভেন্টিলেশনে নেওয়ার পর থেকে ফকির আলমগীরের অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯০-এ উন্নীত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ষাটের দশক থেকে গণসংগীতের সঙ্গে যুক্ত ফকির আলমগীর ক্রান্তি শিল্পী গোষ্ঠী ও গণশিল্পী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেব ১৯৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে শামিল হন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি যোগ দেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে।
স্বাধীনতার পর পাশ্চাত্য সংগীতের সঙ্গে দেশজ সুরের মেলবন্ধন ঘটিয়ে বাংলা পপ গানের বিকাশে ভূমিকা রাখেন ৭১ বছর বয়সী এ শিল্পী। সংগীতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য সরকার ১৯৯৯ সালে ফকির আলমগীরকে একুশে পদক দেয়।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তার কণ্ঠের বেশ কয়েকটি গান দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। এর মধ্যে ‘ও সখিনা’ গানটি এখনও মানুষের মুখে মুখে ফেরে।
১৯৮২ সালের বিটিভির আনন্দমেলা অনুষ্ঠানে গানটি প্রচারের পর দর্শকদের মাঝে সাড়া ফেলে। গানটি লিখেছেন আলতাফ আলী হাসু। কণ্ঠ দেয়ার পাশাপাশি গানটির সুরও করেছেন ফকির আলমগীর।
তিনি সাংস্কৃতিক সংগঠন ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠাতা, গণসংগীত চর্চার আরেক সংগঠন গণসংগীত শিল্পী পরিষদের সাবেক সভাপতি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করা ফকির আলমগীর গানের পাশাপাশি নিয়মিত লেখালেখিও করেন। ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ও বিজয়ের গান’, ‘গণসংগীতের অতীত ও বর্তমান’, ‘আমার কথা’, ‘যারা আছেন হৃদয় পটে’সহ বেশ কয়েকটি বই প্রকাশ হয়েছে তার।
প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Comments: