ইন্টারনেট
হোম / টিপস / বিস্তারিত
ADS

মুখের ত্বকে ভুলেও ব্যবহার করবেন না এই উপকরণগুলো

24 August 2024, 6:05:16

ত্বকের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে চাইলে নিয়মিত সঠিকভাবে ত্বকের পরিচর্যা প্রয়োজন। তার জন্য প্রতিদিন ত্বকের যত্ন করা জরুরি সঠিক পদ্ধতিতে। আমরা নিজেদের অজান্তেই বেশ কিছু ভুল করে ফেলি ত্বকের পরিচর্যার ক্ষেত্রে। আর সেই কারণে দেখা দিতে পারে ত্বকের একাধিক জটিল সমস্যা। তাই ত্বকের পরিচর্যা করার সময় কোন কোন উপকরণ ভুল করেও ত্বকে ব্যবহার করবেন না সেই তালিকা দেখে নিন একনজরে।

জেনে নিন উপকরণগুলোর নাম:-

১। এক্সপায়ার হয়ে যাওয়া কোনও বিউটি প্রোডাক্টই ব্যবহার করা উচিত নয়। এই ক্ষেত্রে বিশেষভাবে সতর্ক থাকা উচিত ক্রিম, ময়শ্চারাইজার, সানস্ক্রিন এইসবের ব্যাপারে। এক্সপায়ার হওয়া প্রোডাক্ট ব্যবহার করলে আপনার ত্বকে র‍্যাশ, অ্যালার্জি দেখা দিতে পারে।

২। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবুর রস ট্যান তুলতে খুব ভালোভাবে কাজে লাগে। কিন্তু সরাসরি কখনও ত্বকে লেবুর রস ব্যবহার করবেন না। সাইট্রিক অ্যাসিডের জেরে ত্বক পুড়ে কালো দাগ হয়ে যেতে পারে। তবে বিভিন্ন উপকরণ মিশিয়ে ফেসপ্যাক কিংবা স্ক্রাব তৈরি করলে সেখানে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন।

৩। স্নান করার সময় তাড়াহুড়োয় অনেকেই মুখেও শ্যাম্পু দিয়ে পরিষ্কার করে নেন। অথবা সাবান শেষ হয়ে গেলে ভাবেন একদিন শ্যাম্পু দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলে কীই বা আর ক্ষতি হবে। এই কাজ একেবারেই করবেন না। ত্বক মারাত্মক রুক্ষ এবং শুষ্ক হয়ে যেতে পারে।

৪। নারকেল তেল চুলের পাশাপাশি ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রেও জরুরি একটি উপকরণ। কিন্তু তাই বলে সরাসরি মুখে নারকেল তেল একেবারেই ব্যবহার করবেন না। এর জেরে ত্বকের পোরসের মুখগুলো বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ত্বকে নোংরা জমে যেতে পারে। দেখা দিতে পারে ব্রণের সমস্যা।

এবার দেখে নেওয়া যাক ত্বকের পরিচর্যা করার সময় কোন কোন বিষয় মাথায় রাখবেন

১। কখনই মুখে ফেসপ্যাক কিংবা স্ক্রাব লাগানোর সময় জোরে জোরে ঘষবেন না। এতে ত্বকের গঠন নষ্ট হতে পারে। আলতো হাতে ত্বকে যেকোনও উপকরণ ম্যাসাজ করা প্রয়োজন।

২। অনেকের ক্ষেত্রে মুখের ত্বকে চুলের আধিক্য দেখা যায়। এক্ষেত্রে কোনও ভাবেই ওয়াক্সিং করতে যাবেন না নিজে নিজে। বিউটি পার্লারে গিয়ে অভিজ্ঞ লোকের সাহায্যে সমস্যার সমাধান করা জরুরি। নাহলে বিপদ হতে পারে।

৩। মুখ পরিষ্কারের পর কখনই খুব জোরে ঘষে মুখে লেগে থাকা জল মুছতে যাবেন না। ব্যবহার করুন নরম তোয়ালে বা সুতির গামছা। আলতো হাতে মুছে নিন জল।

কুমড়োর বীজ একটি পটাশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার। এই খাবার খেলে উদ্বেগ এবং স্ট্রেসের মাত্রা কমে।

ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ স্যামন, ম্যাকারেল ইত্যাদি মাছ আমাদের মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।

চকোলেট খেলে স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটি বা উদ্বেগ কমে। ডার্ক চকোলেট এক্ষেত্রে বেশি কার্যকরী। ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ ডার্ক চকোলেট আমাদের উদ্বেগ, স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে।

উদ্বেগ অর্থাৎ অ্যাংজাইটি এবং মানসিক চাপ, অবসাদ বা স্ট্রেস কাটাতে সাহায্য করে প্রোটিন সমৃদ্ধ অ্যামাইনো অ্যাসিড যুক্ত খাবার। তাই খেতে পারেন ডিম।

হলুদের মধ্যে থাকা এই উপকরণ আমাদের স্ট্রেস, অ্যাংজাইটির তো কমায়ই। এর পাশাপাশি প্রদাহজনিত সমস্যাও দূর করেন। তাছাড়াও মনমরা হয়ে থাকার প্রবণতা কমায়।

ব্রাজিল নাটের মধ্যে থাকা সেলেনিয়াম আমাদের মনমেজাজ ভাল রাখে। অ্যাংজাইটি কমায় এবং প্রদাহজনিত সমস্যাও কমায়।

আমাদের মন এবং মেজাজ শান্ত করতে ক্যামোমাইল টি- এর জুড়ি মেলা ভার। অ্যাংজাইটি কমায় এই খাবার। কমায় স্ট্রেসও। কিন্তু প্রচুর পরিমাণে এই চা খেলে বাড়বে বিপদ।

ইয়োগার্ট আমাদের অন্ত্রের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে। সেখানে তৈরি করে হেলদি ব্যাকটেরিয়া। যা অ্যাংজাইটি এবং স্ট্রেসের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

গ্রিন টি শুধু ওজন কমায় না। এর মধ্যে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড থিয়ানিন আমাদের মনমেজাজ ফুরফুরে রাখে।

ADS ADS

প্রতিছবি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Comments: